যাক অবশেষে ঘুরে আসলাম Hermitage Museum (Russian: Государственный Эрмитаж)। এটি রাশিয়ার সাবেক রাজধানী সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে অবস্থিত যা কিনা ঐতিহ্যের দিক থেকে ইউরোপের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর। এই জাদুঘরটি দুনিয়ার বৃহৎ এবং পুরাতন জাদুঘর গুলোর একটি যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৭৬৪ সালে। অথচ আমরা বাঙ্গালিরা কয় জন এর কথা জানি। এর দোষ অবশ্য আমাদের না রাশানদেরই।
আমার মনে হয় ওরা জাতি হিসেবে অনেকটাই প্রচার বিমুখ। তাই বাহিরের বিশ্ব কে এর কথা জানাতে চায় না তেমন ভাবে। বিশ্বের যত তাবৎ নামী দামি শিল্প কলা সবই আছে এই জাদুঘরে। পিকাসো, মাইকেল এঞ্জেলো থেকে আরও যারা আছে(মেডিসিনের ছাত্র বিধায় চারুকলায় বিশেষ অজ্ঞ ) ওদের সব কর্ম গুলো এই জাদুঘরে সংরক্ষিত। অথচ পাশ্চাত্য মিডিয়ার বদৌলতে আমরা অন্য সব জাদুঘরের কথা জানলেও এর কথা জানতাম না।
অথচ এই জাদুঘরে রয়েছে বিশ্বের নাম করা ৩০ লক্ষ পেইন্টিং। এই জাদুঘরের একটা বিশেষত্ব হল আপনি যদি এই জাদুঘরের প্রতিটা জিনিশ এক সেকেন্ড করে দেখতে চান তাহলে প্রায় ৭ বছর লাগবে। এটা এতটাই বড়। অথচ কয় জন এর কথা জানে পাশ্চাত্য মিডিয়ার বদৌলতে যতটা ব্রিটিশ মিউজিয়াম বা লুভর সম্পর্কে জানে। এই প্রসঙ্গে পাশ্চাত্য মিডিয়ার কথা একটু বলে নেই।
প্রতিবার বিশ্বকাপ এর আগে সেটা ক্রিকেটই হোক আর ফুটবলই হোক ইংল্যান্ড টীম এর কথা পাশ্চাত্য মিডিয়া এমন ভাবে প্রচার করে যে বিশ্বকাপটা এবার পৈত্রিক সম্পত্তির মতোই দখলে নিবে ইংল্যান্ড। পরে দেখা যায়, "খয়রাত চাই না কুত্তা খেদা" দশা হয়।
ভেতরকার একটি পথ
মাইকেল এঞ্জেলোর একটি সৃষ্টি।
জাদুঘরে ঢোকার পথ
রাজা বাদশার দরবার হল
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।