আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল ।
সূরা ফাতেহার ফজিলত বিভিন্ন রেওয়াতে বর্ণিত আছে । কোন কোন ছূফীদের মতে যাহা কিছুই পূর্ববর্তী আসমানী কিতাব সমূহে ছিলো উহার সব কিছূই কোরআন শরীফে আসিয়াছে । আবার যাহা কিছূ পুরা কোরআনে আছে, তাহা সূরা ফাতিহার মধ্যে আছে ।
আব্দুল মালেক এবনে ওমায়ের (রাঃ) ছূরায়ে ফাতেহার ফজিলত সম্পর্কে হুজুর (সা.) এর হাদিস বর্ণনা করেন যে, সূরায়ে ফাতেহা যে কোন রোগের শেফা বা ঐষুধ । (দারেমী)
হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে, হুজুর (সা.) বলেন, ঐ আল্লাহর কছম খাইয়া বলিতেছি যাহার কুদরতি হাতে আমার জান রহিয়াছে । ফাতেহার মত সূরা তাওরাত, ইন্জিল, যবুর এবং কোরআনের বাকী অংশ কোনটাতেই আসে নাই ।
মাশায়েখগণ লিখিয়াছেন, পূর্ণ বিশ্বাস সহকারে ফাতেহা পাঠ করিলে সব রোগ হইতে মুক্তি পাওয়া যায় । সিহা সিত্তায় বর্ণিত আছে, সাহাবাগণ সাপ, বিচ্ছু দংশন করা রোগীর উপর এবং মৃগী ও পাগল রোগীর উপর সূরা ফাতেহা পড়িয়া দম করিতেন ।
হুজুর (সা.) উহাকে জায়েজ বলিয়াছেন ।
একটি রেওয়াতে আছে, কেহ যদি শুইবার সময় সূরা ফাতেহা এবং সূরা ইখলাস পড়িয়া আপন শরীরে দম বা ফূ দেয়, মৃত্যু ব্যতীত যে কোন মছীবত হইতে সে হেফাজতে থাকিবে ।
একটি রেওয়াতে আছে, সূরা ফাতেহা কোরআনের দুই-তৃতীয়াংশের ছওয়াবের সমতূল্য । অন্য হাদীসে আছে, মহানবী (সা.) বলিয়াছেন, আরশের বিশেষ ভান্ডার হইতে আমি চারটা জিনিষ প্রাপ্ত হইয়াছি । এগুলো হলোঃ সূরা ফাতেহা, আয়াতুল কুরসী, সূরা বাকারার শেষ কয়টি আয়াত এবং সূরা কাওছার ।
হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী (রহ.) কর্তৃক বর্ণিত সূরা ফাতেহার ফজিলতঃ
হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ সূরা ফাতেহার ফজিলত বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, আল্লাহপাক সূরা ফাতেহার মধ্যে সীমাহীন বরকত ও মর্তবা দান করেছেন । সূরা ফাতেহা শুধুমাত্র আখেরী নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কেই দান করা হয়েছে । এর তূল্য কোন সূরা বা আয়াত পূর্ববর্তী নবী-রাসূল বা জ্বিন-ইনসানের মধ্যে কাউকেই দেওয়া হয় নাই ।
অতঃপর হযরত গরীবে নেওয়াজ (রহ.) এই ঘটনাটি বর্ণনা করেন যে, 'খলীফা হারুনুর রশীদ একবার কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন । দীর্ঘ দুটি বছর আসুস্হতার মধ্যে কেটে যায় ।
কোন চিকিৎসাতেই কোন ফল পাওয়া যাচ্ছিল না । শেষ পর্যন্ত উজিরকে হযরত খাজা ফুজাইল ইবনে আয়াজের (রহ.) খেদমতে প্রেরণ করে দোয়ার আবেদন করা হলো । হযরত খাজা (রহ.) স্বয়ং উপস্হিত হয়ে হারুণুর রশীদের গায়ে হাত রেখে ৪১ বার সূরা ফাতেহা পাঠ করতে শুরু করলেন । পড়া শেষ হওয়ার আগেই খলীফার শরীর হালকা অনূভূত হতে লাগল এবং অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি সুস্হ হয়ে গেলেন । '
আল্লাহপাক পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন, ইহা ঐ কিতাব যাতে সন্দেহের কোন-ই অবকাশ নেই ।
এতে মানব জাতির জন্য পরিপূর্ণ হেদায়েত রয়েছে । সবারই কর্তব্য আকিদা অর্থাৎ বিশ্বাস ঠিক করা । সাফল্য এবং রোগ -শোকে আরাম পাওয়ার এটাই একমাত্র পথ ।
সূত্রঃ ফাজায়েলে আমাল এবং কুড়ানো মানিক - ৪র্থ খন্ড। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।