অ আ এটা আলোচনার একটা সূত্রপাত মাত্র:
গত ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশে উচ্চ-শিক্ষা সম্পর্কিত মন্ডলে যে ক্ষোভ পূঞ্জীভূত হচ্ছিলো, তার কিছু বহিঃপ্রকাশ আমরা দেখতে পেয়েছি চট্টগ্রামে ২০১০ এ বর্ধিত বেতন ফি'র প্রতিবাদে ছাত্রান্দোলন। আর সদ্যবিদায়ী বছরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের আন্দোলনের কথাও সবাই জানেন।
বিশ্বব্যাঙ্কের কৌশলপত্র বলতে যা বোঝানো হয়, সেটা পাইনি হাতে, কিন্তু প্রাসঙ্গিক কয়েকটা লেখা পড়ে আমার ভেতরে যে প্রশ্নগুলি মাথাচাড়া দিয়েছে, তার মাঝে একটা হলো: উচ্চশিক্ষা সাধারন মানুষের নাগালের বাইরে নিয়ে গেলে বিশ্বব্যাঙ্ক ঠিক কি ফায়দা আশা করে।
আরেকটু খুলে বললে, আমাদের দেশে বর্তমানে ভর্তুকি ভিত্তিক উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয় সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে। দেশের অনুন্নত অঞ্চলগুলি থেকে 'মেধা' নামক যোগ্যতার ভিত্তিতেই শিক্ষার সুযোগ করে দেয়া হয় শিক্ষার্থীদের।
কার বাপের কতো পয়সা আছে তার সাথে শিক্ষার কোনো সম্পর্ক কোনদিনও ছিলো না, অন্ততঃ সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে তো নয়ই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় সহপাঠির বড়লোকি শুধু তার বাপের গাড়ি পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিলো।
এখন, যদি বিশ্বব্যাঙ্কের এই কৌশলপত্র ২০২৬ সালের মাঝে বাস্তবায়ন হয়েই যায়, বড়লোক বাপের পুত্র কণ্যা গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বার সুযোগ পেয়ে যাবে। আগে হয়তো নর্থসাউথ বা কোন একটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তো, এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসবে, পেটমোটা মানিব্যাগ নিয়ে।
সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আর 'সরকারী' বা জনগনের জন্য থাকবে না।
সেটা নাহয় বুঝলাম। কিন্তু এসব করে বিশ্বব্যাঙ্কের কি ফায়দা..
এ বিষয়ে খোলাখুলি আলোচনা হলে ভালো হয়। বিশ্বব্যাঙ্ক বা তাদের চামচা সরকারী দলগুলির কোনো এপলজিস্ট যদি থাকেন, হাত তুলুন, আমরা মারবো না, কথা দিচ্ছি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।