আর যারা পরকালে বিশ্বাস করে না তারা নিঃসন্দেহ পথ থেকে তো বিপথগামী। (২৩-৭৪)
নরওয়ের দেশটির উচ্চশিক্ষার মান বেশ উঁচু। এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ব্যাচেলর, মাস্টার্স, ডক্টরাল বা পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করা যায়। আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ফল সেমিস্টারে এবং জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত স্প্রিং সেমিস্টারে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়।
যেসব বিষয়ে পড়া যায়ঃ এডুকেশন, অডিওলজি, আর্লি চাইল্ডহুড এডুকেশন, লাইব্রেরি সায়েন্স, বায়োটেকনোলজি, অকুপেশনাল থেরাপি প্রোগ্রাম, ফুড সায়েন্স, স্পেশালাইজড টিচার এডুকেশন, ফার্মাসি, ফিশারিজ, ফিজিওথেরাপি, হিউম্যানিটিজ, ইঞ্জিনিয়ারিং, জার্নালিজম, ল, আর্ট অ্যান্ড ডিজাইন, অ্যাগ্রিকালচার সায়েন্স, মেরিটাইম সায়েন্স, মেডিকেল সায়েন্স, ডেনটিস্ট্রি, অর্থোপেডিকস, রেডিওলজি, ন্যাচারাল সায়েন্স, সোশ্যাল সায়েন্স, আর্কিটেকচার, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, বিজনেস স্টাডিজ, ম্যানেজমেন্ট সায়েন্স, সোশ্যাল ওয়ার্ক প্রোগ্রাম, নার্সিং, থিওলজি, ভেটেরিনারি মেডিসিন, ম্যাথমেটিকস, বিবিএ, এমবিএ ইত্যাদি।
ভর্তির যোগ্যতাঃ নরওয়েতে ব্যাচেলর প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে ১২ ও মাস্টার্স প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে ১৫ বছরের শিক্ষাজীবন সম্পন্ন হতে হবে। উভয় প্রোগ্রামের ক্ষেত্রেই IELTS-এ ৫·৫-৬·০ পয়েন্ট অথবা TOEFL-এর CBT-তে ২১৩ বা IBT-তে ৭৯-৮০ স্কোর থাকতে হয়। এখানে নরওয়েজিয়ান ও ইংরেজি-উভয় ভাষাতেই পড়াশোনা করা যায়। তবে নরওয়েজিয়ান ভাষায় পড়তে গেলে ওই ভাষার ওপর ভালো দক্ষতা থাকতে হবে এবং আরও কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। এখানে ব্যাচেলর ডিগ্রি তিন, মাস্টার্স দুই ও পিএইচডি ডিগ্রি তিন-চার বছরমেয়াদি হয়ে থাকে।
টিউশন ফিঃ সাধারণত নরওয়ের সরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো টিউশন ফি নেওয়া হয় না, যা বিদেশি শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তবে কিছু প্রোগ্রাম বা কোর্সের ক্ষেত্রে এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে টিউশন ফি নেওয়া হয়। এসব ক্ষেত্রে প্রতি সেমিস্টারে ৫১-১০১ মার্কিন ডলার ফি লাগে।
জীবনযাত্রার ব্যয়ঃ এখানে একজন শিক্ষার্থীর থাকা, খাওয়া, কাপড়, বই, যোগাযোগ ইত্যাদির জন্য প্রতি মাসে প্রায় এক হাজার ৩৩৯ মার্কিন ডলার লাগে। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যয়ের পরিমাণ কম-বেশি হতে পারে।
এটি শিক্ষার্থীর ওপর নির্ভর করে।
কাজের সুযোগঃ নরওয়েতে একজন শিক্ষার্থী সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করতে পারে। আর ছুটির দিন কাজ করা যায় ফুলটাইম। এখানে ক্যাফে, বার, সামার জব, সিজোনাল জব, ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেক্টর, হেলথ সেক্টর, ফিশিং সেক্টর, সোপ, ক্লিনার, ম্যানেজমেন্ট, কম্পিউটিং, এনজিও, সেলস, কল সেন্টার, ট্রাভেল, রেস্টুরেন্ট ইত্যাদিতে কাজ করে ঘণ্টায় ৭-২২ মার্কিন ডলার আয় করা যায়।
যেভাবে আবেদন করতে হয়ঃ প্রথমেই বিশ্ববিদ্যালয়ের যে বিভাগে ভর্তি হতে চান, সেখানকার আবেদনপত্রের সময়সীমা দেখে নিতে হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভর্তি অফিস বরাবর ভর্তি তথ্য ও ফরম সম্পর্কে জানতে আবেদনপ্রত্র পাঠাতে হবে। এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকেও ডাউনলোড করা যায়। আবেদনপত্র যথাযথভাবে পূরণ করে এর সঙ্গে মার্কশিটসহ শিক্ষাগত সব কাগজ, স্কুল-কলেজ ত্যাগের সার্টিêফিকেট, টোফেল কিংবা আইইএলটিএস টেস্টের ফল, পাসপোর্টের ফটোকপি, আবেদনপত্রের ফি, জামানত ফি এবং স্টুডেন্ট পাস অ্যান্ড ভিসা ফি পরিশোধের রসিদ সংযুক্ত করতে হবে। সব প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য এক বছর আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া ভালো। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদনপত্র জমা দেওয়ার ছয় থেকে আট মাসের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়।
ক্রেডিট ট্রান্সফারঃ শিক্ষার্থীরা আন্ডার-গ্র্যাজুয়েট কিংবা পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রির ক্ষেত্রে ক্রেডিট ট্রান্সফারের আবেদন করতে পারে। সে ক্ষেত্রে কোর্সের ৫০ শতাংশের বেশি সম্পন্ন হলে অগ্রহণযোগ্য হবে। নরওয়ের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বি’ গ্রেড পর্যন্ত নেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদানুযায়ী কাগজপত্র প্রদান করতে হবে। এ ক্ষেত্রে এ পর্যন্ত সম্পন্ন হওয়া সব কোর্সের প্রমাণপত্র দিতে হবে।
কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব ঠিকানাঃ
University of Oslo, Web: http://www.uio.no
University of Bergen, Web: http://www.uib.no
University of Troms, Web: http://www.uit.no
Norwegian University of Science and Technology, Web: http://www.umb.no
University of Agdir, Web: http://www.uia.no
University of Stavanger, Web: http://www.uis.no
এ ছাড়া বিস্তারিত জানতে ঢাকার নরওয়েজিয়ান দূতাবাসের নিচের ঠিকানায় যোগাযোগ করতে হবে।
Royal Norwegian Embassy
House-9, Road-111, Gulshan, Dhaka.
Phone: + 880 2 882 3065 /
+ 880 2 881 05 63
Fax: + 880 2 882 3661
Web: http://www.norway.org.bd
Email:
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।