আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক প্রভুভক্ত কুকুরের গল্প

ফিল্ম কিংবা গল্প-উপন্যাসে নয়, ক্যালিফোর্নিয়ার রাস্তায় কুকুরের প্রভূভক্তির আরেকটি উদাহরণ সৃষ্টি হলো। প্রভূকে হ্যান্ডকাফ পরাতেই কুকুরটি চিৎকার করতে করতে গাড়ির জানালা দিয়ে লাফিয়ে যায় পুলিশের কাছে। প্রথমে ঘেউ ঘেউ করে পুলিশকে বিরত রাখতে চায়। কিন্তু অ্যাকশন না থামানোয় কুকুরটি লাফিয়ে আক্রমণ করে পুলিশকে। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক ৩ পুলিশ অফিসার।

এক পর্যায়ে ঐ কুকুরকে নিবৃত্ত করতে এক অফিসার গুলি ছোঁড়েন। মাটিতে লুটিয়ে পড়লো কুকুরটি। এ দৃশ্য দেখে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন গ্রেপ্তার হওয়া লোকটি। কিন্তু তার হাত বাঁধা পিঠমোড়া দিয়ে। অশ্রু ঝরে পড়তে লাগলো লোকটির দু'গাল বেয়ে।

হথরনো সিটির একটি আবাসিক এলাকায় গত ৩০ জুনের এ ঘটনা একজন পথচারির ভিডিওতে বন্দি হয়েছে এবং তা ছেড়ে দেয়া হয় ইউটিউবে। ঐ সিটির ১৩৭ স্ট্রিট এবং জেফারসন অ্যাভিনিউতে টহল পুলিশ একটি অভিযান পরিচালনা করছিলেন। এ সময় ঐ পথ দিয়ে যাওয়া এক ব্যক্তির ৮০ পাউন্ড ওজনের বিরাট একটি কুকুর দৌঁড়ে একটি গাড়ির উপরে ওঠে। এ দৃশ্য সেলফোনে ধারণ করছিলেন লিয়ন রসবী (৫২)। পুলিশ তাকে নিষেধ করে।

তবুও তিনি থামেননি। এক পর্যায়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে চায়। পুলিশের এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে রসবী তার কুকুরকে পার্ক করা গাড়িতে ঢুকিয়ে দেন। তবে খোলা রেখেছিলেন জানালার অর্ধেক। এরপর লোকটি হেঁটে পুলিশের কাছে যাওয়া মাত্রই হ্যান্ডকাফ পরানো হয়।

আর তখনি গাড়ির ভেতর থেকে গর্জে উঠে কুকুরটি। রটউইলার নামের ২ বছর বয়েসী কালো রংয়ের কুকুরকে পরপর ৪ রাউন্ড গুলিবর্ষণের ঘটনায় পথচারীরা আফসোস করতে থাকেন। সবকিছুই ধারণ করা হয়েছে ঐ ভিডিওতে। তবে পালিত কুকুরকে এভাবে হত্যার পক্ষে সাফাই গেয়েছে সেখানকার পুলিশ বিভাগ। তারা এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন যে, আত্মরক্ষার্থে এ ব্যবস্থার বিকল্প ছিল না।

অপরদিকে, রসবী স্থানীয় মিডিয়াকে বলেছেন যে, তার অত্যন্ত প্রিয় ও বিশ্বস্ত কুকুর হত্যার জন্যে তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করবেন। তিনি বলেন, আমার কুকুরটি কখনোই কাউকে কামড় দেয়নি। পুলিশ যা করেছে তা নির্দয় আচরণের সামিল। এর খেসারত দিতেই হবে। কারণ আমি পুলিশের ডাকে সাড়া দিয়েছি অত্যন্ত ধীরস্থিরভাবে।

তথ্যসূত্র  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২০ বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।