২. ব্যক্তির চেতনা একটু হলেও লুপ্ত হয় যখন সে কোন প্রতিষ্ঠানে যুক্ত থাকে। ১. যদি চতুর্দিক বন্ধ নিরেট পাথরের ভিতরেও কেউ ভাল কাজ করে, তবু সেটার কল্যাণ পৃথিবীতে ছড়াবেই। (এটি হাদিস। ) ০.সাপের মাথা বাদে বাকি পুরোটাই লেজ। সো, লেঞ্জা ইজ কোয়াইট ইম্পসিবল টু হাইড।
পড়িনি। শুনলাম শুধু। ধর্মহীন কিছু মানুষকে পদ্ধতিগতভাবে তওবা করানোর বিষয়ে আলোচনা চলছে।
পড়িনি, কারণ পড়ার রুচি হয়নি।
আমি,
দৃঢ়কন্ঠে প্রতিবাদ করতে বাধ্য হই,
কারণ এই তওবা হবে দুই দিক দিয়ে অবমাননা-
১. ইসলাম ধর্মের অবমূল্যায়ন।
২. একজন মানুষের ব্যক্তিগত বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অবমূল্যায়ন।
তওবা, এক মহান পদ্ধতি
তওবা হল এক মহান পদ্ধতি। আমাদের প্রিয়তম রাসূল দ. প্রতিদিন ৭০ বার তওবা করতেন শুধু আমাদের শিক্ষা দেয়ার জন্য (বুখারী ও মুসলিম শরীফের সাইয়িদুনা উমার রা.'র সাথে হাদিস দ্রষ্টব্য। )
বলা হচ্ছে,
মানুষ যতবার আন্তরিকভাবে তওবা করে, মহান রাব্বুল ইজ্জাত সেই তওবা ততবারই কবুল করে নেন।
এখন প্রশ্ন হল,
১. তওবা আন্তরিক তথা অন্তরের অন্তস্থল থেকে হতে হবে।
কারণ স্বয়ং আল্লাহ (যদি তাঁকে বিশ্বাস করে থাকেন তওবাকারী) ঠিক ঠিক জানেন,
অন্তরে কী রয়েছে।
২. পরে তওবা করে নিব, এই ভাবনায় পাপ করলে সেটার ক্ষমা পাবার সুযোগ প্রায় নেইই।
৩. তওবা করলেও অন্যের অধিকার নষ্ট হলে সেটা আল্লাহ ক্ষমা করেন না, যতক্ষণ না যে ব্যক্তির অধিকার নষ্ট হয়েছে তিনি ক্ষমা করছেন অথবা ক্ষতিপূরণ নিচ্ছেন এই জগতে বা ওই জগতে।
তওবা এমনি এক মহান পদ্ধতি,
যার মাধ্যমে-
১, পাপী পাপমুক্তি পাবেন।
২, নিষ্পাপ পাপ থেকে সব সময় সাবধানতার অটোসাজেশন দিতে পারবেন।
৩, নিষ্পাপ এর মর্যাদা (সওয়াব...) বৃদ্ধি পাবে।
৪, তওবার মাধ্যমে আল্লাহর যিকর (স্মরণ) এবং তাঁর রাসূল দ.'র সুন্নাত পালন করা হবে।
তওবা কাকে করানো যায়?
যিনি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল দ. এবং নির্ধারিত ধর্মে বিশ্বাসী, শুধুমাত্র তাঁকে তওবা পড়ানো যায়। অন্য কাউকে নয়।
দ্বিতীয়ত যিনি জেনেশুনে ইসলাম গ্রহণ করে সেটা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন, এবং অনুতপ্ত হয়েছেন নিজেই আন্তরিকভাবে ও ইসলামে ফিরে আসতে চান তাঁর জন্য তওবা প্রযোজ্য।
কিন্তু একজন মানুষ যদি জন্মগতভাবে একটা ধর্মীয় বিশ্বাসে আবদ্ধ থেকে সেখান থেকে বেরিয়ে আসে, মুরতাদের কথা তার ক্ষেত্রে কতটা প্রযোজ্য তা আমাদের বিবেক দিয়ে ভাবার সময় এসেছে। তিনি তখন কি মুরতাদ হবেন, (কারণ তিনি ধর্ম গ্রহণের সময় সচেতন ছিলেন না, বাবা মায়ের কথামত পালন করেছেন) নাকি নাস্তিক বা অন্য ধর্মাবলম্বীতে পরিণত হবেন?
তওবা করানোর ফলাফল কী হতে পারে?
একবার কল্পনা করুন তো...
সাতসো বা আটশো বছর আগে আমাদেরই কোন এক পূর্বপুরুষের কথা, যিনি জেনেশুনে, সজ্ঞানে সনাতন ধর্ম ছেড়ে ইসলাম কবুল করেছিলেন।
তারপর তাঁর সমাজ তাঁকে সেই পরিস্থিতিতে না থাকতে বাধ্য করছে। খেয়াল করুন, তাঁর নিজস্ব বিশ্বাসে না চলতে সমাজ বাধ্য করছে।
এরপর সেই ধর্মান্তরিত মুসলিম পূর্বপুরুষ,
আমার বা আপনার,
সেই পূর্বপুরুষের ইচ্ছা বা অনিচ্ছার ধার না ধেরে-
সমাজ তাঁকে গোবর এবং গোমূত্র পানে বাধ্য করলে (ইসলামে এমন কোন পদ্ধতি নেই, ইসলামের সাথে তুলনা করছি না।
তবে খাৎনা আছে। )
অথবা মূর্তিপূজায় বাধ্য করলে তার প্রতিক্রিয়া কতটা তীব্র হতে পারে?
তাঁরা জনম জনম এই বিদ্বেষ পুতে রাখবেন মাটির তলায়। সে মাটি থেকে চারা গজাবে। নতুন, নতুন।
এবার এই নাস্তিক মানুষগুলো, যাঁদেরকে তওবা করানোর মত অতি ভঙ্গুর এবং ভয়ানক একটা সিদ্ধান্তের প্রতি এগিয়ে যাবার কথা বলছেন আলিম সমাজের কিয়দংশ,
একবার ভাবুন তো,
এই মানুষগুলো মনে করবে,
এ টা ই
বু ঝি
রা সূ ল দ.'র
প দ্ধ তি!
নো, ম্যান! এটা ইসলামও নয়, রাসূল দ.'র পদ্ধতি নয়।
আমার রাসূল দ. কে আর বিতর্কিত করবেন না আপনাদের নিমজ্ঞান দিয়ে।
এখন মধ্যযুগ নয়
এখন মধ্যযুগ নয়। যে হোলি ওঅটর ছিটিয়ে দেবেন। ধরে বেঁধে তওবা করিয়ে দেবেন। অথবা গোমূত্র পান করিয়ে দেবেন।
মাত্র একজন নাস্তিককেও যদি সামাজিক চাপে তওবা করানো হয়,
হিতে বিপরীত হবে।
ভবিষ্যতে এক হাজার নাস্তিকের জন্ম হবে।
এজন্য দায়ী থাকবেন আপনারা।
এবং নিশ্চিত জেনে রাখুন,
যিনি এই প্রস্তাবনা করছেন এবং যিনি এটা বাস্তবায়ন করবেন,
আপনার সন্তান বা অনাগত বংশধর আপনার চোখের সামনে নাস্তিক্য গ্রহণ করবে।
কারণ আল্লাহ বড় বিচিত্র পদ্ধতিতে শাস্তি দেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।