সভাপতি- বিক্রমপুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ, সম্পাদক ঢেউ, সভাপতি- জাতীয় সাহিত্য পরিষদ মুন্সীগঞ্জ শাখা আজ জুলাই ১৭ জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সভায় সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর সমালোচনা করে ড. কামাল হোসেন বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে জনপ্রতিনিধিরা রাষ্ট্রের মালিক অর্থাৎ জনগণকে মালিকানা থেকে বঞ্চিত করেছেন। এই সভায় সভায় মূল বক্তব্যে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ৭(ক) অনুচ্ছেদে তুলে ধরেন। এতে বলা হয়, কোনো ব্যক্তি সংবিধান বা এর কোনো বিধানের প্রতি নাগরিকের আস্থা নষ্ট করার প্রক্রিয়া চালালে বা সমর্থন করলে তা রাষ্ট্রদ্রোহ বলে বিবেচিত হবে। রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় বর্তমান সংবিধানের বিপক্ষে আন্দোলন গড়ে তোলার প্রস্তাব দেয় নাগরিক সংগঠন সুজন।
সভায় আলোচনায় অংশ নেন শাহদীন মালিক, আসিফ নজরুল, আ স ম আব্দুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, সালমা খান, মিজানুর রহমান খান প্রমুখ। কিন্তু কেউই নাস্তিক ও ধর্মহীনদের যে সংবিধান থাকলো না সেটা বলেন নি। অবশ্য তারা জনগণের ক্ষমতা যে সংবিধান কমিয়ে দিয়েছে সেটা বলেছেন।
উগ্রপন্থীদের দাপটে প্রগতিশীলরা কিছুটা চেপে আছে বলেই মনে হচ্ছে। পত্রিকায় কয়েকজন খ্যাতিমান বুদ্ধিজীবীর মন্তব্য দেখেছি।
এদেশে যারা প্রগতিশীল, ধর্মচিন্তা করে না, তাদের যে কোন সংবিধান থাকল না সেটা কিন্তু ভাবার বিষয়। হিন্দু, মুসলীম, বৌদ্ধ, খৃস্টান সবার জন্য সংবিধান। হুমায়ুন আজাদ বা আহমদ শরীফের জন্য কিন্তু সংবিধান নয়। তারাতো ধর্ম বিশ্বাসী ছিলেন না। ভাগ্যিস এই সাহসী লোক দুইজন বেঁচে নেই।
বেঁচে থাকলে কিছু বলতে পারতেন হয়তো? তাঁরা দুইজন ঠিকই প্রতিবাদ করে ফেলতেন।
এদেশে সংখ্যায় বেশ কিছু নাস্তিক রয়েছেন। আমি বেশ কয়েকজনকেই চিনি যারা কোনভাবে শ্রষ্টায় বিশ্বাসী নন। তারা কার নামে শুরু করবে সংবিধান পাঠ। মুসলিমরা আল্লাহ, হিন্দুরা ভগবান, ... কিন্তু নাস্তিকরা কার নামে শুরু করবে সংবিধান পাঠ।
তাঁরতো ধর্মে আস্থা নেই, সে কেন আস্থা দেখাতে যাবে। রাষ্ট্রীয় ধর্ম থাকলো, অন্য ধর্মের অধিকার থাকলো কিন্তু যারা ধর্ম মানে না তাদের ধর্ম পালন না করার ক্ষমতা কি থাকলো সংবিধানে? কেউ কি বলবেন?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।