প্রচলিত মুল্যবোধ গড়ে উঠেছে এভাবে যে আমরা ধনী গরীব সকল মানুষ একই সাথে দাড়িয়ে বসে নামায রোজা প্রার্থনা করবো,গরীব কম খেয়ে ভাংগা ঘরে শুয়ে ধৈর্য্যের পরীক্ষা দেবে এবং ধনীরা বেশী খাবে সব্বোর্চ ভোগ করবে। সকল ধর্মের মুল্যবোধ এই-ই। একজন গরীব হিন্দু একজন গরীব মুসলমান একজন অন্য যে কোন ধর্মের গরীবের জীবনমান একই,ধর্মীয় আচার আলাদা হলেও সকল ধর্মের গরীবকে কম খেয়ে ভাংগা ঘরে শুয়ে ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিতে হয়। একজন ধনী হিন্দু একজন ধনী মুসলমান একজন অন্য যে কোন ধর্মের ধনী মানুষের জীবনমান একই। ধর্মীয় আচার আলাদা হলেও সকল ধর্মের ধনীরা বেশী খাবে সব্বোর্চ ভোগ করবে তাই ন্যয় মুল্যবোধ বিবেচিত হয়ে থাকে।
সকল ধনীরা তাদের সকল ধন সম্পদ সকল দরিদ্রদের মধ্যে সমান সমান ভাগ করে ব্যবহার করলে তা কি অধর্ম হবে ! ধনী গরীব সকল মানুষ একই সাথে দাড়িয়ে বসে যেমন নামায রোজা প্রার্থনা করে তেমনি একই রকম ঘরে বসবাস করলে,একই মানের খানা খেলে,একই রকম পেশাক,একই মানের লেখাপড়া,চিকিৎসা পেলে তাও কি অধর্ম হবে! সকল ধন সম্পদ সকল দরিদ্রদের মধ্যে সমান সমান ভাগ করে ব্যবহার করলে তা যদি অধর্ম হয় তাহলে নগ্নতা যৌনতা বাজারজাতকরন কোন মহান ধর্ম ! আল্লাহ প্রদত্ত সকল সম্পদ সকল মানুষ সমান সমান খাবে,সমান সমান ভোগ করবে তা অন্যায় মুল্যবোধ হিসেবে স্বীকৃত শুধু নয় যারা একথা বলে তারা ধর্মপালন করলেও তাদেরকে নাস্তিক বলার মুল্যবোধ গড়ে তুলেছেন ধার্মিক ধনীরা। সকল ধর্মেই ধনীদের বেশী সুযোগ দেয়া হয়েছে। কেউ গরীব থাকবে না সকলে সমান সমান ধন সম্পদ টাকা পয়সার মালিক হবে তা যে পাপ তা ও কোন ধর্মে নেই। আমরা কি আমেরিকা অনুসারী নাকি ভারত অনুসরী কারন আমেরিকায় অনেক উপাসনালয় আছে প্রচুর যাজক আছে আবার অধর্ম রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত— -- কুমারী মাতৃত্ব সমকামী বিবাহ বেশ্যাবৃৃিত্ত অনুমোদিত। আর ইন্ডিয়ায় যা হচ্ছে তা আমাদের অজানা নয় আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারী দেশ ভারত নামী দামী নায়িকা ও সেলিব্রেটিদের লাইভশোতে বুক ও পেটের কাপড় সরিয়ে নাচাচ্ছে,নগ্নতা,যৌনতা,অধার্মিকতা অনুমোদিত।
সুজলা সুফলা স্বাধীন বাংলাদেশে মসজিদের দেওয়ালের পাশে বিউটি পার্লারের ডিজিটাল সাইনবোর্ড,মসজিদের ১০০ গজের মধ্যে বৃটিশ আমল থেকে বহমান বেশ্যালয় যা এখন আরোও বড় করে চলমাান। উদ্দেশ্য দারিদ্র বিমোচন। একজন সাধারন ধার্মিক গরীব মানুষ স্বাধীন দেশের কর্ণধারদের জন্য মত প্রকাশ করছে,বলতে চাইছে অবশ্যই সংলাপে বসুন এবং জনগণের কাছে অংগীকার করুন রাজনৈতিক দলগুলির গঠনতন্ত্রে অর্ন্তভূক্ত করা হবে যারা রাজনীতিকে পেশা হিসেবে নিতে চান তারা কেউই ৩০ লক্ষ টাকার বেশী মালিক হবেন না। যারা সংসদ নির্বাচনে প্রাথী হবেন তারা ৩০ লক্ষ টাকার বেশী মালিক হবেন না আমরা যে দলই ক্ষমতায় যাই সেনাবাহিনী নৌবাহিনীর তত্বাবধানে ০-১৮ বছর বয়স পর্যন্ত সকল শিশুদের ফ্রি রেশন কার্ড দেওয়া হবে যে রেশন কার্ডের মাধ্যমে জন্ম থেকে ১৮ বছর বয়স অর্থাৎ উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত সকল শিশু সম খাবার,সম কাপড়,সমঘর,সম লেখাপড়া,সম চিকিৎসা খরচ পাবে এবং ৬০ উর্দ্ধো সকল বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের সকল দায়িত্ব রাষ্ট্রীয় তত্বাবধানে স্বয়ং রাষ্ট্র নিজে সকল বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের সম খাবার,সম কাপড়,সমঘর,সম যতœ ,সম চিকিৎসা পরিচালনা করবে। আরোও অংগীকার করুন আমরা যে দলই ক্ষমতায় যাই প্রত্যেক নাগরিককে ৩ মাসের সামরিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সৎ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক বানানোর দায়িত্ব সেনাবাহিনী নৌবাহিনীর তত্বাবধানে দেওয়া হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।