-জবের জন্য ট্রাই করো অনলাইনে। জব করা উচিৎ এখন...
-হুমম...করব। আমার স্টাডি এখনো শেষ হয়নি।
-কি বলে না বলে, তোমার ফাইনাল হয়ে গেছে। আবার বলছ শেষ হয় নি, পাগলী একটা...
-ফাইণাল এক্সাম শেষ বাট পড়ার কি আর শেষ আছে...
-তা ঠিক।
-এখন ভালো জব পাওয়াটা জরুরি।
-পেয়ে যাবে। চিন্তা করো না।
-চিন্তা করি না কিন্তু দেশের ইকোনোমিক্যাল কনডিশনতো ভালো না। এজন্যই চিন্তা হয় মাঝে মাঝে।
-এটা ভুল কথা। আমাদের দেশে কোন ইকোনোমিক্যাল প্রোবলেম নেই। যারা বলবে তাদের মুখে জুতা দিয়ে বাড়ি মারবা...
-তোমার হয়েছে কি শুনি? এভাবে কথা বলছ কেন?
-একটা নিউজ জানো? বাংলাদেশ শেষ হয়ে যাচ্ছে!
-হাঃহাঃহাঃ
-অনলি ফর প্রেজেন্ট গভর্নমেন্ট।
-তুমি দেশ নিয়ে খুব ভাবো তাই না?
-হ্যাঁ ভাবি। কিন্তু কিছু করতে পারি না!
-কেন পারো না?
-কোন কাঠে যদি উঁই পোকা ধরে, তখন কাঠটা শেষ হতে থাকে যতই মেডিসিন দাওনা কেন।
তখন কাঠ বাঁচানোর জন্য ওইটুকু কেটে ফেলতে হয়...
-তাহলে আর প্রোবলেম কি? নতুন করে সবকিছু ঠিক করে নিলেই হয়।
-হাঃহাঃহাঃ...কিন্তু কাঠ কাটার জন্য যে ছুরিটা দরকার সেটা কোথায়?
-এ্যাকচুয়ালি সাহস আর ইচ্ছেশক্তি থাকলে সব কিছু করা যায়। ঘরে বসে অনেক বড় বড় লেকচার দেওয়া যায়। রিয়্যালিটি জিরো।
-আমি তোমার সাথে একমত।
আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবিরা কি করে জানো? সব শালারা সরকারের পা চাটা কুত্তা। বিদেশ ট্যুর দিলেই সরকার ভালো। এই হলো বুদ্ধিজীবি।
-হুমম...ওরা শুধু গোল, চার কোণা, তিন কোণা বৈঠক ছাড়া আর কিছু জানে না। কোন কিছু হলেই তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি, ওমুক তমুক...কত কিছু।
বাদ দাও ওদের কথা, নিজে কি করতে পারলাম সেটাই বড় কথা।
-আমি দু’দিন যাবৎ ঘুমাতে পারছি না!
-কেন?
-এমন কিছু নিউজ পেয়েছি...আমিতো পুরো আকাশ থেকে পরেছি! দেশের জনগণ জিম্মি। আমি পলিটিক্স করি না কোনদিন করব না এর জন্যই বিষয়গুলো জানার পর থেকে মেনে নিতে পারছি না!
-গোপনে অনেক কিছু ঘটে যায় যা আমরা সাধারণ মানুষেরা জানতে পারিনা। খুব শীঘ্রই বিশেষ একটা রিভ্যালুয়েশন দরকার তা না হলে সব শেষ হয়ে যাবে! তুমি-আমি আমরা কেউ থাকব না। তুমি কি জেনেছ জানি না তবে এটা জানি যে, দেশ ভালো নেই!
-যা জেনেছি...এথন মনে হচ্ছে জেনেও ভুল করেছি!
-কি জেনেছ?
-সেদিনএকটা গোয়েন্দা অফিসে গিয়েছিলাম এ্যাজ এন ইলেট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার,কিছু কাজের জন্য ডেকেছিল আমাকে।
আর ওখানে বেশ কিছু পেপারস্ দেখেছি, আই মিন ফ্যাক্স পেপার এন্ড টেপ রেকর্ডিং। খুব গোপনে দেখেছি। আমি কিছু কপি করে এনেছি। যা বললে মানুষ বলবে শালা পাগল...
-কি সেগুলো?
-কিভাবে যে বলি বুঝতে পারছি না...। সেদিন ফেরার পর সারারাত পরেছি, দেখেছি আর ভেবেছি।
বিডিআর ঘটনা, ইন্ডিয়ার সাথে গোপন চুক্তি আরো অনেক কিছু...
-বিডিআর-এর ঘটনাতো আগেই কিছু ফ্ল্যাশ হয়েছে। সরকার নিজেই নাকি ওই ঘটনা ঘটিয়েছিল?
-কেন ঘটিয়েছিল জানো?
-ফর গেটিং পাওয়ার...
-নট অনলি দ্যাট, ওই ঘটনার অনেক কিছুই জানি আমি এখন পেপার থেকে জেনেছি। বিডিআর-এর বেশ কিছু সত্য ঘটনা শোন...
বিডিআর-এ যে আর্মি অফিসারগুলো ছিল সব শালারা ছিল বদমাইশ। শাস্তি হিসেবে বিডিআর-এ দেওয়া হতো। বিডিআর-এ বড় বড় অফিসাররা থাকাতে ইন্ডিয়ার সাথে কোন কিছুই করতে পারবে না বলে বিডি সরকার হঠাৎ করে একটা প্ল্যান করে ।
সেটা হলো, বিরোধী দল পন্থি বিডিআরদের শেষ করে দেওয়া। কারণ এটা করলে অল বর্ডার দূর্বল হয়ে যাবে আর বর্ডার উইক মানেই হলো ইন্ডিয়ার সাথে অল কাইন্ডস্ অব ক্রাইম ফ্রিলি করতে পারবে। ইন্ডিয়ার সাথে বাংলাদেশের চুক্তি হয়েছে পারমানবিক চুল্লী নির্মাণ বিষয়ক। ওটা করা হবে ত্রিপুরার দিকে। যদি বিরোধী দল পন্থি বিডিআর থাকে তাহলে ওদের কারণে ত্রিপুরার দিকে কিছুই করা যাবে না।
তাছাড়া বিডিআর-এ কিছু দাবী-দাওয়াও ছিল সব কিছু মিলিয়ে ওই ঘটনা ঘটানো হয়। বাংলাদেশ ইন্ডিয়ার কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনবে এ ব্যপারেও চুক্তি হয়েছে। সেটা হলো, ত্রিপুরার দিকে পারমানবিক চুল্লী নির্মাণ করতে গেলে ইন্ডিয়ার জন্য কঠিন হয়ে যাবে। আর এ জন্যই বাংলাদেশের ওপর দিয়ে সরাসরি ট্রানজিট করা হয়। আর মানুষের সামনে বলা হচ্ছে বাংলাদেশ পাঁচশ মেগাওয়াট বিদ্যুতের জন্য...
-ওএমজি! ভয়াবহ কনডিশন!
-মূল উদ্দেশ্য পারমানবিক চুল্লী কিন্তু বিদ্যুৎ কেনার যে চুক্তি হয়েছে সে চুক্তিতে কোথাও বিদ্যুতের দাম উল্লেখ নেই ।
অতএব বুঝতেই পারছ...
-তুমি কি কিছু করতে পারবে না?
-যা জেনেছি ফ্ল্যাশ করে দিতে পারব।
-তবে তাই করো। নো রিস্ক নো গেইন।
-বাট দেশের জন্য কোন মঙ্গল হবে বলে মনে হয় না।
-কেন? মানুষ এ্যাট লিস্ট জানতে তো পারবে।
-কার কাছে গিয়ে বলব? মিডিয়া ওরাতো আরো খারাপ।
-এমন কিছু কি করা যায় না যাতে পৃথিবী জেনে যাবে সব কুকর্মগুলো? তখন ইচ্ছে করলেও তোমাকে আঘাত করতে পারবে না।
-কিছুই করার নেই ম্যাডাম...
-ঠান্ডা মাথায় ভাবলে নিশ্চই কোন ওয়ে পাওয়া যাবে।
-নেই সোনা! কোন ওয়ে নেই। কয়েকটাদিন এসব মাথায় ঘুরপাক খাবে তারপর অক্ষার সব আগের মত হয়ে যাবে।
-তাহলে দেশের কথা কে ভাববে? খাচ্ছি, ঘুমাচ্ছি, নিজের জন্য কত কিছুই না করছি। একসময় সব মরে যাবো। আমরা কি শধু নিজেদের কথাই ভাববো? আই ডোন্ট থিঙ্ক সো। আমাদের কিছু একটা করা দরকার। দেশের মানুষের জন্য...
-শোন, তুমি-আমি কিছুই করতে পারব না।
এদেশের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় চেইঞ্জ আনতে না পারলে জনগণের মুক্তি আসবে না। দেশের প্রত্যেকটা মানুষ কে যদি রাষ্ট্র কর্তৃক এসব ধোঁকাবাজী গিলিয়েও খাওয়ানো হয় তাতেও কোন কাজ হবে না। এদেশের ছাপোষা মানুষগুলো লেজ গুটিয়ে ঘরে বসে দরজা-জানালা আটকে খিস্তী করা ছাড়া আর কিছুই জানে না। এরা হচ্ছে শামুকের মত । নিজের প্রয়োজন হলেই মাথা বের করে।
গন্তব্যের দিকে যায়। ’৭১-এ যারা প্রকৃত যোদ্ধা ছিল তারাই প্রতিনিয়ত নির্যাতিত আর যারা রাজাকার কিংবা এমন অনেক মুক্তিযোদ্ধা আছে যারা পরবর্তিতে কালো টাকা কামিয়েছে নানান উপায়ে তাদেরকে মদদ দিয়েছে কারা? জাস্ট থিঙ্ক ইট। এদেশে যে-ই এসব বলার জন্য মাথা তুলে দাঁড়াবে তার মাথা বিনা নোটিশে কেটে নেওয়া হবে/হয়েছে।
- যুগ যুগ ধরে বিদেশীরা আমাদের কে শোষণ করেছে এখন নিজের দেশের মানুষ নিজেদেরকে শোষণ করছে। ঠিক যেন, ডাইনোসোরদের মত।
ডাইনোরা পতন হয়েছিল খাদ্যের অভাবে নিজ জাতির মাংস ভক্ষণ করে। এখন মানুষ মানুষের মাংস খাচ্ছে। মমত্ববোধ নেই। এক দেশ অন্য দেশকে ধ্বংস করা ছাঢ়া আর কিছুই যেন ভাবতে পাওে না। আমি ভয় পাই না।
কেটে নেওয়া হোক আমার মাথা। তুমি না পারলেও আমি সব কিছু ফ্ল্যাশ করে দেব। ভীরুও মত বেঁচে থাকার চেয়ে যুদ্ধ করে মরে যাওয়া ভালো।
-নাআ! তুমি এমন কাজ করো না। আমি তোমাকে নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।