আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অনশনরত ১৬ ভাইয়ের জীবন বাঁচান প্রধানমন্ত্রী

বিশ্বাস হচ্ছে ভালবাসার শক্তি মূল লেখক .....................রাসেল পারভেজ (আমার ব্লগ) সমাবেশে দাঁড়িয়ে অনশনরত যে ছেলেটা বললো জামায়াত শিবিরের রাজনৈতিক আন্দোলন এবং নির্বিচার সহিংসতা চালানোর অধিকার আছে যে বাংলাদেশে সে বাংলাদেশে বেঁচে থাকার চেয়ে আমাদের মৃত্যুই শ্রেয়- তার এই প্রতিবাদী চেতনাকে শ্রদ্ধা জানাই। তারা একাত্তরের চেতনায় উদ্ভাসিত একটি বাংলাদেশ নির্মাণের দাবীতে নিজের জীবনকে বাজী রেখেছে। অহিংস আন্দোলনের দ্বিতীয় কঠোর কর্মসূচি আমরণ অনশনের ৯৬ ঘন্টা অতিক্রান্ত হয়েছে, একজন মানুষ নিজের দাবীর ন্যয্যতার কতটুকু বিশ্বাসী হলে সে দাবীর পক্ষে নিজের জীবন বাজী রাখতে পারে? ৯৬ ঘন্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পর তাদের ৫ জন এখন হাসপাতালে, আমাদের এইসব আবেগী তরুণের প্রাণের জন্যে প্রার্থনার বাইরেও কিছু করার আছে, আমরা জামায়াতকে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়ায় নেই, সেটার বিভিন্ন জটিলতা আছে, রাষ্ট্রের প্রস্তুতির প্রয়োজন আছে। এই সাতজন তরুণ, যাদের সংখ্যা গত ৯৬ ঘন্টার বেড়ে ১৬ জন হয়েছে, এবং আগামী কাল যাদের সমর্থনে দেশের আরও পাঁচটি অঞ্চলে আরও ৫০ জন সংহতি অনশনে বসতে ইচ্ছুক তারা সবাই আসলে যুদ্ধাপরাধী রাজনৈতিক সংগঠনমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে, এমন স্বপ্নের দেশে বসবাস করতে চায়। আমরা হয়তো জামায়াতকে এই মুহূর্তে নিষিদ্ধ করতে পারবো না কিন্তু যে তিনটি প্রক্রিয়ায় জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা সম্ভব সেগুলোতো শুরু করতে পারি।

আমাদের সামনে তিনটি পথ আছে, নির্বাহী আদেশে জামায়তকে নিষিদ্ধ করে দেওয়া, সন্ত্রাসী ও দেশবিরোধী সংগঠন হিসেবে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার আইনী প্রক্রিয়া শুরু করা আর সংশোধিত আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে যুদ্ধাপরাধী সংগঠন হিসেবে ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের বিরুদ্ধে আইনী প্রক্রিয়া শুরু করা। নির্বাহী আদেশে জামায়াত নিষিদ্ধের বাস্তবতা যেহেতু কম সুতরাং আমাদের যেকোনো দুটি আইনি প্রক্রিয়ার একটি শুরু করতে হবে, তবে এই মুহূর্তে যখন আমাদের ৫জন সহযোদ্ধা হাসপাতালের বিছানায় নি:সাড় শুয়ে আছে আমাদের কাছে প্রতিটি মুহূর্ত গুরুত্বপূর্ণ, আমাদের সময় কমে যাচ্ছে। আমরা এই ছেলেগুলোর হাতে হয়তো জামায়াত নিষিদ্ধের আইনের একটা অনুলিপি তুলে দিতে পারবো না কিন্তু ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের বিরুদ্ধে আইনী কার্যক্রমের সূচনা হিসেবে তদন্তকারী দলকে জামায়াতের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহের নির্দেশ দিতে পারি। আমাদের আইনমন্ত্রী এবং আইন মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তাগণ সে নির্বাহী নির্দেশের অনুলিপি নিয়ে আমাদের এই সহযোদ্ধাদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসতে পারেন তারা সত্যি সত্যি জনদাবির প্রতি শ্রদ্ধাশীল । প্রধানমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী এখানে দলছুট বিক্ষুব্ধ কোনো তরুণ বসে নেই, যারা নিজের জীবন বাজী রেখেছে তারা শেষ পর্যন্ত আপনার সরকারের উপর আস্থা রেখেই এখানে বসেছে, আপনাদের দিকে আশার নয়ন মেলে তাকিয়ে আছে, তারা ভাবছে আপনি-আপনারা তাদের মৃত্যুর মতো কঠোর শাস্তি দিবেন না বরং বড়দের বিবেচক মানবিকতায় আপনারা একটা ইশতেহার নিয়ে যাবেন তাদের কাছে, যে ইশড়েহারে লেখা থাকবে আপনারা ট্রাইব্যুনালের তদন্তকারী দলকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন এবং অতিদ্রুত সময়ে সে তদন্ত সমাপ্তির আদেশ দিয়েছেন।

আমরা আপনাদের দিকে তাকয়ে আছি আর আমার ভাইয়ের শরীরের পানিশূণ্যতার কষ্ট দেখছি, আমি জানি ওরা ভাঙবে তবু মচকাবে না, আপনারা তেমন গ্রহনযোগ্য কোনো উদ্যোগ না নিলে ওরা এভাবেই নিজেদের হত্যা করে ফেলবে তবি নিজের মাণ মর্যাদা বিসর্জন দিয়ে অনশন প্রত্যাহার করবে না। অহিংস আন্দোলনের সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থান হয় অগ্ন্যাহুতি, তিব্বতের প্রতিবাদীরা সেভাবে নিজেদের আত্মাহুতি দিচ্ছেন, হয়তো আপনাদের নিস্পৃহতায় এমনই কোনো বিক্ষুব্ধ আবেগী তরুণ গণজাগরণ মঞ্চে নিজেকে জ্বালিয়ে মেরে ফেলবে। আমরা অনাহারক্লিষ্ট সহযোদ্ধার কষ্ট দেখছি কিন্তু সহযোদ্ধার পুড়ে যাওয়া লাশ দেখতে চাই না। আপনার মহানুভবতা কামনা করি। লিঙ্ক .......http://www.amarblog.com/raselpervez/posts/163959য় ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।