আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সব অভিযোগ কৌশলগত কারণে!

দিনভর অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ, প্রধান দুই দলের ঢাকায় নিজস্ব কার্যালয় থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ, নির্বাচন কমিশনে দৌড়ঝাঁপের পরও বিশিষ্টজনেরা বলছেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা প্রথম আলো ডটকমকে বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, নির্বাচন ভালো হয়েছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলোকে ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপনের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এ ধরনের অনুশীলন নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠুভাবে কাজ করার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। সাবেক এই প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেছেন, ‘নির্বাচনের ফল বিপক্ষে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে এই অভিযোগগুলো আসে।

এটা এক ধরনের কৌশল। না জিতলে বলা হয় নির্বাচনে অনিয়ম হয়েছে। ’
প্রসঙ্গত, বিএনপি নয়াপল্টনে নিজস্ব কার্যালয়ে বসে সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত তিন দফা সংবাদ সম্মেলন ভোট গ্রহণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তোলে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ৮০ ভাগ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী। বেলা তিনটার দিকে সাংসদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ারের নেতৃত্বে একটি দল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ উত্থাপন করে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ ধানমন্ডির কার্যালয় থেকে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগের উত্তর দেয়। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিএনপি নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছে।
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এই অভিযোগের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসা উচিত বলে মন্তব্য করলেও জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ বলেছেন, এটি এক ধরনের কৌশল। এটা এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ। এর ফলে শাসক দলকে চাপে রাখা গেছে।

বিরোধী দল ভালোভাবে ‘হোমওয়ার্ক’ করেছিল। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দলটি এই কৌশল নিয়েছিল। নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। আষাঢ় মাসে প্রবল বর্ষণের আশঙ্কা ছিল। কিন্তু আবহাওয়া মোটামুটি ভালো থাকায় ভোটাররা ভোট দিতে গেছেন।

দুই দলের মধ্যে টান টান উত্তেজনা ছিল, ছোটো খাটো বিরোধ থেকে বড় কোনো ঘটনা ঘটার আশঙ্কা ছিল। কিন্তু মোটা দাগে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রধান নির্বাহী ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। তবে, এই চাপানউতোরের কারণে তাঁর মতে ভোট কম পড়েছে। জয় নিশ্চিত করতে নির্বাচন সম্পর্কে অভিযোগ উঠেছে।

এতে করে চাপ সৃষ্টি করা সম্ভব হয়। তবে এসব কর্মকাণ্ডের একটা চাপ ভোটারদের ওপরও পড়েছে। শতকরা ৬০ ভাগ ভোট পড়াটা বাংলাদেশের কোনো স্থানীয় নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট নয়। এমন অনেক ভোটার আছেন যাঁরা এ ধরনের অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের কারণে ভোট কেন্দ্রে যেতে আগ্রহী হন না। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.