আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অবুজ ভালবাসা।

অতি সাধারণ চোখ ভরা স্বপ্ন স্বপ্ন দেখি ভাল কিছু করার। লেখালেখি করার চেষ্টা করি তবে ভাল ভাবে পারি না । তবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মুরগীর বাচ্চা কে ফুটায় জানেন ? - মুরগী। হাঁসের বাচ্চা কে ফুটায় জানেন ? - হাঁস ? না মুরগী ।

মুরগিই হাঁসের বাচ্চা ফুটায় । যেহেতু গ্রামে থাকি তাই একটা বিষয় আমি খেয়াল করলাম এবং তা আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্ট করলাম । বিষয়টি এমন, আমাদের এলাকায় অনেকেই মুরগী পালন করে। মুরগীর ডিম মুরগী তা দেওয়ার ফলে জন্ম নেয় নতুন মুরগীর বাচ্চা। এই মুরগীর বাচ্চা ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে তখন তাদের মাঝে ভাল বাসাটা ভালই থাকে।

এমন অবস্থায় যদি কেন কৃষক চায় যে তার হাঁসের বাচ্চার প্রয়োজন তবে সে কি করে ? তখন তার ঐ মুরগী টাকে নিয়ে তার বাচ্চা থেকে আলাদা করে আবার কয়েকটি হাঁসের ডিম দেয় তা দেওয়ার জন্য । যেহেতু মুরগীর ডিম আর হাঁসের ডিম প্রায় এক রকম তাই মুরগী বিষয়টি বুঝতে পারে না , আপন মনে ডিমে তা দিতে থাকে। আর যদি বুঝতে পারে যে এগুলো হাঁসের ডিম তবে ডিম ঠুক্‌রিয়ে নষ্ট করে ফেলে তবে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে এটা কমই হয়। যাহোক ডিম ফুটে যখন বাচ্চা হয় তখন মুরগী বাচ্চা নিয়ে মনের আনন্দে নতুন বাচ্চাকে নিয়ে চলাফেরা করে । তখন যদি মুরগীর আগের বাচ্চা গুলি তার কাছে অর্থাৎ মায়ের আসে তবে মুরগী এদের কে ঠুক্‌রিয়ে দুর দেয় ।

এভাবে দিন কাটতে থাকে মুরগী তার হাঁসের বাচ্চা গুলিকে বিভিন্ন খাবার-দাবার, চলন-বলন ইত্যাদির কৌশল শিখিয়ে ফেলে । যতই বড় হতে থাকে হাঁসের বাচ্চার পানির প্রতি আকর্ষন একটু একটু করে বাড়তে থাকে মুরগী চেষ্টা করে তাদের কে নিজের কাছে ধরে রাখতে কিন্তু পারে না, কারন চেষ্টা তো আমরা সবাই করি চলে যাওয়ার মত কাউকে কি এপর্যন্ত কেউ ধরে রাখতে পেরেছি । না পারিনি । আমরা যেহেতু মানুষ হয়ে মানুষকে ধরে রাখতে পারিনা তবে সামান্য মুরগিটা কি করে পারবে হাঁসের বাচ্চাটাকে ধরে রাখতে । তাই এক সময় দেখা যায় মুরগী স্থলে বিচরন করছে আর হাঁসের বাচ্চা দিব্বি জলে সাতার কেটে যাচ্ছে।

কিন্তু এই হাঁসের বাচ্চার জন্যে মুরগী নিজের বাচ্চার প্রতি কত নির্যাতন করে তা কি ভুলে যায় না মনে রাখে তা আমি জানি না তবে মানুষ যে এই বিষয়টি সহজে ভুলতে পারত না তা আমি নিশ্চিত। একই ভাবে কাকের কথা চিন্তা করেন। যে কোন কারণে হোক কোকিলের ডিম কে তা দিয়ে বাচ্চা ফুটানোর পর যত্ন করে বড় করার পরও সেই বাচ্চা কোকিলের সাথে আকাশের দিকে উড়াল মারে । তাই আমরা যারা আমরা যারা কারো সাথে সম্পক্য তৈরী করে খেয়াল রাখতে হবে যে তারা তারা যেন প্রায় একই জাতের অর্থাৎ একই মন- মানুষিকতার এবং একই স্বভাবের হয়। তা না হলে হয় বান্ধব এক সময় হয় আকাশে উড়াল দিবে না হয় পানিতে ডুব দিবে তখন শত চেষ্টা করে তাদের কাছে আনা যাবে না।

আর একটা কথা আমার এই প্রেম ভালবাসার জন্য যেন আমার কোন একান্ত কাছের মানুষের মনে কোন কষ্ট না পায় সে দিকটার প্রতি আমাদের খেয়াল রাখতে হবে । তা নাহলে এক সময় নিজের কাছে নিজেকে অনেক ছোট মনে হবে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.