আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একেই বলে ইন্জিনিয়ার বোঝা গেছে ব্যাপারটা!

নিচের প্রশ্নটি করা হয় ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির ইন্জিনিয়ারিং মিডটার্ম পরীক্ষায়। উত্তরটি এতই "সুগভীর" ছিলো যে শিক্ষক পরে সেটি কলিগদের সাথে শেয়েআর করেন। বলাই বাহুল্য সে শেয়ারিং এখনো অব্যাহত আছে। অতিরিক্ত প্রশ্নঃ নরক কি এক্সোথার্মিক(তাপ উদ্গিরণ করে) নাকি এন্ডোথার্মিক্(তাপ শোষণ করে)? বেশীর্ভাগ ছাত্রই নিজ নিজ বিস্বাস অনুযায়ী বয়েলের সূত্র মেনে প্রমাণ লিখলো। বয়েলের সূত্র : গ্যাসের আয়তন বাড়লে এর তাপমাত্রা কমে,আয়তন কমলে তাপমাত্রা বাড়ে।

যাই হোক একজন ছাত্র এমন লিখলোঃ প্রথমেই আমাদের জানতে হবে সময়ের সাথে নরকের ভর কিভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে। সুতরাং আমাদের জানতে হবে আত্না কি হারে নরকে ঢুকছে কিম্বা বের হচ্ছে। আমি মনে করি আমরা এটা ধরে নিতে পারি যে একবার কোন আত্না নরকে ঢুকলে আর বের হতে পারে না! এখন কি পরিমাণ আত্না নরকে ঢোকে সেটার জণ্য আজকের পৃথিবীতে বিদ্যমান বিভিন্ন ধর্মের মতবাদ দেখি। কিছু ধর্ম বলে যে যদি আপনি সে ধর্মের বিশ্বাসী না হয় তবে আপনি নরকে যাবেন। যেহেতু এরকম একাধিক ধর্ম রয়েছে এবং এক্জন লোক একাধিক ধর্মের অনুসারী হতে পারেন না; আমরা ধরে নিতে পারি যে সব আত্নাই নরকে যায়।

আর বর্তমানকালের জন্ম-মৃত্যু হার অনুসারে বলা যায় নরকে যাওয়া আত্নার সংখ্যা ক্রমশই হারে বাড়ছে। এখন আমরা দেখবো নরকের আয়তন বৃদ্ধির হার কেমন। বয়েলের সূত্র বলে নরকের চাপ সমান থাকার জন্য নরকের আয়তন বাড়তে হবে কারণ নরকে আত্নার সংঅখ্যা বাড়ছে। এটা আমাদের দুই ধরনের সম্ভাবনা দেয়ঃ ১) যদি নরকের আয়তন বৃদ্ধির হার আত্নার প্রবেশের হারের চাইতে কম হয় তবে নরকের তাপমাত্রা ও চাপ বৃদ্ধি পাবে যতক্ষণ পর্যন্ত না নরক ভেঙে যায়! ২) অবশ্যই যদি নরকের প্রসারণ হার আত্নার প্রবেশ হারের চাইতে বেশি হয় তবে নরকের চাপ ও তাপমাত্রা হ্রাস পাবে যতক্ষণ পর্যন্ত না নরকের তাপমাত্রা কনে ও ঠান্ডা হয়ে যায়। এর কোনটি সঠিক? যদি আমার ফ্রেশম্যান ইয়ারে দেয়া টেরেসা ব্যানিয়ানের স্বীকার্য সত্য্ বলে ধরে নেই,".........দ্যাট ইট উড বি আ কোল্ড ডে ইন হেল বিফোর আই স্লিপ উইথ ইউ", এবং এ ব্যাপারটি মাথায় নেই যে আমি এখন পর্যন্ত তার সাথে কোন ঐ জাতীয় সম্পর্ক করতে সফল হই নাই সেহেতু #‌২ সত্য হতে পারে না।

সুতরাং আমি নিশ্চিত যে নরক এক্সোথার্মিক এবং তা ঠান্ডা হবে না। কেবল এই ছাত্রটিই A পেয়েছিলো। \ডাব্লুটিএফ/ [শেষ করার আগেঃ আমাদের দেশেও এমন প্রতিভার অভাব নাই। কেবল শিক্ষকদের "জুহুরি" চিনতে না পারার কারণেই তারা লাইমলাইটে আসতে পার্ছে না। বাংলাদেশের শিক্ষকরাও এমন সৃষ্টিশীল প্রশ্ন করতে শিখবেন ও এমন প্রতিভাবানদের কান মলা না দিয়ে আরো উত্সাহিত করবেন সে আশা ব্যাক্ত করে শেষ কর্ছিbr /> collected ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।