থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি।
মূল সংবাদ
আপ্নারা হয়তো জানেন, গেল "তিনোদ্দীন" সরকারের আমলে সবাইকে একবার করে হলেও দুর্নীতি দমন কমিশনে জিয়ারতে যেতে হয়েছিল, হাসান মশহুদ চৌধুরির থেকে সার্টিফেকট আনতে। সবাই কিন্তু এমনি এমনি সার্টিফিকেট পায় নাই।
তবে চৌধুরি সাহেবের নামে কোন দুর্নীতির গুজব বাজারে ছিল না। তার মানে সবাইকেই কাফফারা হিসাবে কিছু না কিছু সরকারের কোষাগারে জমা দিয়ে একটা আপোষ করতে হয়েছিল।
আমাদের কালকিনীর ছোট আবুলও দুর্নীতি দমন-এর অফিসে গিয়েছিল। সেখান থেকে একটা "নো অবজেকশন" সার্টিফিকেট এনেছিল। সেইটা তার সততার একটা পরিমাপক ছিল।
তবে অনেক দিল হল এই চিড়িয়ার কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। তাকে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে সরানোর পর থেকেই অনেকের কৌতূহল ছিল তিনি কোথায় আছেন, কী করছেন, আগের মতো তিনি হাসেন কিনা, চিবিয়ে চিবিয়ে কথা বলেন কিনা।
হঠাত বৃহস্পতিবার জানা গেল, দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক আবুল হোসেনকে বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
এই ফাঁকে বলে রাখা দরকার, দুদক নামক সংস্থাটির কাজ এখন কেমন। দুদকের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান নিজেই দুদক সমন্ধে সার্টিফিকেট দিয়েছেন এই বলে যে, দুদক একটি নখ-দন্তহীন বাঘ।
এর মানে দাড়াচ্ছে, প্রতিষ্ঠানটি সরকারের আজ্ঞাবাহী হয়েই কাজ করছে।
তাই সরকারের শীর্ষ মহলের পছন্দের আবুল যখন সৈয়দ বাড়ীর ছেলে সেজে দুদকে গেছেন বক্তব্য দেয়ার জন্য, তখন সহজেই বোঝা যাচ্ছে তিনি আরেকটি সার্টিফিকেট পেতে যাচ্ছেন।
এ সার্টিফিকেটের পর সৈয়দ আবুল হোসেন হবেন ধোয়া তুলসিপাতা।
আমরা তখন হুক্কাহুয়া রবে বলবোঃ
আবুল ভাইয়ের চরিত্র /
ফুলের মত পবিত্র।
এইটূকু পড়লে বলেন আরেক বারঃ জয় বাংলা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।