লেখাপড়া শেষ করেছি ঢাবি থেকে। আজ কাজ করি একটা বেসরকারি ফার্মে । কাজের শেষে নাই কাজ তাই খই ভাজ । ব্লগে খই ভাজি। ইকোনোমিস্ট এর একটি পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় প্রতি পাঁচজন নারীর মধ্যে একজন যৌন পীড়নের শিকার।
আর প্রতি চারজন নারীর মধ্যে একজন স্বামী বা স্বজনদের হাতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার। গত ১৪ ই ডিসেম্বরে এক জরিপে নারীর প্রতি সহিংসতার এ চিত্র বের হয়ে আসে। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব জাস্টিস ২০১০ সাল থেকে এ জরিপকাজ শুরু করে।
স্বামী, ছেলে, বন্ধু ও স্বজনদের হাতে পীড়ন, ধর্ষণ এবং যৌনতার জন্য সহিংসতা বিষয়গুলো নিয়ে এ জরিপ পরিচালিত হয়। এর যে ফলাফল পাওয়া গেছে তা সত্যি দুঃখজনক ও পরিহাসমূলক।
আমার অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখি যখন আমাদের দেশের তথাকথিত নারীবাদীরা বলেন কর্মক্ষেত্রে নারীর অবস্থান নিশ্চিত সহ নানাবিদ গান গাওয়ার পাশাপাশি পারিবারিক ও সামাজিক বিধিনিষেধকে নারীর অবস্থান নিচে নামিয়ে দেয়ার জন্য দায়ী করেন। কিন্তু ওই সব হাঁদারাম গাধাদের কেন যে মাথায় ঢুকে না নারীর সামাজিক অবস্থান পুরুষের পাশাপাশি থাকাটা উচিত কখনই পুরুষ থেকে বেশি বা কম নয়। এখানে অধিকারের উচ্চামার্গীয় গীত গেয়ে সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জনের চেষ্টা করা কিংবা নারীর পদলেহী হয়ে নিজের দুর্বলতা ঢাকার চেষ্টা প্রায়ই করতে দেখা দেয়।
কিন্তু ছাগুর পাশাপাশি দেখি কিছু লুচ্চা বদমাশকে গাজার ধোয়ায় পোড়ানো গৌঁফ আর কিছু ছাগলদাড়ি রেখে অন্তত মাস খানেক গোসল না করার পর শরীরে বোটকা গন্ধ বের করে একটা মদের বোতল হাতে নিয়ে নারী অধিকার আদায়ে নামতে দেখা যায়। তাদের সহযোগী হয় তাদের মতোই বেতাল কিছু অর্ধনারী।
আমাদের ধর্মে অর্ধনারীশ্বর মূর্তির কথা আছে তাই একথা বলে ফেললাম। এখানে আমি তাদের অর্ধনারী বলেছি যাদের নারী বা পুরুষ সনাক্ত করা বেশ কঠিন হয়। শূকনা টানার বদৌলতে নারীরা মেন পুরুষালি হয়ে ওঠে তেমনি বড় চুল রাখার হেতু অনেক পুরুষকেও মেয়েরী মনে হয় তাদের কথা বলছি। এই শুকরছানারা নারী আন্দোলনের নাম করে নারীর নারীত্বকে হত্যা করেছে। আর পুরুষের উদ্দীপ্ত পৌরুষকে ধ্বংস করে একটি তৃতীয় চরিত্রের দিকে নিয়ে গেছে এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
তাদের কাছ থেকে যদি নারী অধিকারের কথা মানুষের শিখতে হয় তবে আমি বলতো থু।
তোদের মুখে থু। তোদের আন্দোলনের মুখে লাত্থি।
আগে নারী কি ? পুরুষ কি ?? সেটা বোঝ তারপর আন্দোলন নাম। কোন কোন ছাগু হারামি বলে থাকে হিন্দু ধর্ম নাকি নারীর অধিকার হরণ করেছে।
দেখ হিন্দুধর্মের কোথায় নারীদের ছোট করা হয়েছে। আমরাই প্রথম মাতৃকাদেবীর প্রচলন করেছি। আমাদের ধর্মেই প্রথম শক্তির আরাধনা করা হয়। আমরাই নারীর মর্যাদা সমুন্নত করেছি।
প্রতিবেদনে প্রকাশিত জরিপে অংশগ্রহণকারী এক শতাংশ নারী বলেছেন, তাঁরা গত এক বছরের মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
জরিপে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ধারণা করা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে বছরে ১৩ লাখ নারী ধর্ষণ বা ধর্ষণের জন্য পীড়নের শিকার। জরিপে পুরুষদের প্রতি পীড়নেরও ভয়াবহ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি সাতজন পুরুষের মধ্যে একজন স্বজন কর্তৃক পীড়নের শিকার। প্রতি ৭১ জন পুরুষের মধ্যে একজন যৌন নিপীড়নে শিকার। জরিপে অংশগ্রহণকারী পীড়নের শিকার পুরুষদের অধিকাংশই ১১ বছর বয়সের আগে ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
পীড়নের শিকার যুক্তরাষ্ট্রের এসব নারী-পুরুষের মধ্যে স্বাস্থ্যগত বিপর্যয় লক্ষণীয় হয়ে উঠেছে। নারীদের মধ্যে যারা পীড়নের শিকার তাদের মধ্যে অ্যাজমা, ডায়াবেটিস, মানসিক অসুস্থতাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যগত সমস্যার হার বেশি। এসব নারী-পুরুষ ক্রমাগত মাথাব্যথা, নিদ্রাহীনতা, কাজ-কর্মে অনীহায় ভুগে।
ফিউচার উইদাউট ভায়োল্যান্স নামে মার্কিন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পরিচালক লিসা জেমস বলেছেন, পীড়নের শিকার নারী-পুরুষেরা জটিল স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। সহিংস দাম্পত্য জীবনে নারীদের মধ্যে ধূমপানের মাত্রা বেশি।
মার্কিন সরকারের জরিপে দেখা গেছে, অল্পবয়সীরাই যৌন পীড়নের বেশি শিকার। পীড়নের শিকারদের মধ্যে ২৮ শতাংশ পুরুষ জানিয়েছে ১০ বছর বয়সের আগেই তারা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। নারীদের বেলায় তা ১২ শতাংশ। পীড়নের শিকারদের মধ্যে অর্ধেক ১৮ বছর বয়সে এবং ৮০ শতাংশ ২৫ বছর বয়সের আগেই ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের শিকার নারীদের মধ্যে যাঁরা অল্প বয়সে পীড়নের শিকার হয়েছেন তাঁদের ৩৫ শতাংশ পূর্ণ বয়স্ক হওয়ার পর পুনরায় যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের পরিচালক লিনডা ডিগাটিস বলেছেন, নারীদের মধ্যে যৌন পীড়নের শিকার-সংক্রান্ত প্রাপ্ত তথ্য রীতিমতো ভয়াবহ।
তাই আমি তথাকথিত নারীবাদের ধ্ববাধারীদের বলছি এখন তোদের সময় এসেছে তোরা সাবধান হ। কবে না জানি তোরা নির্যাতনের শিকার না হোস।
তথ্যসুত্রঃ
ইকোনোমিস্ট
প্রথম আলো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।