পৃথিবীর কাছে তুমি হয়তো কিছুই নও, কিন্তু কারও কাছে তুমিই তার পৃথিবী"
বেশির ভাগ রাজনৈতিক নেতাই পাগল। তবে পাবনা পাঠানোর মতো পাগল নয়। তারা আসলে যে কোনভাবে অবৈধ অর্থ কামাতে উন্মাদ। সেজন্যই তারা অর্থের পাগল। আমাদেরকেও কিছু জবাব দিতে হবে।
আমরা কেন তাদের সমর্থন করি? কেন আমাদের বুদ্ধিজীবীরা তাদের সমর্থন করেন? আমাদের সব মিডিয়াও তাদের পিছনে কেন? কেন গোটা জাতি আজ বিভক্ত? আমাদের নৈতিকতা কোথায়? এটা রাজনৈতিক নীতির মৃত্যু নয়। এটা সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার মৃত্যু। আমাদের দেশকে বিশ্বের সবচেয়ে অসভ্য ও খারাপ দেশ বানানোর জন্য রাজনীতিক ও বুদ্ধিজীবীরাই দায়ী। আমরা তাদের দুর্নীতির কারণে নিজেদেরকে বাংলাদেশী বলে পরিচয় দিতে লজ্জা পাই। এমনকি তারা আমাদেরকে মশার উপদ্রব থেকেও রক্ষা করতে পারেন না।
কি অদ্ভুত জাতি?
গোটা দেশটাই অপরাধীদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমান ও অতীতের উভয় সরকারই এক। কোন কিছুই বদলায় নাই। সবাই দেশকে ভুলে গিয়ে তাদের পকেট ভারি করতে চায়। তারা নামমাত্র শিক্ষিত, স্মার্ট ও প্রাজ্ঞ।
আসলে তারা সবাই গুণ্ডা। ভিতরে ভিতরে সবাই অপরাধী। আমি দেখতে চাই, কখন জনগণ ও সরকারের কর্মকাণ্ডে পরিবর্তন আসে। একটি শান্তিপূর্ণ দেশ পেতে আমাদের ৪০ বছর কেটে গেছে। কিন্তু এখনও হরতাল, ধর্মঘট হচ্ছে।
হয়তো কখনও আমার স্বপ্ন সত্য হবে না। আমি সব বাংলাদেশীর জন্য শুভ কামনা করি। আমি নিজেকে বাংলাদেশী পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি।
আওয়ামী লীগ আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে ছিনতাই করে নিয়েছে। তারা ১৬ই ডিসেম্বর, ২১শে ফেব্রুয়ারি ও ২৬শে মার্চকে মগজ ধোলাই করতে সামনে নিয়ে আসে।
আমি যারা জীবন দিয়েছেন তাদের প্রতি লজ্জা বোধ করি। তারা যেন হাসিনা ... পুতুল ... অতুল ... রাতুলকে ক্ষমতায় আনার জন্যই জীবন দিয়েছেন। এটা আরব একনায়কদের চেয়েও খারাপ। স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়ে তারা আমাদেরকে আরেকটি উভয় সঙ্কটে ফেলেছেন।
সেজন্যই নিহত বীরদের নাম নিলে লড়াই হতে দেখি।
কারণ এটা আর কোন সম্মানের বিষয় নয়। এটা এখন ক্ষমতায় যাওয়ার লোভে পরিণত হয়েছে।
জাপান, জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রে দেখেছি। তারা ১৯৪৫ সালের বিশ্বযুদ্ধে নিহতদের স্মরণে মোমবাতি জ্বালিয়ে ৩ মিনিট নীরবতা পালন করে এবং ফুল দিয়ে তাদেরকে সম্মান জানায়।
আর বংলাদেশে চলে মাসব্যাপী মগজ ধোলাই প্রচারণা।
মানুষ উন্মাদ হয়ে যায়।
তথাকথিত কিছু বুদ্ধিজীবীও শহিদ মিনারে ঘুমায়। কিছু লেখক ও প্রকাশকরা হাসিনাকে খুশি করতে মুজিব বন্দনা রচনায় কয়েক রাত নির্ঘুম কাটায়।
আমরা স্বাধীনতা, মুক্ত সমাজ, কথা বলার অধিকার চাই। সে সঙ্গে আমাদের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত সব ধরনের মৌলিক অধিকার চাই।
আমরা কোন স্বৈরাচারী শাসক বা তথাকথিত গণতন্ত্র চাই না। আমরা প্রকৃত সেবক প্রেসিডেন্ট চাই। আমরা আপনার মতো জাতীয় অভিভাবক চাই। আমরা পিতার স্বপ্নের নামে স্বৈরাচারী শাসন চাই না।
আমরা সম্পূর্ণভাবে ভুলে গেছি যে আমরা বাঙালি।
বরং বর্তমানে আমরা আওয়ামী লীগার বা বিএনপি হয়েছি। আসলে আমাদের পরিচয় এটা নয়। আমাদের এটা বুঝতে হবে। নতুবা আমরা দিন দিন নিঃশেষে মিশে যাবো। আমরা অনুভব করি যে, প্রতি ৫ বছর পরপর আমাদের দেশের শাসক পরিবর্তন হয়।
আওয়ামী লীগ অথবা বিএনপি ফিরে ফিরে ক্ষমতায় আসে। প্রতি ৫ বছর পর আমরা আমাদের স্বাধীনতা হারাই। এটাকেই কি প্রকৃত স্বাধীনতা বলে? আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা কি এর জন্যই লড়াই করেছিলেন?
যেসব পুলিশ, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং রাজনীতিবিদ দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের কাছে থেকে ভাল কিছু কিভাবে আশা করেন? যেখানে অসৎ কাজের সঙ্গে ৯০ ভাগ মানুষ জড়িত সেখানে বাকি মানুষেরা কি করবে? কেউ সৎ থাকতে পারবে না যদি তার পরিবারের ভরণ পোষণ ঠিকভাবে করতে না পারে।
আমার পরিচিতজনরা বলে আমি সব সময় সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখি তাই আমি বর্তমানে গরিব. কিন্তু এরা কি এই লেখাটা একবার পড়বে? এরা কি কখনো বুঝতে চাইবে না যে এখানে এই আমার জন্মভূমিতে এখন আরো বেশি স্বপ্ন দেখা মানুষ দরকার? এখানে; যেখানে আমার জন্ম, যে মাটির সোঁদা গন্ধ আমার রক্তের ভেতর, বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া কাদামাটির গন্ধের সাথে মিলে-মিশে একাকার হয়ে যাওয়া কাঁচা ফসলের ঘ্রানের দেশে আরো অনেক বেশি সুন্দর আগামীর স্বপ্ন দেখা মানুষ দরকার . এখানে আমাদের ভালবাসার দেশে সন্ত্রাসী কিংবা দেশপ্রেমিক নামের ভন্ড রাজনৈতিক নেতাদের দরকার নেই ... এখন আর আমাদের পেছনে যাবার সময় নেই ... সময় শুধু এগিয়ে যাবার সুন্দর আগামীর স্বপ্ন নিয়ে ...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।