কত কিছু যে করতে চাই, তবুও কিছু করতে না পারার দায়ে মাথা খুঁটে মরি । আপনারা কয়জন জানেন যে, বগুড়ার দই এর করুণ ইতিহাসের সাথে জড়িত রয়েছে মহাস্থানগড়ের ক্লান্ত ইতিহাস ? আমি জানি এখানে খুব বেশি লোক সেটা জানে না। এটাই স্বাভাবিক, কারণ এই ইতিহাস কোন বইতে নেই। এই ইতিহাস কোন রাজা বাদশাহর না। এই ইতিহাস হল একজন মনীষীর।
“মনীষী আকাশ এন্ড ফ্রেন্ডস” গং এর ইতিহাস।
ত আগের কাহিনী যারা জানেন, তারা ত জানেনই আমি ছিলাম সিরাজগঞ্জে। পরের দিন সকালে সোজা ঘুরতে যাবো বগুড়ার মহাস্থানগড় দেখতে। একদম ভোরে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে সোজা রওনা দিলাম বগুড়া। বাসে একেক বন্ধু সিট পেয়েছি একেক জায়গায়।
আমরা তিনজন একসাথে, অনেক সামনে আরও দুইজন। কী সুন্দর প্রকৃতি। সকালটা খুব ভাল, একটু শীত শীত ভাব আছে কিন্তু আবার রোদও আছে।
১ থেকে ২ ঘন্টা পর আমরা মহাস্থানগড়ে পৌছালাম। কিন্তু এ কী !! এখানে ত কিছুই নাই।
একটা ঘিঞ্জি মার্কা জায়গা। পীরবাবার মাজার আছে, বাথরুম আছে। কিন্তু আমরা যেই মহাস্থানগড় দেখতে আসছি তার কিছু নাই। আমরা সবাইকে জিজ্ঞাসা করলাম, “ভাই মহাস্থানগড় কোনটা?” সবাই উত্তর দিচ্ছে এটাই মহাস্থানগড়। একটু পর বুদ্ধি করে জিজ্ঞাসা করলাম যে, “ঐ যে শুটিং হয় সেই মহাস্থানগড় কোথায়?” তাও সবাই বলে যে এই খানেই নাকি এসব হয়।
কী মুশকিল, কোথাও দেখার কিছু নাই। উঁচা নিচা মাটি এই ত। ত হাঁটতে হাঁটতে মোটামুটি একটা উঁচু জায়গায় উঠছি। সেই অবস্থায়, আমার স্যান্ডেল শু গেল ছিড়ে। এরপর স্থানীয় লোকদের থেকে জানলাম সামনেই মুচি আছে।
ওখানে রওনা দিলাম। নামতে নামতে একজায়গায় বেশ উঁচু থেকে লাফ দিতে হবে। এখন আমার জুতা ত ছেঁড়া, আমি যতই বলি আমি নামতে পারবো না। পোলাপান ততই নামতে বলে। অবশেষে তালপাতার সেপাই রাকিব উঠে আসে আমাকে হাত ধরে নামাতে।
যেই না আমি ওর হাত ধরলাম দেখি ও আমাকে নামাবে কী ও নিজের পড়ে যাচ্ছে।
পরে ওকে পড়তে না দিয়ে ওর হাত শক্ত করে ধরলাম আর আমি নিজেই বসা অবস্থায় পড়ে গেলাম। এইটুকু রিস্ক নিয়েছি কারণ আমি দেখেছি যে নিচে মাটি প্রায় সমান। যাই হোক, ধুম করে যখন পড়লাম যা একটা ব্যাথা পেলাম আর যেই রাকিবকে হেল্প করার জন্য নিজে পড়লাম ঐ ব্যাটাই সবচেয়ে বেশি হাসল।
যখন জুতা সেলাই করতে গেলাম, তখন দেখি একে একে সবাই সেলাই করতেছে।
কখন কারটা ছিঁড়ে যায়।
অবশেষে আমরা সন্ধান পেলাম। যেসব দৃশ্যের সাথে আমরা পরিচিত তা হল মহাস্থান যাদুঘর। ত গেলাম দেখতে। দারুণ একটা যাদুঘর।
অনেক আগের মূর্তি আছে। আমার সাথে যেগুলা গেছে এগুলা ত বিশ্বাসই করে না যে এত আগের মূর্তি এগুলা। আজব ব্যাপার। কী সব ইয়ে ইয়ে মূর্তি। আগের আমলের মেয়েরা বোধহয় জামাকাপড় তেমন পড়ত না।
ওরা মনে হয় সবাই লাক্স এর এম্বাসেডর !!
এরপর গেলাম পাশেই গোবিন্দ ভিটায়। ছোটখাট জায়গা দেয়াল টেয়াল আছে, এগুলা আগের যুগের। দেখতে ভাল লাগে। তার চিপায় দেখলাম এক জোড়া বসে আছে। জোড়ার বয়সের ডিফারেন্স ১৫-১৮ বছর ত হবেই।
ত আমরা আর ভীড় না করে উনাদের খালি করে দিলাম।
এরপর আসলাম মূল দৃশ্য দেখতে। ওরে হাঁটাহাঁটি। হাঁটতে হাঁটতে জান শেষ। ভালও লাগছে আবার হাঁটছিও।
কত যে হাঁটলাম। অনেক দৃশ্য দেখলাম। এক সময় অনেক ক্লান্ত হয়ে ছবির মত সুন্দর একটা টং দোকানে যেয়ে বসেছি। ঠিক হল সবাই একটা জিনিসই খাবো। এখন কেউ বলে কোল্ডড্রিংক্স আবার কেউ বলে আইসক্রিম।
যেহেতু আমি একজন মনীষী তাই সমস্যা সমাধানের জন্য আমাকেই এগুতে হল। সমাধানও হল সিম্পল – আমরা দুটাই খাবো। প্রথমে আইসক্রিম পরে কোল্ড ড্রিংক্স। একে একে আসতে লাগল বাদাম, চানাচুর, চিপস, পানি চকোলেট। তখনও দুপুরে খাওয়া হয়নি।
বাসায় যেতে হবে, সেখান থেকে আরেক জায়গায় যেতে হবে। রাতে খেতে হবে। কিন্তু দিনের বাজেটের অর্ধেকের বেশি আমরা ওই বসাতেই শেষ করে দিছি !! আর আইসক্রিমও খেলাম পুরা নকল আর ভেজাল।
মহাস্থানগড় ঘুরে ঘুরে আমরা ক্লান্ত। খুবই টায়ার্ড।
কিন্তু কেউ এখনই ফেরত যাবে না। বগুড়ার দই না খেয়ে গেলে জিসান আর গাজি নাকি এলাকায় মুখ দেখাতে পারবেনা। ত ওদের মুখ যেন ওদের এলাকার মানুষ দেখতে পারে সেজন্য আমরা সবাই পরিশ্রম করতে রাজি হলাম।
গেলাম বগুড়া শহর, সাত রাস্তার মোড়। শুক্রবারের দুপুরে সব দোকান বন্ধ।
কোথাও বসার-খাওয়ার এক ফোঁটা ব্যবস্থা নেই। অনেক অনেক অনেক আর আসলেই অনেক হাটাহাঁটি করতে হল সাত রাস্তার মোড়ের সাত দিকে। প্রতি দিকে আমরা একেকবার ২০ মিনিট করে হাঁটি কোন একটা খোলা খাবারের দোকানের আশায়। এরপর না পেয়ে আবার ফেরত আসি।
অনেক ঘোড়াঘুরির পর সাত রাস্তার মোড়ে পাওয়া গেল সারির পর সারি দই এর দোকান।
ফেনা ওঠা বগুড়ার দই। মাতব্বদের দোকার, আদি মাতব্বরের দোকান, আলহাজ্জ্ব মাতব্বরের দোকান – মানে যত ডেভিয়েশন করা যায় একটা নামের, সব গুলা নাম ব্যবহার করা হয়েছে।
আক্কেল দিয়ে চিন্তা করলাম। আমি যদি একটা দোকান খুলি নাম হবে “আকাশের দোকান”। কখনই সেটার নাম “আদি আকাশের দোকান” দিতে যাবো না।
সুতরাং শুরু থেকেই শুরু। আমাদের যেহেতু বাজেট শেষ সুতরাং বাইরে লাঞ্চ করব না, বন্ধুর বাসায় ফেরত যাবো। কিন্তু এখান থেকে দই খেয়ে যাবো। অথচ একটা দই এর দোকানে সেখানে বসে খাওয়ার সিস্টেম নাই। নাই একটা চামচ।
ঘুরতে ঘুরতে চূড়ান্ত।
অবশেষে আমরা ক্ষান্ত দিলাম। থাক বাবা দই আর খেয়ে যেতে হবে না। বেশ কয়েকটা হোটেলের পরিবেশ দেখার পর অবশেষে আকবরীয়া হোটেলে বসলাম। তিনতলায় গিয়ে বসেছি নইলে লাফ দিয়ে পালাতাম আগেই।
হোটেল শেরাটনেও খাবারের এত দাম কী না কে জানে !! ওখানে কাচ্চি আবার দুইটা। একটা বড় কাচ্চী বিরিয়ানী আর ছোট কাচ্চি বিরিয়ানী। দুটারি ফুল প্লেট হাফ প্লেট আছে। অবশেষে ছোট কাচ্চি বিরিয়ানি কষ্ট মষ্ট করে আমাদের বাজেটে আঁটানো গেল। এখানে কাচ্চির পিস গুলা থাকে একদম ছোট ছোট।
এগুলা কাচ্চি না খাসির হাসি !! খাওয়ার সময় মনে হচ্ছিল আমাদের দূরাবস্থা দেখে ছাগলটা হাসতেছে আর বলতেছে, “ব্যাটারা আমাকে খেতে আসছিল ! প্রতিশোধ নিলাম। “
যাক অবশেষে খাওয়ার পর আমরা আবার এনার্জি ফেরত পেলাম। ঐ দিনের বাজেট ত গেলই পরের দিনেরও অর্ধেক বাজেট শেষ। যাক, ব্যাপার না। এনার্জি যখন আছে তখন আবার বগুড়ার দই খুঁজতে নেমে গেলাম।
একটা দোকান পাওয়া গেল, সেখানে দই এর ক্লাসিফিকেশন আছে। বগুড়ার দই, বগুড়ার স্পেশাল দই, বগুড়ার সুপার স্পেশাল দই – প্রত্যেকটার দামের ডিফারেন্স ২০ টাকা করে। যাই হোক, পুরা মাত্রায় কনফিউজড হয়ে আমরা জানতে পারলাম সেখানেও চামচ বাটি নাই। ওখানকার সাধারণ পথচারীরা আমাদের উপদেশ দিলেন যেন আমরা আকবরীয়াতেই দই খেয়ে নেই। কিন্তু আমি একক ভাবে এর প্রচণ্ড বিরোধীতা করি।
ও ব্যাটাদের আর ১টাকাও লাভ দিবো না।
শেষমেষ আমরা ঠিক করলাম যে অনেক হল আর না। মন খারাপ করে আমরা সবাই ফেরত যাবার জন্য বাসস্ট্যান্ড যাচ্ছি। এতক্ষণ হুদাই হাঁটাহাঁটি করলাম।
অবশেষে হঠাৎ এক দোকানের সন্ধান পেলাম।
সেখানে ছোট ছোট প্লাস্টিকের চামচও আছে। বোধহয় লোকাল আইসক্রিমের। কিন্তু সেটা ব্যাপার না। চামচ ত !! এই প্রথম বাস্তবতা বুঝলাম, রাস্তাঘাটে বিপদে পড়লে সেলফোন না, চামচটাই দরকার। উলটা সেলফোন থাকলে সন্ত্রাসী, পকেটমার, অন্ধকার গলি, নেটওয়ার্ক, ব্যালেন্স, পানিতে ভিজা, মাটিতে পড়া সহ ১০০ টা চিন্তায় মাথা শেষ।
সুতরাং বাইরের ট্যুরে গেলে অবশ্যই চামচ নিয়ে বের হবেন।
সেই দই আমরা হাতে নিলাম। ওরে, এ কী দই রে। ব্যক্তিগত ভাবে আমি দই খুবই কম খাই। আরেক বন্ধুও বলল যে কম খায়।
কিন্তু এত হাঁটা আর পরিশ্রমের পর সব ভুলে গেলাম যে কী খাই আর না খাই !! ফুল স্পিডে হাত মুখ চালালাম। নিমিষেই এক হাড়ি দই আমরা পাঁচ জন গায়েব করে দিলাম। খাওয়ার মাঝে গাজি দেখি নিজের ভাগের টা শেষ করার আগেই দেখি আরেকজনের ভাগে চামচ দিচ্ছে। আর যায় কই, ও যখন জিসানের ভাগে চামচ দিচ্ছে আমি তখন ওর সাইড শেষ করে দিলাম। আর নিজের সাইডে চামচ আসলে সেটা ঠেকাতে কামান আর ট্যাংক রেডি তখন।
অতক্ষণে জিসান আর গাজি দুজনেই দেখে তাদের সাইডে কিছু নাই। কিন্তু খুব সুবিধা করতে পারেনি কারণ তার ৩০ সেকেন্ডের মাঝেই পুরা হাড়ি শেষ।
এরপর ঠাণ্ডা পানি শেষ করে টের পেলাম অনেক দেরী হয়ে গেছে। বাসায় যেতে পারব কী না সেটা বিশাল চিন্তার বিষয়। দৌড়ে বাসস্ট্যান্ড।
আজকের শেষ বাস নাকি আড়াইটায় ছেড়ে গেছে। অথচ ঘড়িতে তখন চারটা।
অনেক ঝুটঝামেলা করা অন্য কী এক জেলার বাসে উঠলাম। মাঝে দিয়ে তারা আমাদের কিছুটা এগিয়ে দিবে। সারাটা দিন মাত্র একটা জায়গা দেখতেই আমরা শেষ করে দিবো? এই ত হতে যাচ্ছিলো।
ওদিকে আমরা রাকিবের উপর হামলা শুরু করে দিছি। ওর বাসাই সিরাজগঞ্জে। ওকে দশবার বলা হইছিল যে বসে বসে প্ল্যান করবি। কিন্তু ওর কোন প্ল্যান নাই। ওকে জিজ্ঞাসা করলাম যেতে কতক্ষণ লাগবে? ও বলল ২০ মিনিট।
এত ক্লান্তির পর দাঁড়িয়ে রইলাম বাসে। প্রায় ১ ঘণ্টা পর হঠাৎ খেয়াল করে ওকে আবার জিজ্ঞাসা করলাম, “ঐ কতক্ষণ লাগবে?” ও আবারও বলল ২০ মিনিট। আমার সন্দেহ হওয়া শুরু হয়েছে যে এই ছেলে রাস্তা ঠিকমত চিনেনা। আমি আর গাজি ওর সাথে হালকা খাতির খাতির ভাব করে জেনে নিলাম, ও ঠিকানা জানে কিন্তু চিনে না।
আমাদের ত মাথায় হাত।
অবশেষে মোট আড়াই ঘণ্টা পরে (রাকিব শেষ পর্যন্ত ২০ মিনিটের কথাই বলে গেছে) আমরা বাস থেকে নামলাম সিরাজগঞ্জ রোডে।
হালকা অপ্রাসঙ্গিক, তবুও বলি। সিরাজগঞ্জে পৌঁছে রাতে আমরা ক্লোজারে গেছি। নদীর তীর, বেড়িবাঁধের মত। রাতের অন্ধকারে ছবি তোলা হয়নি, কিন্তু আমার ভাল লেগেছে।
বেশ ভাল লেগেছে। সিরাজগঞ্জ শহরটা মনে হল ভাল রিস্কের উপর আছে। বেড়িবাঁধ প্রচণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত। বিশেষ করে ২ জায়গায় ত কোনমতে ১০% টিকে আছে। বন্যা যখন শুরু হবে একটা করে বস্তা দেয়া ত দূরের কথা, ট্রাকের পর ট্রাক বস্তা ঢাললেও হদীশ পাওয়া যাবে না।
পুরা শহর ২ দিনে ধ্বংস হয়ে যাবে। ক্লোজারে যেয়ে এটাই দেখলাম। সম্ভবত এটা যমুনা সেতুর প্রজেক্ট ছিলো। যমুনা সেতু কোরিয়ানরা করতে যেয়ে টাইম ওভার হবার পর বাকিটুকু বাংলাদেশি এক কোম্পানীর কাছে দিয়ে চলে যায়। সেই কোম্পানী থেকে এই বেড়িবাঁধ তৈরি করা হয়েছে।
খাতা কলমে তারা ১০০ বছর টেকার কথা বললেও নিজের চোখে দেখলে ভয় লাগাই স্বাভাবিক। শহরের বাঁধের যদি এই অবস্থা হয় , মানুষ রাতে ঘুমায় কী করে আমি সেটা ভাবি !
আমরা রাকিবের বাসায় ছিলাম। ওদের এলাকায় প্রচুর পোলাপান আমাদের ভার্সিটির। যতদূর জানি একে অপরের সাথে দেখাদেখি করে ভর্তি হয়েছে। মোটামুটি ভাবে ব্যাচের ২০% ঐ এলাকার।
ত ঢাকায় ওদেরই একজন আমাকে শুনালো, “আরে আমাদের সিরাজগঞ্জে যেই স্পেশাল শিক কাবাব রে ব্যাটা !! একবার খাইলে ৭দিন শুধু হাতই শুঁকবি। আর খাসির চাপ খাইলে সিরাজগঞ্জ ছেড়ে আর আসবিই না। “
ত সেই স্পেশাল শিক খাওয়া হল। রাস্তার পাশের টং দোকান, দাম মাত্র ৬ টাকা। জ্বী, মাত্র ৬ টাকায় ছোট ছোট ৩টা পিস।
“ ভালই, দাম হিসাব করলে। স্বাদ হিসেবে আহামরি কিছু না। আর সেই খাসির চাপ !! এটা আবার চপের মত, ভিতরে কয়েকপিস আলুর মাঝে মাংস দেয়া থাকে। দাম মাত্র ১৫ টাকা কিন্তু খেতে মোটেই সুবিধার না।
জ্ঞানীরা বুঝতেই পারছেন রাতের ফলাফল।
আমাদের সাথে যে ছিল গাজি, ওর মহা ডায়রিয়া শুরু। সারা রাত শুধু বাথরুম আর বাথরুম। আমরা ত ভয়েই ছিলাম সব প্ল্যান না ক্যানসেল করা লাগে। ওকে ফ্লাজিল খাইয়ে দেয়া হল।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আন্টি সমাধান দিয়ে দিছে।
গাজির মাছ মাংস ডাল খাওয়া অফ। পিঠা খাওয়া অফ। ওর জন্য হল ডাব আর সবজির তরকারি দিয়ে ভাত।
অমনি দেখি গাজির লাফালাফি। “না না আন্টি আমি পুরা সুস্থ।
মাঝে মাঝে আমার পেট এমনিই এমন করে। সাধারণ খাওয়া দাওয়া চললেই এটা এমনি এমনি ঠিক হয়ে যায়। কোন সমস্যা নাই। আর পিঠা খেলে ত আমার পেট আরও তাড়াতাড়ি ঠিক হয়। “
আমরা বাকিরা ত হাসতে হাসতে শেষ।
অবশেষে তার কপালে শীতের পিঠা আর মাছ মাংস জুটলো না। অন্তত সকালে !!
হাতে একপাতা ফ্লাজিল নিয়ে আমরা রওনা দিলাম রবীন্দ্রনাথের কাছারিবাড়ি দেখতে। আরও বহু কিছু দেখতে হবে। বহু প্ল্যান। পরের দিন ফেরত আসব।
সুতরাং সময় আর বাজেট এখন থেকেই গুছিয়ে নিতে হবে।
** মূল লেখাঃ সিরাজগঞ্জের সিঙ্গাড়া Vs. The World
এই পোস্ট এর ২য় পর্ব।
আগের পর্বের জন্যঃ কমোড Vs. The World
আমার ব্লগের ফ্যান পেইজ ঘুরে আসতে পারেন।
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।