সোনার হরিনের পেছনে ছুটছি। বর্তমান সময়ে মেয়েরা প্রায় সকল ক্ষেত্রে ছেলেদের সাথে সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া মেয়েরা সকল ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকার কারনে আমাদের দেশের সরকার থেকে শুরু করে সকল মানুষই মেয়েদেরকে একটু বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছে। বলতে গেলে মেয়েরা তাদের চাওয়া সমান অধিকারও প্রায় পেয়ে গেছে। কোন কোন ক্ষেত্রে তারা তাদের সমান অধিকার আদায় করে নিচ্ছে নিজের জোরেই।
সাধারনত আমরা অনেকেই মেয়েদেরকে স্বল্প মেধাবী মনে করি। আসলে মেয়েরা কিন্তু আসলেই স্বল্প মেধাবী হয়ে থাকে। তবে এর ব্যতিক্রমও পরিলক্ষিত হয় হরহামেসাই। কারন মেয়েরা এখন আগেকার থেকে বেশি স্থিতিশীল বুদ্ধি নিয়ে কাজ করতে শিখেছে। তারা এখন নিজের ভালমন্দ বুঝে কাজ করতে পারে।
তাদের ধ্যান ধারনায়ও অনেক পরিবর্তন এসেছে। আগেকার মেয়েরা সবসময় এমন ভাবত যে তাদের একটা ভাল বিয়ে হলেই হইছে। তারা স্বামীর সংসার করবে, সন্তান পালন করবে । একটা সুখি সংসার করতেই পারলেই খুশি হত তারা। কিন্তু বর্তমান সময়ের সংসারের পাশাপাশি স্থান কিভাবে পাকা করা যায় তাও চিন্তা করে।
আর সেই জন্যেই তারা শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমানতালে আগাতে পারছে। কিন্তু প্রাকৃতিক ভাবে তারা পুরুষদের থেকে যে সব জায়গায় পিছিয়ে আছে সেটাও আমাদের চিন্তা করতে হবে। এখন অনেক ছেলেদেরকেই বলতে শুনেছি যে, যেহেতু মেয়েরা সমান অধিকার চায় তাই তাদের কে ছেলেদের সমান কাজ করতে হবে। তারা অনেকেই দেখি গাড়ির মধ্যে মেয়েদের বসতে দেয় না । তারা নিজেরা সুন্দর মত বসে থাকে আর বলাবলি করে মেয়ে ছেলে যেহেতু সমান অধিকার তাই তারা দাড়িয়েই যাবে।
এমনকি তার সামনে যদি অনেক বৃদ্ধ মহিলা দাড়িয়ে থাকে তাও তারা সিট ছেরে দেয় না। তাছাড়া এখনও কিছু মানুষ মেয়েদের এই সমান অধিকার চাওয়া নিয়ে টিটকারি করে সব সময়। যেমন আমার এক বন্ধুই একদিন টিটকারি করে বলেছিল আমাদের দেশের সরকার মেয়েদের সমান অধিকারের কথা বলে মাথায় তুলে ফেলেছে। সরকার চাকরি থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে তাদের সম অধিকারের কথা বলছে। প্রাইমারির চাকরির ক্ষেত্রে তো তাদের কে আরো বেশি অধিকার দেওয়া হইছে।
এই কথাটা অবশ্য ও রাগ করে বলেছি। কারন এই মেয়ে কোঠার জন্যই ওর নাকি চাকরি হয় না। আসলে ও যে একটা গাধা সেটা ও স্বিকার করে না। ও বলে এই মেয়ে কোঠা না থাকলে নাকি ওর চাকরি হয়ে যেত সেবার। ও ফান আরো বলে কি জানেন?? বলে যে সরকার নাকি মেয়েদের সমঅধিকার দিতে দিতে কোন কোন ক্ষেত্রে অধিকার বেশি দিয়ে ফেলছে।
ও আমাকে বলে, দেখ মেয়েদের বিয়ের ক্ষেত্রে অধিকার বেশি দিয়ে ফেলছে। বিয়ের ক্ষেত্রে মেয়েদের বয়স আঠার আর ছেলেদের ক্ষেত্রে একুশ করা হইছে। ও বলে ছেলেদের ক্ষেত্রেও বিয়ের বয়স আঠার করলে কি হতো। কোন কোন ক্ষেত্রে মেয়েদের কে নিয়ে একটু একটু বেশি বেশি করা হইছে ঠিকই। কিন্তু সেটা তাদের শারিরীক দুর্বলতার জন্যেই করা হইছে এটা আমাদের সবার বোঝা উচিত।
হিংসা ধ্বংস ডেকে আনে একথাও আমাদের সবার মনে রাখা উচিত। যাহোক আমি আসল কথাটা বলতেই ভুলে গেছি। সকল ক্ষেত্রে অগ্রসরমান মেয়েরা কিছু কিছু ক্ষেত্রে এখনও পিছিয়ে আছে। আর সেটা হলো তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্র। আমার জানা মতে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে খুব কমই অগ্রসর।
ফেসবুকে এখন কিছু সংখ্যক মেয়ে মানুষের আনাগোনা দেখা গেলেও অন্যান্য মাধ্যমে তা একেবারেই শূণ্যের কোঠায় আছে। তার মধ্যে ব্লগ হলো একটি। যেখানে মেযেদেরকে দেখাই যায় না। সাহিত্য ক্ষেত্রেই একই অবস্থা। বেগম রোকেয়, সুফিয়া কামালের পর দেশ থেকে বিতারিত তসলিমা নাসরিনের পর কিছুদিন আগের তাহমিনা আনাম ছাড়া আর কোন ভাল মেয়ে সাহিত্যিক নতুন করে আসছে না।
আমরা আশা করছি অদুর ভবিষতে ব্লগসহ সকল সাহিত্য ক্ষেত্রে নতুন রোকেয়া, সুফিয়ারা জন্ম নিবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।