হরিষে বিষাদ
পৃথিবীতে কেউ ইতিহাস সৃষ্টি করেন। কেউ ইতিহাসের অংশ হন। আবার কেউ নিজেই হয়ে ওঠেন কিংবদন্তী। এমনই এক জীবন্ত কিংবদন্তীর নাম নেলসন ম্যান্ডেলা।
সভ্যতার কথা বলতে বলতে শেতাঙ্গরা যখন বর্ণবাদের ঘূর্ণাবর্তে বিলীন করে চলছিলো মানবতাবাদ তখন সকল শক্তিতে তার প্রতিবাদ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই ক্ষুদ্রাকায় মানুষটি।
প্রতিবাদের ভাষা তার জানা ছিলো। তিনি জেনেছিলেন শক্ত হাতেই ধরতে হবে হাল, উচ্চতায় তুলতে হবে ঝান্ডা। আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের সশস্ত্র দলটির নেতৃত্ব তার হাতেই উঠে এলো। সেই শক্তি তিনি ব্যবহার করলেন বর্ণবাদবিরোধী সংগ্রামে। কিন্তু পথ ছিলো বন্ধুর।
নাশকতার অভিযোগ এনে পুরে দেয়া হলো কারাগারে। সেই কারাবাস দুই দফায় দির্ঘায়িত হলো ২৭ বছর।
১৯৯০ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারি যখন মুক্তি পেলেন তখন নেলসন ম্যান্ডেলা বিশ্বসভায় আসন করে নেয়া এক সর্বশ্রদ্ধেয় মানব। জয় হলো বর্ণবিরোধী আন্দোলনের। আফ্রিকা পেলো এক নতুন রাজনীতির ধারা।
প্রতিষ্ঠিত হলো বহুবর্ণের গণতন্ত্র। ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৯, ৫টি বছর প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের সবটুকু ঢেলে দিয়ে চেষ্টা করলেন দেশটিকে গড়ে তুলতে। এরই মধ্যে তিনি হয়ে উঠলেন বিশ্ববাসীর প্রাণের নেতা।
একদা নাশকতার মিথ্যা অভিযোগে যাকে কারাদন্ড দেয়া হয়েছিলো সেই নেলসন ম্যান্ডেলাই ভূষিত হলেন নোবেল শান্তি পুরস্কারে।
১৯১৮ সালের ১৮ জুলাই নেলসন ম্যান্ডেলা দক্ষিণ আফ্রিকার থেম্বু রাজবংশের ক্যাডেট শাখায় জন্মগ্রহণ করেন।
মানবতাবাদের এই মহান নেতার ৯৩তম জন্মদিন আজ।
সোর্স: Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।