মাওলানা সাঈদী একজন চিহ্নিত রাজাকার। রাজাকারের সকল আলামতই তার মধ্যে বিদ্যমান। কোন্ আলামতটি নেই তার মধ্যে? দাড়ি-টুপি-নামাজ-রোজা সবই তো আছে। সেই সাথে আছে ভারত বিরোধিতা। তাছাড়া তিনি স্বাধীনতার সোল এজেন্ট আওয়ামী লীগকে দু\'চোখে দেখতে পারেন না।
রাজাকার হতে হলে আর কি কিছুর দরকার আছে? শুধু তাই নয় এদেশের রাম-বাম সুশীল সমাজ ও প্রতিবন্ধী বুদ্ধিজীবীরা তো চোখ বন্ধ করে ঘোষণা দিচ্ছে তিনি একজন ভয়ংকর রাজাকার। সুতরাং তিনি যে রাজাকার যুদ্ধাপরাধী তাতে কি সন্দেহ পোষণ করা জায়েজ আছে? আসলে তাকে বিনা বিচারেই শূলে চড়ানো উচিত। কোন বে-আক্কেলের পরামর্শে সরকার যে এদের জন্য কোটি টাকা খরচ করে ইন্টারন্যাশনাল বসাতে গেলো তা শয়তানই ভালো জানে।
একজন প্রথম শ্রেণীর রাজাকার সাঈদীর ভয়ে সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা স্বয়ং সেক্টর কমান্ডারগণও ভীত সন্ত্রস্ত। এমন কি তার ভয়ে নাকি আমাদের প্রাণ প্রিয় বন্ধু, জান কা দোস্ত ভারত পর্যন্ত চিন্তিত।
তিনি নাকি ভারত এবং আমাদের দহরম-মহরমের চরম হুমকি। দিল খুলে প্রিয় বন্ধু ভারতকে কিছু দিতে চাইলেই বেটা রাজাকার তাফসির মাহফিলে গর্জে উঠেন। আমাদের জানের দোস্ত ভারতের অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিয়ে উঠেন এবং জনগণকে ক্ষেপিয়ে তুলেন যা সম্পূর্ণরূপে একটি হারাম কাজ। এই হারাম কাজটি করে সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিল রাজাকারের তকমা গলায় নিয়ে চির বিদায় নিয়েছেন। আল্লাহ তাকে মাফ করুন।
হামারা দিলকা ইয়ার ভারত এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার জরায়ূ অওয়ামী লীগের কুকর্মের বিরোদ্ধাচরণ করে বর্তমানে রাজাকারের তকমা গলায় নিয়ে বড়ই কষ্টে আছেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। হে আল্লাহ কষ্ট সহিবার তৌফিক কাদেরকে দিন!
যেখানে দেশের মানুষ রাজাকার সাঈদীর বিচার দেখার জন্য নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে দিয়ে ইন্টারন্যাশনালের প্রতি তীর্থের কাকের মতো চেয়ে আছে সেখানে ইন্টারন্যাশনাল এইডা কি করল? বোধ হয় ইজ্জত আর থাকলো না। এতো বড়ো একজন চিহ্নিত রাজাকারের বিচার হচ্ছে অথচ এতোগুলো টাক মাথা একজন ভালো মানুষকে বাদী হিসেবে খাড়া করতে পারলো না! কতো ঢাক-ঢোল পিটানো হলো, কতো সোনাদানা ছিটানো হলো শেষমেশ একজন চোর-বাটপারকে বাদী হিসেবে খাড়া করা হলো? যে কিনা একজন হিন্দু ভদ্রলোকের ঘরে চুরি করে জেল খেটেছে! নাউজুবিল্লাহ! এখানেই শেষ নয় এই চোরটা নাকি রাজাকার এমপি সাঈদীর তদবীরে সরকারের 'মাল' খেয়ে জীবন বাঁচিয়েছে! কিয়া মুশকিল কা বাত!
এই মহান আদালতের বাদী কাম সাক্ষী মাহবুব আলমকে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সাঈদীর রাজাকারগিরির সংবাদ দিয়েছিল যে খলিল তার জন্ম নাকি স্বাধীনতার পর বাহাত্তুরে! আস্তাগফিরুল্লাহ! ইন্টারন্যাশনালের টাক মাথাগুলো কি করেছে এতো দিন? এতো বড়ো একজন রাজাকারের বিচারের সাক্ষী হিসেবে দু'একজন প্রকৃত, ভালো এবং সমাজে প্রতিষ্ঠিত মুক্তিযোদ্ধা খুজে পেলো না? নাকি ইন্টারন্যাশনালের মালপানি পুরোটাই টাক মাথাগুলো নিজেরাই খেয়ে ফেলেছে? বর্তমান বরাদ্ধে যদি ভালো বাদী বা সাক্ষী না পাওয়া যায় তাহলে প্রয়োজনে ভারত থেকে ঋণ এনে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বাদী হিসেবে খাড়া করা হউক। সুদের ঘানি টানতে হয় আমরা টানবো তবুও ইন্টারন্যাশনালের ইজ্জত বজায় থাকুক।
যে ঘটনার বিচার হচ্ছে সে ঘটনার সময় নাকি সাঈদী ঐ এলাকায় ছিলেন না।
তাতে কি হয়েছে? ঐ এলাকায় বেটা রাজাকারের জন্ম তো হয়েছিল! ঐ এলাকায় জন্ম হওয়াটাই তার একটা পাপ। এই পাপেরও বিচার হওয়া উচিত এবং সম্পূর্ণ ইন্টারন্যাশনাল কায়দায়। আমরা এদেশের গরীব আদমী। আমরা মনে প্রাণে চাই যুদ্ধাপরাধীর বিচার হউক, সে যদি আমার মেয়ের শশুর কিংবা দাদা শশুরও হয় তাহলেও হউক। তবুও প্রকৃত অপরাধীর শাস্তি হউক।
কারণ এ বিষয়টির জন্য আমাদের ভাগ্যের উন্নতি হচ্ছে না। দেশের উন্নয়নের চাকা ঘুরতে পারছে না। তবে বিচারের নামে যেন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল না করা হয়। একটি প্রহসন যেন আরেকটি প্রহসনের জন্ম না দেয়। সে দিকে টাক মাথাগুলোর দৃষ্টি রাখা উচিত বলে আমরা গরীব মানুষেরা মনে করি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।