মুক্তমত প্রকাশের প্লাটফর্ম ব্লগ। তাই ব্লগে বসতে ভা্ল লাগে....। সরকার সম্প্রতি সরকারি চাকরির মেয়াদ দুই বছর বাড়িয়েছে যা তরুনদের বেকারত্বকে আর ও হুমকির মুখে ফেলবে। কারন হিসেবে বলা হচ্ছে গড় আয়ু বৃদ্ধি। গড় আয়ু বেড়ে যাওয়ার অর্থ এই নয় যে মানুষের আয়ু ও উৎপাদনশীলতা বাড়ছে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের চরম উন্নতির কারনে শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার কমে যাওয়ায় মানুষের গড় আয়ু বাড়লেও প্রকৃত আয়ু কমে যাচ্ছে।
একটি সরকারি চাকরি পেলে তার জীবন সার্থক হেয় গেল, এ কথা আবার জোর দিয়ে বলার সময় এসে গেল। যদিও আমি মনে করি তরুনদের জন্য হুমকি হলে ও এর ভাল খারাপ দুটি দিকই আছে। খারাপ দিকটা হচ্ছে এই যে এই সিদ্ধান্তের ফলে তরুনরা সরকারি চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে একটি দীঘ’ জটিলতার মধ্যে পড়ে যাবে। চাকরির বাজারে এখন কি হাহাকার চলছে তা বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার লাইন দেখলেই বোঝা যায়।
বিশেষ করে সরকারি চাকরি হলেত আর কথাই নেই। এখন যে হারে শিক্ষাথী’ গ্রাজুয়েশন শেষ করে বের হচ্ছে তাদের জন্য সেই হারে কম’ক্ষেত্র সৃষ্টি হচ্ছেনা,এখন আবার এই সিদ্ধান্তের ফলে একেকটি পদ খালি হতে অনেক সময় লাগবে যা একটি জট তৈরী করবে। এর ফলে তরুনদের মধ্যে বেকারত্বের সংখ্যা বাড়বে। তাদের মধ্যে হতাশা বাড়বে আর এই হতাশা তাদেরকে বিভিন্ন অপরাধের দিকে ধাবিত করবে।
আর ভাল দিকটা হচ্ছে এই যে,অনেক সরকারি চাকুরিজীবি বয়স্কলোক পারিবারিক দুরাবস্থা থাকা সত্তে ও বয়সসীমার বাধ্যবাধকতার কারনে অবসর নিতে বধ্য হতেন।
এর ফলে তাদের সাংসারিক জীবন চালানো কঠিন হয়ে পড়ত কারন এই বয়সে তাদের পক্ষে অন্য কোন কাজ করে জীবিকা চালানো অসম্বভ হয়ে পড়তো। তাদের জন্য এটি একটি উত্তম সিদ্ধান্ত।
যাই হোক সরকারের উচিত এই সিদ্ধান্ত কায’কর করার সাথে সাথে তরুনদের জন্য ও একটি উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া যাতে বেকারত্ব মারাত্বক আকার ধারন না করে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।