প্রতিদিন যা পড়ি পত্রিকার পাতায়, ভাললাগা-মণ্দলাগা সবই শেয়ার করি সবার সাথে।
বিচারকের কাছ থেকে ফি নেওয়ায়...
দিনাজপুরে এক বিচারকের কাছ থেকে পরামর্শ ফি নেওয়ার অভিযোগে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাহানারা বেগমের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আদালত ওই চিকিত্সকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
দিনাজপুর অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত-৫-এর আদেশনামা সূত্রে জানা যায়, অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম এ কে এম ফজলুল হকের স্ত্রী রাবেয়া সুলতানার পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হওয়ায় গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ফজলুল হক স্ত্রীকে শহরের বালুবাড়ি এলাকায় চিকিত্সক জাহানারা বেগমের চেম্বারে নিয়ে যান। চিকিত্সক ফজলুল হককে স্ত্রীর একটি আলট্রাসনোগ্রাম করে আনার জন্য ব্যবস্থাপত্র লিখে দেন।
ফজলুল হক ব্যবস্থাপত্র নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় চিকিত্সক জাহানারা তাঁর কাছে ৩০০ টাকা পরামর্শ ফি দাবি করেন। এ সময় ফজলুল হক তাঁকে সরকারি চিকিত্সাসুবিধা বিধিমালার কথা উল্লেখ করে বলেন, তিনি ফি নিতে পারেন না। এ সময় জাহানারা ফজলুল হকের কাছ থেকে ব্যবস্থাপত্র চেয়ে বলেন, ফি না দিলে ব্যবস্থাপত্র দেওয়া যাবে না। স্ত্রীর পেটে প্রচণ্ড ব্যথার কথা বিবেচনা করে ফজলুল হক চিকিত্সককে ৩০০ টাকা ফি দিয়ে ব্যবস্থাপত্র নিয়ে বেরিয়ে যান।
এ ঘটনায় বিচারক ফজলুল হক নিজে আবেদনকারী হিসেবে রাষ্ট্রকে বাদী করে গত রোববার চিকিত্সকের বিরুদ্ধে দিনাজপুর অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে মামলা করেন।
আদালতের আদেশনামায় উল্লেখ করা হয়, “সরকারি কর্মচারীর (চিকিত্সাসুবিধা) বিধিমালা, ১৯৭৪-এর ৪ বিধিতে বলা হয়েছে, ‘সরকারি কর্মচারী অনুমোদিত চিকিত্সক কর্তৃক বিনা খরচে চিকিত্সাসুবিধা পাইবেন। ’ একই আইনের ১১ বিধিতে বলা আছে, ‘সংশ্লিষ্ট কর্মচারী যেইরূপ মেডিকেল অ্যাটেনডেন্স এবং চিকিত্সার সুবিধা প্রাপ্য, তাঁহার পরিবারের সদস্যগণও তদ্রূপ সুবিধা পাইবেন। ’ ওই আইনের এই বিধানগুলি পর্যালোচনা করিলে দেখা যায় যে, সরকারি ডাক্তারদেরকে এই শর্তে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করার অনুমতি দেওয়া হইয়াছে যে, তাঁহারা সরকারি কর্মচারী ও তাঁহাদের পরিবারের সদস্যদেরকে তাঁহাদের (ডাক্তার) চেম্বারেও বিনামূল্যে চিকিত্সা সুবিধা প্রদান করিবেন। ”
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে চিকিত্সক জাহানারার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন এবং তা কার্যকর করার জন্য কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।
ওসি শামীম ইকবাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করেছে।
কিন্তু আসামি গা-ঢাকা দেওয়ায় তাঁকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি। ..
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।