আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
উইকিলিক্সের মাধ্যমে আমরা জানি যে ২০০৮ এর হাসিনার আলীগ বিপুল ভাবে জয়ী হওয়াতে ভারত দারুণ খুশী হয়েছিল। প্রথমত ভারত মুখে শুধু বলছিল যে মুম্বাই সহ ভারতের পশ্চিমাংশে তথাকথিত ইসলামী জঙ্গীরা যে বোমা সহ অন্যান্য সন্ত্রাসী হামলা করে তার অনেক গুলোই নাকি বাংলাদেশ হতে পরিচালিত হয়েছে। সেই ২০০৮এর মুম্বাই সন্ত্রাসী হামলার জন্যও বাংলাদেশকেও দায়ী করে ভারতের বিভিন্ন ব্যাক্তি ও গোষ্ঠী। যদিও তখন ১/১১এর কল্যাণে ভারত প্রেমিক ফখরু-মঈনুদ্দিনের সরকার ক্ষমতায়। আসলে ভারতে এই তথাকথিত ইসলামী সন্ত্রাসবাদের জন্য বাংলাদেশকে দায়ী করার উদ্দেশ্য একটাই কিভাবে আমাদের নদ-নদীর পানির ন্যায্য বন্টন, স্থল ও সুমুদ্র সীমানার যথাযথ চিহ্নিতকরণ, বাণিজ্য ঘাটতি এবং নেপাল-ভুটানকে এখানে(বাংলাদেশে) আসার ট্রানজিট না দিয়েই দিল্লী কিভাবে নৌ করিডোর অব্যাহত রাখার পাশাপাশি সড়ক-রেল এবং সুমুদ্র বন্দর বিনামূল্যে ও একতরফা ব্যাবহার করতে পারে।
আজকে ২০১১তে এসে আমরা কি দেখছি যে আমাদের ৫৪টি অভিন্ন নদ-নদী সহ অন্যান্য সমস্যার সুষ্ঠ ও ন্যায় সঙ্গত সমাধান না করেই হাসিনা ভারতকে নৌপথ অব্যাহত রাখার পাশাপাশি ভারতকে সড়ক করিডোর দিয়ে দিছে। রেল ও সুমুদ্র বন্দরও প্রায় চূড়ান্ত হওয়ার পথে। এদিকে সরকার টিপাই মুখ বাধ নিয়ে ভারতের সাথে কোন শক্ত দেনদরবারতো করছেই না উপরন্ত হাসিনার উপদেষ্টা গওহের রিজভী বলছে ভারত এই বাধ দিলে নাকি কোন ক্ষতি হবে না। অথচ সেই ১৯৫১ সাল হতেই ভারত এ অঞ্চলের সাথে পানি নিয়ে প্রতারণা করে আসছে। ১৯৬৭ সাল হতে ১৯৭৫ পর্যন্ত বাংলাদেশে যে নদীপথের দৈঘ্য ছিল ২৪ হাজার কিমি তা বর্তমানে মাত্র ৬ হাজার কিমি;
Click This Link
উজানে ফারাক্কা সহ বিভিন্ন নদীর উপর ভারতের একতরফা বাধ দিয়ে পানি প্রত্যাহারের জন্যই এই অবস্থা হয়েছে।
তার রিজভী সহ আওয়ামী-বাকশালী গং বলছে টিপাই বাধ দিলে বাংলাদেশের ক্ষতি হবে না। এত কিছুর পরেও ভারতের প্রশংসায় আওয়ামী-বাকশালি গং এতই পঞ্চমুখ যে আলীগের সাধারণ সম্পাদক এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল বলেই দিলেন যে ভারত ও বাংলাদেশ নাকি এক রাষ্ট্র। আমাদের সব কিছুই নাকি কমন। তার কথা শুনে পৃথিবীর ক্রীতদাস আমলের কথা মনে পড়ে যেখানে একেতো অমানবিক ভাবে বন্দী একজন সাধারণ মানুষ তার উপর মনিবের চরম চাবুকের বাড়ি খেয়েও উহ শব্দও করে না বরং পদলেহন করে। হাসিনার বর্তমান আমলে বাংলাদেশ হতে ভারতের কোন সন্ত্রাসী ও জঙ্গী হামলার কোন সম্পৃক্ততা অসম্ভব।
হাসিনা ও তার আওয়ামী-বাকশালী গংদের ভারতের জন্য সীমাহীন বলিদান দিয়েও ভারতের একজন সাবেক মন্ত্রী সুব্রামানিয়ান স্বামী ২০১১এর জুলাইতে দিল্লীতে সন্ত্রাসী হামলার উপলক্ষ করে খুলনা হতে সিলেট পর্যন্ত আমাদের বাংলাদেশকে টুকরো করতে চাচ্ছে;
Click This Link
এই সুব্রামানিয়ান শুধু সাবেক মন্ত্রীই নন এতদিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। হাউ টু ওয়াইপ আউট ইসলামিক টেরর, নামে যে আর্টিকেল লিখেন তা বস্তুত ইসলাম, ভারতীয় মুসলিম ও বাংলাদেশ বিদ্বেষ ব্যাতীত কিছুই নয়। বাংলাদেশে আওয়ামী-বাকশালী গংতো বটেই সমমনা কিন্তু নিরপেক্ষতার ভানকারী সুশীলরাও এ ব্যাপারে নিশ্চুপ! তাদের কাছে সুব্রামানিয়ান মোটেই গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে তারা ভারত প্রেমে যতই অন্ধ থাকুক সাধারণ মানুষ কিন্তু মুখ বন্ধ রাখেনি;
ishtiaque sarwar
২০১১.১২.১৩ ২৩:৩৩ এটাই ভারতের আসল চেহারা এবং তাদের অনেক নাগরিক এবং রাজনীতিবিদ্রা এমন ধারণাই পোষন করেন মনে প্রাণে যে কোন একদিন বাংলাদেশ কে দখল করবে। তারা চায় এবং বিশ্বাস করে যে বাংলাদেশের উচিত তাদের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকা কারন আমরা যে তাদের কৃপায় স্বাধীনতা পেয়েছি তাই।
এটার প্রমান আমি পেয়েছি কিছু ভারতীয়দের সাথে মিশার সূ্যোগে। তারা এটা বিশ্বাসই করতে চায়না যে বি এস এফ আমাদের মানুষদের অকারণে মারছে সীমান্তে। ব্যাপার টা কে তারা বিচ্ছিন্ন বলে চালিয়ে দেয়। দোষ চাপায় আমাদের উপরেই।
কোহিনূর সুলতানা শিউলী
২০১১.১২.১৩ ২৩:৩৯ অবাক হওয়ার কিছু দেখছি না।
গত বছর দিল্লীতে কমনওয়েলথ গেমসে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে কী আচরণ করা হয়েছিল মনে করে দেখুন। আর আমাদের গওহর রিজভীরা উনাদের কাছ থেকে 'আশ্বাস' নামক এক অশ্বডিম্ব নিয়ে এসে খুশিতে বগল বাজাচ্ছেন আর বলছেন, 'যত সুখ, টিপাইমুখ'!
********************
স্পষ্টতই বাংলাদেশ ভারতকে যতই উদারতা দেখাক, ভারতের নীতি নির্ধারক মহল ঢাকাকে ক্রীতদাসের চেয়েও অধম মনে করে। তাদের দ্বারা সাধারণ ভারতীয়রা কম-বেশী প্রভাবিত। দুনিয়াটা যে শক্তরে ভক্ত নরমেরে যম সেটা আবারও প্রমাণিত। নিজের অধিকার সমন্ধে সোচ্চার না হলে অন্য কেউই সেটা দেয় না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।