আমি তাই বলি যা আমি বিশ্বাস করি হেফাজতে ইসলাম নাস্তিকদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। ভালো কথা। কিন্তু এই আন্দোলন কি কোন নাস্তিক কে আস্তিক বানাতে পারবে? আমার তো মনে হয় এর ফলে তারা যেসব ভ্রান্ত ধারণার কারনে নাস্তিক হয়েছে তা আরো শক্ত ভাবে তাদের মনের ভিতর গেঁথে যাবে। তা কি কোন অংশেই সমীচীন হবে?আমি বিশ্বাস করি নাস্তিকরা আস্তিক না হওয়া পর্যন্ত তাদের সঠিক পথে আসার দাওয়াত দেওয়াটাই শোভনীয়। আর তারা যদি বলে তাদের আন্দোলন নাস্তিকদের বিরুদ্ধে নয় তাদের আন্দোলন আল্লাহ ও রাসুল (সা কে কটুক্তিকারিদের বিরুদ্ধে তবে আমি কোন সন্দেহ ছাড়াই তাদের পাশে দাঁড়াবো।
তবে আন্দোলনে আরো কিছু দাবি যোগ করা উচিত বলে মনে করিbr /> ১) সকল ধর্মের কটুক্তিকারিদের শাস্তির বিধান রেখে আইন প্রণয়ন।
২) মঊদুদি পন্থি জামাতকে নিষিদ্ধের দাবি। কারন তারা মারাত্মক ভাবে ইসলামকে অপব্যাবহার করে সাধারণ মুসলিমকে ভড়্কাচ্ছে। যেমন, চাঁদে সাইদিকে দেখা।
৩) যেসকল ভণ্ড পীর আছে তাদের তালিকা করে এদের ব্যাবসা বন্ধ করার জন্য সরকারকে চাপ প্রদান।
৪) সকল মাজার ভিত্তিক ধর্ম ব্যাবসার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া।
২,৩,৪ পয়েন্টগুলো অবশ্যই আন্দোলনে ঢোকান উচিত নতুবা সাধারণ মানুষ ভাববে হেফাজতে ইসলাম জামাত, ভণ্ড পির, মাজারের অন্ধ সমর্থকদের ভয় পাচ্ছে যা দেখতে দৃষ্টি কটু লাগবে।
আর আমাদের দেশের আলেমদের এটা করা খুবই দরকারী কারন এই দেশের মুসলমানদের ধর্ম ব্যাবসায়ীরা সহজেই বিপথগামী করে ফেলে। তাই ইসলামকে হেফাজত করতে আমাদের ইসলামের শত্রুদের পাশাপাশি ধর্ম ব্যাবসায়িদের সাথে লড়তে হবে। হেফাজতে ইসলামের আলেমরা নিশ্চই অনেক জ্ঞানী ,তারা নিশ্চই ব্যাপারটা ভেবে দেখছেন।
তাদের পরবর্তী ঘোষনার অপেক্ষায় থাকলাম।
শেয়ার করে হেফাজতে ইসলামের কাছে কথা গুলো পৌঁছাতে সাহায্য করুন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।