মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক কর্মকর্তা এডওয়ার্ড স্নোডেনকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে ভেনেজুয়েলাসহ লাতিন আমেরিকার দেশগুলো যে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, তাতে সমর্থন জানিয়েছেন কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রো।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত খবরে জানানো হয়, গতকাল রোববার রাউল কাস্ত্রো তাঁর এই মনোভাবের কথা জানান।
কিউবার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে কাস্ত্রো বলেন, যাঁরা নিজেদের আদর্শের জন্য নির্যাতনের শিকার, যাঁরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন—ঐতিহ্য অনুযায়ী তাঁদের আশ্রয় দেওয়ার অধিকার ভেনেজুয়েলা ও এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের রয়েছে।
স্নোডেনের বিষয়ে এই প্রথম প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করলেন রাউল কাস্ত্রো। গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকজন মার্কিন নাগরিককে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে কিউবা।
তবে স্নোডেন কিউবায় আশ্রয় চেয়েছেন কি না বা চাইলেও এ বিষয়ে দেশটির অবস্থান কী—সে সম্পর্কে কিছু বলেননি রাউল কাস্ত্রো।
স্নোডেনকে আশ্রয়দানকারী দেশের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের মার্কিন হুমকির নিন্দা জানিয়েছেন কিউবার প্রেসিডেন্ট। একই সঙ্গে স্নোডেন থাকার সন্দেহে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসের বিমান থামানোর ঘটনায় ইউরোপীয় দেশগুলোর নিন্দা জানিয়েছেন রাউল কাস্ত্রো।
যুক্তরাষ্ট্র ‘আধিপত্যবাদ দর্শনের’ চর্চা করছে অভিযোগ করে রাইল কাস্ত্রো বলেন, ‘এ ধরনের পদক্ষেপ প্রমাণ করে, আমরা এমন একটি বিশ্বে বসবাস করছি, যেখানে শক্তিশালী দেশগুলো মনে করে তারা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করতে পারে। তারা অন্য দেশের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ এবং জনসাধারণের অধিকার অবজ্ঞা করতে পারে।
’
লাখ লাখ ফোনকল ও অনলাইন তত্পরতায় মার্কিন প্রশাসনের গোপন নজরদারির তথ্য ফাঁস করে গত ২০ মে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হংকংয়ে যান স্নোডেন। গত ২৩ জুন তিনি হংকং ছেড়ে রাশিয়া যান। তখন থেকে স্নোডেন মস্কোর শেরেমেয়িতেভো বিমানবন্দরের ট্রানজিট এলাকায় অবস্থান করছেন।
স্নোডেন ইতিমধ্যে ২৭টি দেশে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন, যার বেশির ভাগ নাকচ হয়ে গেছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।