ঢাকা, ডিসেম্বর ১২ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- সরকার দেশের অর্থনীতিকে ‘ফোকলা’ করে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন খালেদা জিয়া।
দেশের তৈরি পোশাকের প্রদর্শনী বাটেক্সপোর সমাপনী অনুষ্ঠানে দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে বলেও দাবি করেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা বলেন, “গার্মেন্ট শিল্পসহ সবকিছুই নানামুখী সংকটের চক্রব্যুহে আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা পড়েছে। দেশের অনেক শিল্পের মালিকানা চলে যাচ্ছে ভিনদেশিদের হাতে। এ এক অশনি সংকেত।
”
সোমবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ওই প্রদর্শনীর সমাপনীতে বক্তব্যে এ সব কথা বলে জনগণকে সজাগ ও সর্তক দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান তিনি।
দেশের তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ’র আয়োজনে এ প্রদর্শনী শুরু হয় গত ১০ ডিসেম্বর।
দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা তুলে ধরে গত ১ ডিসেম্বর নিজের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, “সরকার দেশকে দেউলিয়াত্বের পথে নিয়ে যাচ্ছে। ”
এরপর এ প্রদর্শনীর উদ্বোধনে বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, “উন্নত দেশগুলোর অর্থনীতিতে মন্দা চলছে। উন্নত ও উন্নয়নশীল অনেক দেশের অর্থনীতিই নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে।
উদীয়মান অর্থনীতিগুলোতেও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তারপরও আমরা দাবি করতে পারি, দেশের অর্থনীতির চাকা আমরা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছি। ”
১১ দফা
সোমবার পোশাক খাত সংশ্লিষ্ট ১১ দফা দাবিও তুলে ধরেন খালেদা জিয়া।
এর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে চার্জ কমানো, বিভিন্ন ব্যাংকিং চার্জ ও সুদের হার হ্রাস, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান,শিল্প প্রতিষ্ঠান চালুর স্বার্থে চলতি মূলধনের প্রবাহ অব্যাহত রাখা, রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল বৃদ্ধি, ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন, শিল্প প্রতিষ্ঠানে কেন্দ্রীয়ভাবে ইটিপি স্থাপন, স্বল্প সুদে শ্রমিকদের জন্য ডরমিটরি স্থাপন, যুক্তরাষ্ট্রে বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের সুযোগের চেষ্টা চালানো ও বিদেশে বাংলাদেশি মিশনগুলোকে আরো সক্রিয় করা।
উন্মুক্ত বিশ্ববাজারের অবাধ প্রতিযোগিতার কথা বিবেচনা করে পোশাক শিল্পের জন্য অনুকূল নীতি-সহায়তা নিয়ে সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান বিরোধীদলীয় নেতা।
তিনি বলেন, “মালিকদের বলতে চাই- আমাদের পক্ষ থেকে তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য সর্বপ্রকার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। ”
সরকারের নীতির সমালোচনা করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেন, “সরকার নিজেকে শিল্পবান্ধব বলে দাবি করে। কিন্তু বাস্তবে সরকারের কর্মকাণ্ডে তা প্রতিফলিত হচ্ছে না।
“চলতি অর্থবছরের বাজেটে পোশাক শিল্পে উৎসে আয়কর কর্তনের হার শতকরা ৫০ ভাগ বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের ফ্লোর ও স্পেস ব্যবহারের ওপর শতকরা ১৫ ভাগ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে।
”
এ সব পূনর্বিবেচনার জন্য সরকারের প্রতি দাবিও জানান তিনি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।