বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ‘শিগগির’ দেশে ফিরছেন না বলে জানিয়েছেন তার মা ও দলপ্রধান খালেদা জিয়া।
রোববার রাতে বিবিসি বাংলা সার্ভিসে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা বলেন, “তারেক রহমানের ওপর এতো নির্যাতন হয়েছে যে, তার মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সে বসতে পারে না, দাঁড়াতে পারে না।
“বন্দি অবস্থায় নির্যাতনে তারেক রহমানের মেরুদণ্ডের হাড় এখনো বাঁকা হয়ে রয়েছে। ”
তারেকের মেরুদণ্ডের চিকিৎসা ‘স্থগিত’ রাখার কোনো সুযোগ নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, “ডাক্তার বলেছেন, তার দীর্ঘস্থায়ী চিকিৎসা দরকার।
চিকিৎসায় বিঘ্ন হলে ক্ষতি হবে। ”
সেনা সমর্থিত গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হন তারেক রহমান। ওই বছরই জামিনে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাওয়া তারেক এখনো দেশে ফেরেননি।
তারেকের রাজনীতিতে ফেরা নিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, “রাজনীতি করতে তো সুস্থতা দরকার। সেখানে তাকে ফিজিওথেরাপি, সাইকোথেরাপি দিতে হয়, নানা রকম ব্যায়াম করতে হয় যেগুলো বাংলাদেশে নেই।
“সেজন্য তারেক রহমান এখন এই রকম অসুস্থ শরীর নিয়ে ফিরতে পারে না। ”
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিভিন্ন মামলা প্রসঙ্গে খালেদা জিয়া বলেন, “এসব মামলা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। একটা মামলাও তারা প্রমাণ করতে পারবে না। ”
“তত্ত্বাধায়ক সরকার এসব প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, এই সরকারও ব্যর্থ হবে৻”
২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা, মুদ্রাপাচার ও দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অন্তত ১০টি মামলা চলছে।
স¤প্রতি মুদ্রাপাচার মামলায় তার বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই-এর এক কর্মকর্তা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।