আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজারবাগী পীরের পরিচয়, ভ্রান্ত-চিন্তাধারা ও তার খন্ডন ( পর্ব-০১)

আমি খুবই সাধারণ রাজারবাগী পীরের পরিচয়: রাজারবাগী পীরের নাম জিল্লুর রহমান। ৫নং আউটার সার্কুলার রোড, রাজারবাগ, ঢাকা-১২১৭। মুহাম্মাদীয়া জামিয়া শরীফ ও সুন্নাতী জামে মাসজিদ তার দরবার। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানাধীন প্রভাকরদী গ্রামের তাঁতী ও সুতা ব্যবসায়ী মরহুম জনাব মোখলেসুর রহমান মিঞার ৩য় পুত্র। তিনি নিয়মতান্ত্রিক লেখাপড়া কোন আলেম নন, একজন কলেজ শিক্ষিত ব্যক্তি ।

তবে তিনি দাবী করেন যে, তাকে ইলমে লাদুন্নী দান করা হয়েছে। তিনি বাহরুল আলেম বা জ্ঞানের সমুদ্র। তার দাবী হল তিনি সাধারণ পীর নন বরং গাউসুল আজম এবং আমীরুল মু’মিনীন ফিত তাসাউফ অর্থ্যাত তাসাউফ শাস্ত্রেও সর্বোচ্ছ নেতা। তার মুরীদগণের বর্ণনা মতে বড়পীর আবদুল কাদের জিলানীর চেয়েও তার মাকাম অনেক উর্দ্ধে। ( তথ্যসূত্র: মাসিক আল বায়্যিনাত, ৭৩তম সংখ্যা, সেপ্টেম্বর ১৯৯৯, পৃষ্ঠা-৪৬ ।

এছাড়াও উক্ত সংখ্যায় লেখা হয়েছে, উল্লেখ্য রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর সাহেব ক্বিবলা মুদ্দাজিল্লুহুল আলী-এর নামের পূর্বে যেসব লক্বব রয়েছে , উনি তারও উর্দ্ধে। এমনকি কথিত গাউসুল আযম লক্ববেরও উর্দ্ধে। বুজুর্গী প্রমাণের ধরণ: নামের খেতাব নিয়ে বাড়াবাড়ী: নিজের নামের আগে পিছে ৫০এর অধিক খেতাব সংযুক্ত করেছেন। আজ পর্যন্ত উম্মাতের কেউ এমন খেতাবের বিশাল বহর নিজের নামের সাথে যুক্ত করেনি। তিনি বলেন এর অনেকগুলো খেতাব তাকে দিয়েছেন তরীকতের ইমাম বা পীর আউলিয়াগণ।

তার খেতাবের মধ্যে অন্যতম হলো: মুফতিহুল আজম বাহরুল উলূম ওয়াল হিকাম হাফিজুল হাদীস হাকিমুল হাদীস হুজ্জাতুল ইসলাম ফিল আলামীন তাজুল মুফাসসিরীন রইসুল মুহাদ্দিসীন আমীরুল মু’মিনীন ফী উলুমিল ফিকহে ওয়াত তাসাওউফ মাখযানুল মারেফাত ইমামুস সিদ্দীকিন গাউসুল আজম কুতবুল আলম সায়্যিদুল আউলিয়া আফজালুল আউলিয়া সুলতানুল আরিফীন শাইখুশ শূয়ুখ ওয়ার মাশায়েখ মুজাদ্দিদ ফিদদীন সায়্যিদীন মুজতাহিদীন কাইউমুয যামান হাবীবুল্লাহ প্রভৃতি। ( প্রমাণ জানতে তাদের আল বায়্যিনাত পত্রিকা ও তাদের হ্যান্ডবিল দেখুন ) পত্রিকায় দাবী করা হয়েছে, “মাওলানা আশরাফী আলী থানবী সাহেবের লক্বব ছিলো প্রায় ৬১টি। এমনিভাবে ইমাম আবু হানীফার ৪৮টি, বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী সাহেবের লকব ৫১টি, ইমাম বুখারীর ২৮টি। যুক্তির খন্ডন: কিন্তু রাজারবাগী সাহেব এটা চেপে গিয়েছেন যে, এসব লকব তাঁদের নিজের দেয়া নয়। বিভিন্ন জন তাদের প্রশংসায় যেসব শব্দাবলী ব্যবহার করেছেন, তা গণনা করলে হয়তবা এরকম সংখ্যা দেখানো যাবে, কিন্তু তারা নিজেরা কখনও আত্মপ্রচারের জন্য এসব খেতাব চয়ন করে নিজেদের নামের সাথে জুড়ে দেন নি।

তদুপরী তার রাজারবাগী সাহেবের ন্যায় নামের আগে পিছে এসব খেতাব চয়ন করে নিজেদের নামের সাথে জুড়ে দেননি। বরং পূর্বসুরীদের অনেকে এটা পছন্দ করতেন, তার বহু প্রমাণ রয়েছে। অতএব এসব জারিজুরি করে জনগণকে ধোকা দেয়া ঠিক না। এছাড়াও দাবী করে যে, তিনি স্বপ্নের মাধ্যমে আল্লাহ কর্তৃক, রাসূল (সা) কর্তৃক ও আউলিয়া কর্তৃক এসব খেতাব লাভ করেছেন বলে দাবী করেন, অথচ স্বপ্ন শরীআতে হুজ্জাত বা দলীল নয়। ইসলামী শরীয়াতের দলীল কুরআন ও সুন্নাহ।

সপ্ন তো দলীল হতে পারেনা। একমাত্র নাবী গণের সব স্বপ্ন সত্য। নাম নিয়ে আরো অনেক বাড়াবাড়ী রয়েছে। সেগুলো আসবে আগামী পর্বে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২৪ বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.