আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আবুল তুমি মোরে করেছ কাবুল ...........আবুলের যত কুফা উপাখ্যান ................

"জানালার ওপাশের অন্ধকার থেকে আমার সঙ্গীরা আমায় ডাকে..একদিন যাদের সঙ্গ পেয়ে আজ নিসঙ্গ্তায় ডুবেছি"-(শঙ্খনীল কারাগার)হুমায়ূন আহমেদ একসময় ছোটোকালে রূপকথার বই অনেক পড়তাম ,তবে সেগুলো বই না গিতীকাব্যের ভঙ্গিতে লেখা সেটা নিয়ে আমার এখন ও সন্দেহ লাগে ,পরে বড় হবার পর সেই গল্প গুলো দেখি বাচ্চাদের হাতে ছোটদের ঠাকুরমার ঝুলি হিসেবে ঘুরছে, ভালোই ওখানে এগুলো সহজ করেই দেয়া , তবে এখন কার কি অবস্থা এটা জানি না, কারণ ডোরেমন , সিনচেন আরো কি কি জানি ভুলেই গেলাম এগুলোর প্রতাপে আর বই পড়ার সময় কই তবে এই লাইন গুলো প্রায় সব গল্পেই একই দেখা যেত , অমুখ রাজ্যের তমুখ রাজার ১০০ বিয়ে করে ফেলেছেন কিন্তু কোন ছেলে পুলে নেই , আটকুড়ে । সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘুটে কুড়ানি দাসীর সামনে পড়লেও দাসী ঝাটা মারে ,অলুক্ষণ হবে ভেবে রাজা হলেন বিবাগী তিনি যাত্রা করলেন বনের পথে। এই গেল গত শতাব্দীর কথা , কিন্তু বর্তমান যুগের আইডল হাল ফ্যাশনের অন্যতম সেনসেশন আমাদের ডিজিটাল আবুল!! তিনি আটকুড়ে না হলেও তার চেয়ে কম নয় তাই তার কথা শুনার আগেও মানুষ চিন্তা ভাবনা করে বলে , এই যেমন মুখে উচ্চারন করার সাথে সাথে পিসি টা রিস্টার্ট নিলো ............(ট্যাং ট্যাং ট্যাং ট্যাং ...........জানালার (WINDOWS)খুলার আওয়াজ )এরকম আরো কয়েকটা ভয়াবহ ব্যাপার হতে লাগলো , যেমন যেই আবুল বিটিআরসি তে বসলো সেই দেশের সব নেট কানেকশন অফ হয়ে গেল ,বাস চলছিল হঠাৎ বাস থেমে যেতে লাগলো, নাম নিতেই এলাকার ট্র্যান্সমিটার বাস্ট হয়ে গেল ,তখন থেকেই মানুষ আর তার নাম নেয় না .......নিলেও সাবধানে নেয় ,কারো ক্ষতি করার জন্য নেয়। যেমন আপনার শত্রুর গাড়ি দেখে আপনার হিংসা হল আপনি বললেন "তোমার গাড়ি টা তো আবুলের হাসির মত চকচক করে"কাজ হয়ে যাবে সাথে সাথেই গাড়ি রিস্টার্ট আর হবে না ,কারবুরেটরে আসমানী গায়েবী পানি এসে গাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে। তাই তখন মানুষ কিছু প্রবাদবাক্যে কিছু পরিবর্তন আনলো যেমন আগে ছিল "যত দোষ নন্দ ঘোষ "সেখান থেকে পরিবর্তিত হয়ে প্রবাদ টা হল "যত দোষ সব আবুলের দোষ" নন্দ সাহেব ও মনে হয় কবর থেকে শান্তি পেলেন ,এবং ফেরেশতাদের ডেকে মিলাদ পড়ালেন । এই যে জিলাপী খাচ্ছি কিন্তু এদিকে আমাদের দেশী নন্দলাল ভাইয়ার মত আবুল ভাইয়া ও স্বদেশের উপকারে না কি অপকারে জীবন রাখিতে সদা প্রস্তুত ,তিনি যতকিছুই হোক তার সদা হাস্যা চেহারা দেখলে কিন্তু মনেই হয় না যে এই সেই বিখ্যাত ব্যক্তি এই সেই আবুল বুল বুল বুল (প্রতিধ্বনি হবে) তাই পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় সফটওয়্যার কোম্পানি গুলো মিলে গোপনে গোপনে ঠিক করলো আবুল কে তাদের ব্রান্ড আম্বাডেসর বানাবে, এরপিছনে যুক্তি হবে সে যখন সে প্রডাক্ট এর গুনগান করবে সে প্রডাক্ট আর বেশিদিন টিকবে না ফলে লোকে নতুন করে এর আপগ্রেড ভার্সন কিনতে চাইবে আর তাতে তাদের ব্যবসার ও লাভ হবে। কিন্তু তারা আবুল ভাইয়ার সাথে এপয়েনমেন্ট স্থির করে এসে দেখলো যে পৃথিবীর জায়ান্ট সফটওয়্যার কোম্পানিই এসেছে তার সাথে এপয়েন্টমেন্ট করতে যাই হোক অবশেষে তারা কি কি চুক্তি করলো এসো দেখে নেই ..... ১.MICROSOFT তাদের আগামীতে নতুন অপারেটিং সিস্টেমে একটা আবুলীয় স্ক্রীনসেভার দিতে চায় এর ফলে যারা WINDOWS পাইরেসি করে তারা এই স্ক্রীন সেভার দেখা মাত্রই এটা জেনুইন লাইসেন্ট চাইবে, মানে OS ক্রাশ ২.ফেসবুক তার নতুন এপ্লিকেশন টাইমলাইন কে জনপ্রিয় করার কাজে এবং চ্যাট সাইডবার কে আরো জনপ্রিয় করার জন্য কাজ করতে চায় আবুল কে নিয়ে ,যার ফলাফল অনেকের ই ইতিমধ্যে টাইমলাইন এটোএক্টীভেট হয়ে গিয়েছে....... ৩.গুগল তার নতুন এন্ড্রয়েড ডেভেলাপিং এ "আবুল নেভার ক্রাইস(ABUL NEVER CRIES)" নামে নতুন একটা গেম ডেভেলাপ করছে যার ফলে এটি আশা করা যায় এংরি বার্ড এর বাজার দর কেও ছাড়িয়ে যাবে। ৪. ইয়াহু তাদের একটি নতুন কোশ্চেন থ্রেড খুলেছে, "WHY ABUL IS SO POPULAR "এই প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে বিগত কয়দিন ইয়াহুর কোশ্চেনে ট্রাফিক অনেক বেড়ে গিয়েছে........ ৫.এছাড়া টুইটার তার নাম পরিবর্তন করে "আবুতার "রাখতে চায় কারণ সেলিব্রেটি বলে কথা ,ইতিমধ্যেই তার নামে একটি একাউন্ট খোলা হয়েছে এবং তার ফলোয়ার ১০০০০০০ ছাড়িয়ে গেছে ......... সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ - এই নোট পড়ে কারো ফেসবুকে একাউন্ট হ্যাক হলে লেখক কোন ক্রমেই দায়ী নহে ফেসবুক নোটের লিঙ্ক ,যারা ব্লগে কমেন্ট করতে পারেন নি তারা চলে যান এখানে

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.