অরুণালোক বেকার বসে আছি
সময় কাটে গল্প কথায়, চায়ের কাপে ঝড় বয়ে যায়
মাছি মারা কেরাণী’রা মারি কেবল মাছি
বেকার বসে আছি। ।
রাজ্য চলে শাসণ চলে, শুদ্ধ কথার ভাষণ চলে
সাত কাহনের কথার থলে.....
(দেখি) সকল দলে কোলে নিয়ে করছে নাচানাচি।
মোল্লা বলে, ‘পুরুত মশায়, কষুণ আড়াকাছি।
দেশের যতো আম জনতা ; গারদ পোরা, নাই ক্ষমতা
বেকার বসে আছি।
।
ছেলের পরিচয়ে বাবা কেমনে পরিচয়
তাই যদি কেউ শুনো, তবে অবাক হওয়া নয়!
তাই যদি দাও আমার মাথে, দেশ মাতা তো গুমড়ে কাঁদে।
নিবির্বাদে মানবে নাকি আছে যারা বাঁচি’?
পরের ছেলের শুনতে মা ডাক চলছে নাচানাচি। ।
বদলা বদলীর ধকল চলে দল বদলের পালা,
রাজা রাণী’র কালো ছেলে মেলে শত ডালা।
রাজপুত্র কাক হয়ে যায়
অপবাদের মুক্ত কথায়,
কৃষ্ণলীলা বহুরূপী, বেদের মেয়ে খুললো ঝাঁপি।
বর্তমানের নৃত্য কুদন, হ্যাঁচ্চো বলে হাঁচি
উঁই খাওয়া চাঁদ ঘটায় প্রমাদ হাসে বোকা হাসি। ।
রাজার সেপাই চুরি করে রাজার খাজাঞ্চি।
কেউ জানে না কেবা বড়ো, বাঁশে না কঞ্চি।
কঞ্চি বলে, ‘আমি বড়ো’, -পোশাক খোলে নেংটু করো।
এবার বলো, কার টা বড়ো অস্ত্র-পাতির রাশি?
রাজা কেবল হাতরে ফেরে ফাটা বাঁশের বাঁশি। ।
রাজার মন্ত্রী কুৎসা শুনে দারুণ নাজেহাল
দলে ভারি কুৎসা গায়েন, গদিই বেশামাল।
বিদেশ থেকে বদ্যি এসে, বললো কথা দারুণ হেসে
বুদ্ধিমানেই বুঝলো সেটা, বুঝবে কী আর দাসী?
চাষার বৌ-এর পিঠা গাছের গল্প এখন বাসি।
।
রাজার বণিক ব্যবসায়ী দারুণ সু-চতুর।
দু’টি দানেই খেলা ফতে, প্রজারা সব ফতুর।
দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্ব গতি, আয় ও ব্যয়ের অসঙ্গতি।
পেটের দায়ে নিত্য কাঁদে শ্রমিক মজুর চাষি।
ত্রাহি মধুসূদন দশায় চোখের জলে ভাসি। ।
রাজার গোয়াল দুধ দিয়ে যায় খানিক জলের মিশেল
ভাগের দুধে পাহারাদার জ্বালায় নিজের হেঁসেল।
ভাগ পেয়ে যায় আরো অনেক, জলও জোটে মনকে মনেক।
গোয়াল গোঁফে ঘি ঘষে আর হাসে মুচকি হাসি।
ভাগ বাটোরা, ওপরি বেতন আনবে ডেকে ফাঁসি। ।
ঘুষের দায়ে কেউ ঝুলেনা বোকা রাজার দেশে
নাগরিকে প্রশাসনের ভয়েই মরে ত্রাসে।
সেপাইরা কেউ ডাকাত সাজে, ডাক্তারেরা কসাই সাজে
অভিনয়ের বাস্তবতায় মা'কে বলে মাসী
অবৈধতার সোনার ফসল ফলসে বারো মাস-ই। ।
পেতল সাজে গিনি সোনা, ভেজাল বাজার তার
ঘষা খেলেই ওঠে নিকেল, ফন্দি চমৎকার।
গরুর বাজার পেলো মহিষ, অসুধ ভেজাল... ‘বাজে বকিস’,
এক ধমকে আৎকে ওঠে সকল প্রজাদাস-ই।
আমলারা কি কামলা দেবে? রাজা তো নিদোর্ষী। ।
খায়-দায় কেউ স্ফুর্তি করে বাবার ঘাড়ে বসে
শিক্ষা শেষে বেকার যুবক বয়স ফেলে ধ্বসে।
অবাক রাজার ব্যাংকগুলো সব, মহাজনের গাইছে স্তব।
ঋণ খেলাপী হাততালি দেয়, মারফতি ঢঙ হাসি’
পালিশ করা বাড়ি কারো, কেউবা বস্তিবাসী। ।
এনজিওরা সঙ সেজেছে দেশ দরদীর সাজে
আহা! কী যে দরদ তাদের নাঙা ভুখার মাঝে।
আড়াল থেকে শকুন চোখে মরার ওপর চেয়ে থাকে
আসল হিসেব গোপন থাকে, নকল পাশাপাশি
দেখতে চাইলে দেখো না কেউ, কোথায় রে চাপরাশি?
খাতা কলম ছাড়িয়ে নিয়ে অস্ত্র দিয়ে হাতে
নিজের আখের গোছায় নেতা, ছাত্রদের মারফতে
হাতির ন্যাজা হচ্ছে যে আজ, দেশের গোটা ছাত্রসমাজ,
শিখতে এসে লাশ হয়ে যায়।
শিক্ষা সর্বনাশী!
বিদ্যালয়ে রাজনীতিকে হাসে পিশাচ হাসি। ।
রাজার পতন চাও কেবা? কে নীতির পতন চাও?
মানবনীতি কেউ কি নেবে! হাত দু’খানি বাড়াও।
ভয় ভুলে সব একাত্ম হও, মানব প্রেমের ঝর্ণা বহাও
পবিত্র সে বাণীগ্রন্থের সকল হুকুম রাশি
প্রয়োগ করো দেশের আইনে, নইলে মরা বাসি। ।
হিন্দু ফিরে মন্দিরে যাও, মসজিদে মুসলিম
ধর্ম ফেলে দিলে-ই বলে ধরলো সমাজ ঝিম।
মানব নীতির ধর্ম হারা সমাজ এখন লক্ষ্মীছাড়া
ধার্মিকেরাই ফোটায় কেবল পবিত্র ফুলরাশি।
ষড়রিপু ত্যাগী জনই সব জনমে খুশি। ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।