সামুতে অর্থহীন অশুদ্ধ বাংলা ও বাংলিশ শব্দ পরিহার করি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক রুমানা মনজুরের স্বামী হাসান সাইদ গতকাল সোমবার ভোরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কারা হেফাজতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
লিংকঃ
Click This Link
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের প্রিজন সেলের বাথরুম থেকে সোমবার ভোর ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রুমানা মঞ্জুরের স্বামী হাসান সাঈদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ২৩ নভেম্বর থেকে কারা হেফাজতে সাঈদ বিএসএমএমইউর প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কেন, কীভাবে সাঈদের মৃত্যু হয়েছে; গতকাল রাত পর্যন্ত এসব প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। রহস্যে ঘেরা রয়েছে তার এই অস্বাভাবিক মৃত্যু।
মৃতের দু'হাতের কব্জিতে কালচে দাগ ছিল। শরীরের অন্য কোথাও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। নিহতের পরিবারের সদস্যরাও সাঈদের মৃত্যুরহস্যের উত্তর খুঁজছেন। সাইদের ছোট ভাই ফারুক সাইদ বলেন, চোখের সমস্যার কারণে গত ২৩ নভেম্বর তাঁকে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। গতকাল সকালে জেল সুপার ফোনে তাঁকে সাইদের মৃত্যুর খবর দেন।
লাশ উদ্ধারের সময় তাঁর শরীরে কম্বল মোড়ানো ছিল। তাঁকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের জন্য তাঁরা অপেক্ষা করবেন।
সাঈদের মৃত্যু আত্মহত্যা কি না জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের অতিরিক্ত পরিচালক জামালউদ্দিন খলিফা জানান, 'আত্মহত্যার মতো হতাশাগ্রস্ত তিনি ছিলেন না। এটি রহস্যজনক।
তাঁর মুখে পলিথিন বাঁধা ছিল বলে কারারক্ষীরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান। '
লাশ গ্রহণকালে সাইদের বাবা ও স্বজনরা এ মৃত্যুকে 'রহস্যজনক' দাবি করেন এবং রুমানার চরিত্র ও মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে নানা কথা বলেন। সাইদের বাবা সাইদ আহমেদ কবির সাংবাদিকদের বলেন, 'রুমানা মনজুর আত্মস্বীকৃত ব্যভিচারিণী। আমার ছেলের মৃত্যুর জন্য দায়ী মিডিয়া। রুমানা মনজুরের সব কিছু ঠিক আছে।
এখনো সে সব দেখতে পায়। কিন্তু মিডিয়ার সামনে এলে সে চোখে কালো চশমা দিয়ে আসে। 'উল্লেখ্য সাঈদ আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে রুমানাকে 'মারধরের' কথা স্বীকার করলেও নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। তার বক্তব্য, ঘটনার সময় তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন।
তবে তিনি রুমানার চোখ নষ্ট হওয়ার জন্য দায়ী নন।
তখন রুমানা বিদেশে থাকায় তার বক্তব্য রেকর্ড করা যায়নি। এ ঘটনার নেপথ্যে কী ছিল তা নিয়ে কোনো অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ না করে একতরফা রিপোর্ট লিখেছেন সংবাদকর্মীরা। কিছু নারীবাদীর কারণে আমরা অবিচারের শিকার হয়েছি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাইদের পিতা সাইদ আহমেদ কবির । রুমানার চোঁখে দেখতে না পাওয়ার বিষয়ে গত ১৫ জুলাই কানাডার ভ্যানকুভার জেনারেল হাসপাতালে তার চোখে অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকরা জানান, তিনি আর কোনোদিনই দেখতে পাবেন না। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, রুমানার দু'চোখ নষ্ট হওয়ার ডাক্তারি সনদ এখনও তারা হাতে পাননি।
সাইদের পিতা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে নিচের যে প্রশ্নগুলো আমাদের ভাবিয়ে তুলছে তা হলো!
ক) বাথরুমে সাইদের লাশ কি করে কম্বলে মোড়ানো হলো (!)
খ) তার মুখে কেন পলিথিন মোড়ানো ছিলো (!!)
গ) সাইদের দু হাতে কালো দাগ থাকার কি রহস্য (!!!)
ঘ) বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের অতিরিক্ত পরিচালক জামালউদ্দিন খলিফার মতে সাইদ 'আত্মহত্যার মতো হতাশাগ্রস্ত তিনি ছিলেন না(!!!) তা হলে রহস্য কোথায় (!!!!)
ঙ) সাইদের পিতার দাবী, রুমানা চোঁখে দেখতে পায় (!!) তা হলে রুমানা তার দুটি চোঁখ হারানোর মিথ্যা গল্প ফেদে পৃথিবীর মানুষের সহানুভূতি আদায় আর ফলশ্রুতিতে সাইদকে হতে হলে বলির পাঠা (!!!)
চ) "তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, রুমানার দু'চোখ নষ্ট হওয়ার ডাক্তারি সনদ এখনও তারা হাতে পাননি। " কেন এই দীর্ঘসূত্রীতা ? (!!!)
উপরোক্ত অভিযোগ যদি সত্যি হয় তা হলে তা অবশ্যই গুরুতর !! আমরা প্রকৃত সত্য জানতে চাই। দোষী সে যেই হোকনা কেন আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আমরা চাইনা এমন অকাল মৃত্যু, চাইনা কারো অন্ধত্ব নিয়ে ধুকে ধুকে বেঁচে থাকা, চাইনা কোন আনুশার হতাশা ও পিতা মাতার স্রেহের পরশ বঞ্চিত বেড়ে ওঠা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।