মেনে নিব না, আসে যদি ইসলামের উপর কোন আঘাত। মাঠে নেমেছি, হয় সফলতা নয়ত চাই শাহাদাত। https://www.facebook.com/altamash.bd (আপনি যদি হেফাজতে ইসলামের তের দফার প্রতি সমর্থন জানিয়ে থাকেন, ইসলাম এবং আলেমদের ভালোবেসে থাকেন, রাজনৈতিকভাবে দল নিরপেক্ষ হয়ে থাকেন, তবে আপনাকে হেফাজতে ইসলামের এক সমর্থক ধরে নিয়ে এই পোস্টে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি)
কয়েকটি পয়েন্ট লিখছি, পয়েন্টগুলো ধরে রাখুন।
H গ্রুপ
*হেফাজতে ইসলামের যেই সকল নেতার বক্তব্য এবং সিদ্ধান্তের আজ বিরোধিরা হেফাজতে ইসলামকে নিয়ে কথা বলার সুযোগ পায়, সেগুলোর পিছনে এই দায়ী এই গ্রুপটি।
*খুব কম সংখ্যক লোক এই গ্রুপে।
পাঁচ থেকে সাত জন।
*তাদের মতামত খুবই গুরুত্ব পায় হেফাজতে ইসলামের সিদ্ধান্ত নেওয়ার যে কোন বৈঠকে।
*দুঃখজনক হলেও সত্য, হেফাজতে ইসলামের কিছু নেতাই অভিযোগ করেছেন, তারা মতামত জানানোর সময় পার্থিব সিদ্ধান্তকেই বেশী প্রাধান্য দেন।
*এবং স্বার্থ লোভে ভবিষতে হেফাজতকে নিষ্ক্রিয় করে রাখার চেষ্টার সম্ভাবনা আছে।
জামাত-শিবির
*অন লাইনে হেফাজতে ইসলাম, শাপলা চত্বর, ইত্যাদি নামে অসংখ্য পেইজ চালাচ্ছে তারা।
হেফাজতে ইসলাম কওমি মাদ্রাসা ভিত্তিক সংগঠন হলেও এমন অনেক লেখা তারা সেই সব পেইজ থেকে প্রকাশ করছে যেগুলো সম্পূর্ণ কওমি মাদ্রাসার আদর্শের সম্পূর্ন বিপরীত।
*অভিযোগ রয়েছে অফ লাইনেও তারা নিজেদের হেফাজতের কর্মী পরিচয় দিয়ে নিজেদের স্বার্থ আদায় করে নিচ্ছে।
*অন লাইনে তাদের কর্মীদের হেফাজত সম্পর্কে তিন রকমের মনোভাব পাওয়া যায়
-এক দল বুঝে না বুঝে হেফাজতকে সমর্থন দিচ্ছে। এদের সংখ্যাটাই বেশী।
-আরেক দল বলছে, হেফাজতকে এত গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নেই।
কারণ, হেফাজত এত জনপ্রিয় দল কেন ইসলামী হুকুমত কায়েমের চেষ্টা না করে শুধুমাত্র কয়েকটা দাবীর জন্য লড়াই করছে?
-আরেক দল হেফাজতের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত। কারণ, এতদিন বাংলাদেশে ইসলামিক শক্তি বলতেই তাদের বুঝানো হত। নতুন কোন ইসলামীক দলের এত জনপ্রিয়তাকে তারা মন থেকে মেনে নিতে পারছে না।
*হেফাজতের দুইটি সমাবেশেই তারা দলিয় পরিচয়ের বাহিরে সাধারন আলেমদের মাঝে ভিরে সমাবেশে এসেছে। তাদের অবস্থান প্রায় সময়ই ছিল পুলিশের প্রতি মারমুখি।
*রাতের আধাঁরে লাইট নিভিয়ে আলেমদের উপর গুলি চালাবার সময় প্রাথমিক প্রতিরোধটুকু তারাই গড়ে তুলেছিল।
চরমোনাই পীর
*৫ই মে'র পরে কওমি মাদ্রাসাগুলোতে হেফাজত বিরোধী মনোভাব ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে তারা। উদ্দেশ্য ছিল দুইটি,
১-তাদের দল ভারী করা। ২- নিজেই বুঝে নেন।
কেন তারা এমন করল?
*হেফাজতে ইসলাম নবগঠিত হওয়ার পূর্বে হাটহাযারি মাদ্রাসায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, হেফাজতের দাবী আদায় পর্যন্ত হওয়া সকল ইসলামীক দল(জামাত এবং ভন্ড পীরদের দল ব্যাতিত) হেফাজতের আন্ডারে কাজ করবে, দলীয় কর্মসূচি আপাতত বন্ধ।
*সেই সিদ্ধান্তকে পাত্তা না দিয়ে সরকারের সহযোগিতায় ২৯ মার্চ শুক্রবার শাপলা চত্বরে শোডাউন করে তারা।
*হেফাজতে ইসলামকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চালায়।
*৫-ই মে'র পরে যখন সারা দেশের আলেমরা বিপর্যস্ত। তখন তারা মিয়ানমার অভিমুখি লং মার্চের ঘোষণা দিয়ে প্রতিটি মাদ্রাসা-মসজিদের সামনে পোস্টার সাটায়।
*বরিশাল নির্বাচনে হারার পর হিরন এক সমাবেশে চরমোনাই পীরের শুকরিয়া আদায় করে।
এফএম গং
*ইসলাম অবমাননার চিত্র প্রকাশ পাওয়ায় সারা দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান ফুসে ওঠেছিল, তখন একটা সমাবেশ করে ইসলাম অবমাননাকারীদের পরোক্ষভাবে বাঁচানোর চেষ্টা করে।
*৫-ই মে'র ঘটনার পরে কোন দুঃখ প্রকাশ তারা করেইনি উল্টা সেক্টর কমান্ডারদের সাথে বসে এক সংবাদ সম্মেলনে বসে ফরিদ উদ্দিন মাসুদ আল্লামা শফিকে উদ্দেশ্য করে বলে, তাদের শরীর থেকে রাজাকারের রক্ত বের হতে আরও তিন পুরুষ লাগবে।
*চার সিটি নির্বাচনে হারার পর বলে, ইসলাম অবমাননাকারীদের শাস্তি না হওয়ায় লীগ হেরে গেছে।
পয়েন্টগুলো খুবই গুরুতপূর্ন। বৃহত্তর স্বার্থে এখন তাদের কিছুই বলছি না।
কিন্তু বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে, যাতে করে পরবর্তিতে কেউ সেগুলো অস্বিকার করতে না পারে, ভোল পাল্টাতে না পারে। গাদ্দারী করার সুযোগ না পায়।
===========================================
হেফাজতে ইসলামকে সমর্থন করায় আপনাদের হয়ত অনেকেই অনেক প্রশ্ন করে বিব্রত করতে চেয়েছে। চেষ্টা করেছি আমার সামনে আসা এই রকম সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার।
আপনাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি প্রশ্নের তুলে দিলাম।
১-যারা প্রশ্ন করেন, ইসলাম তো হেফাজত করবেন আল্লাহ। তাহলে এরা আবার হেফাজতে ইসলাম হয় কিভাবে?
এই প্রশ্নের উত্তর রয়েছে নিচের পোস্টে
হেফাজতে ইসলাম, নাম নিয়ে প্রশ্ন যাদের
২-হেফাজতে ইসলামের সমর্থক হিসাবে তের দফা সম্পর্কে আপনার সঠিক ধারনা রাখা জরুরী।
পড়ুন তের দফা
Click This Link
৩-সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামনব হযরত মুহাম্মদ (স.)। দুনিয়ার সবচেয়ে বেশী সম্মানিত মানুষ তিনি। দুই-এক জন ইসলামবিদ্বেষী যদি তাকে নিয়ে কুটুক্তি করে, তাহলে তো তার সম্মান কমে যায় না।
তাহলে কেন কুটুক্তির বিষয়টা নিয়ে এত আন্দোলন? ক্ষোভ-বিক্ষোভ?
উত্তর নিচের লিন্কে
Click This Link
৪-কে মুসলমান না মুসলমান না? সেটা নির্ধারন করবে আল্লাহ।
তাহলে রাষ্ট্রিয়ভাবে তাদের অমুসলিম ঘোষনার দাবী কেন?
Click This Link
৫-কোরআন-হাদিসে তো নাস্তিকদের ফাঁসির কথা নেই। তাহলে আপনারা তাদের ফাঁসি চাইছেন কেন?
উত্তরঃ ইসলাম ধর্মত্যাগকারী এবং ইসলাম অবমাননাকারীদের মৃত্যুদন্ডের বিধান কোরআন-হাদিসে অবশ্যই রয়েছে।
Click This Link
আর অনেক প্রশ্নই আপনাদের করতে পারে হেফাজত বিরোধিরা।
উত্তর পেতে চাইলে এই পেইজে আপনার প্রশ্ন পাঠাতে পারেন।
অণুবীক্ষণ
=========================================
কিছু দিন পুর্বে দারুল উলুম দেওবন্দে পড়ুয়া একজন বড় ভাই আমাকে বলেছিলেন, বিপ্লবের পথে যখন একবার নেমেই গেছ, আর ফিরে আসার সুযোগ নেই। তবে তুমি বাংলাদেশে আছো, চেষ্টা কর যারা হেফাজতকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে, তাদেরকে নিয়ে কিছু লেখার।
তার কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে এই পোস্ট লেখলাম। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।