মানবতার গান গেঁয়ে যায়-তারুণ্যের প্রেরণায়
পৃথিবীর শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী,গণহত্যার কারিগর,শীর্ষ মানবাধিকার লংঘনকারী সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশকে গ্রেফতারের জন্য আফ্রিকার কয়েকটি দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থার আইন বিষয়ক উপদেষ্টা ম্যাট পোলার্ড এক বিবৃতিতে বলেছেন, "যারা বন্দী নির্যাতন আইন ভঙ্গ করেছেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী তাদের জন্য কোনো নিরাপদ জায়গা থাকতে পারে না। ইথিওপিয়া, তাঞ্জানিয়া এবং জাম্বিয়াকে অবশ্যই এ সুযোগ নিতে হবে এবং বুশ এতদিন ধরে সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে যে সুবিধা ভোগ করে এসেছেন তা বতিল করার ব্যবস্থা নিতে হবে। " যুদ্ধাপরাধের জন্য বুশকে বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং এ তিনটি দেশকে এ বিষয়ে দায়-দায়িত্ব পালন করতে হবে বলেও পোলার্ড মন্তব্য করেছেন।
জর্জ বুশ বর্তমানে পাঁচ দিনব্যাপী আফ্রিকা সফরের অংশ হিসেবে জাম্বিয়ায় অবস্থান করছেন।
গতকাল তিনি তাঞ্জানিয়া সফর করেছেন এবং আরো পরে তিনি ইথিওপিয়া সফর করবেন। ক্যান্সার, এইডস এবং ম্যালেরিয়ার মতো ব্যাধির বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য বুশ আফ্রিকা সফরে গেছেন।
এদিকে, জাম্বিয়া বলেছে, তারা বুশকে গ্রেফতার করবে না। অ্যামনেস্টির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে জাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চিশিম্বা কাম্বিলি বলেছেন, যেসব দেশ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো সংগঠন পরিচালনা করে তারাই বুশকে গ্রেফতার করুক। তিনি আরো বলেন, "এসব দেশ বুশের সফরের জন্য অপেক্ষা করুক এবং সময় মতো বুশকে গ্রেফতার করে ফাঁসি দিক।
" তিনি প্রশ্ন করেন, "কিসের ভিত্তিতে তারা আমাদের ঘাড়ে দায় চাপাতে চাইছে। "
এর আগে, গত অক্টোবর মাসে বুশ যখন কানাডা সফরে গিয়েছিলেন তখনও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বুশকে গ্রেফতারের জন্য কানাডা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল।
অ্যমানেস্টি বলছে, ২০০২ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালে বুশ বন্দীদের ওপর অত্যাচার ও নির্যাতনের নিত্য নতুন কৌশল চালু করেছিলেন। বিশেষ করে ওই সময় মুসলিম বন্দীদের ওপর কাপড় দিয়ে নাকে গরম পানি ঢালার মতো মানবতাবিরোধী কাজ করে বন্দীদের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আদায়ের জঘন্য প্রথা চালু করেছিলেন।
কয়েকদিন আগে মালয়েশিয়ার একটি প্রতীকি আদালত সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশ ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে অভিযুক্ত করেছে।
সূত্র-রেডিও তেহরান
অ্যামেনেস্টি ও সাম্রাজ্যবাদের নিলজ্র্জ দালাল । তাদের এ আহবান হচ্ছে লোক দেখানো। তারা প্রতিনিয়তই সাম্রাজ্যবাদীদের মানবাধিকার লংঘনের ব্যাপারে চুপ থেকে মৌন সম্মতি দান করে।
বুশ ইরাক আফগানিস্তানের লক্ষ লক্ষ নিরীহ মানুষ খুনের কারিগর। বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যবাদের আগ্রাসন চালিয়ে তিনি সারা পৃথিবীকে অশান্ত করে তুলেছেন।
সারা পৃথিবীকে রক্তে রঞ্জিত করেছেন । তার এসব অপকর্ম জানতে নিচের পোষ্টের লিংকগুলো দেখুন
ইতিহাসের ঘৃণিত ব্যক্তিঃ যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার মহানায়ক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ
১ম কিস্তি
২য় কিস্তি
বিশ্বব্যাপী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার লংঘনের খতিয়ান (১)
বিশ্বব্যাপী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার লংঘনের খতিয়ান (২)
বিশ্বব্যাপী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার লংঘনের খতিয়ান (৩)
আফগানিস্তানে মার্কিন আগ্রাসন শুরুর দশ বছর পূর্তি, উভয় সংকটে যুক্তরাষ্ট্র
বন্দী নির্যাতনের অভিযোগে বুশকে গ্রেফতারের আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি
মালয়েশিয় যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে বুশ-ব্লেয়ার দোষী সাব্যস্ত
'ইরাক-আফগান হামলার অজুহাত হিসেবে ৯/১১-কে ব্যবহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র'
বুশকে গ্রেফতার করে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানোর দাবী মানবাধিকার সংঘঠনের নয় এ দাবী সারা পৃথিবীর শান্তিপ্রিয় মানব জাতির। যারা এভাবে যুগে যুগে মানবতা ও মানবাধিকারকে গলাটিপে হত্যা করেছে তাদের বিচারের কাঠগডায় দাঁড় করিয়ে ফাঁসির কাষ্ঠে না ঝুলালে সারা পৃথিবীবাসীর প্রতি জুলুম করা হবে। তাই আন্তজাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালসহ সারা পৃথিবীবাসীর প্রতি আহবান মানবতার প্রতি সম্মান রেখে অনতিবিলম্বে বুশকে গ্রেফতার করে ফাঁসির ঝুলিয়ে পৃথিবীতে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করুন। মানবতার ও মানবাধিকারের ফেরিওয়ালা কুখ্যাত আমেরিকাকে বলব নিজেদের দূর্নাম ঠেকাতে সাম্রাজ্যবাদী সব পরিকল্পনা বাদ দিয়ে বুশকে গ্রেফতার করে আপনাদের মানবতার প্রতি দরদটাকে খাঁটি প্রমান করুন।
তা না হলে সময়ের ব্যবধানে ইতিহাসের আস্তাকুডে নিক্ষিপ্ত হবেন। হে আল্লাহ সাম্রাজ্যবাদমুক্ত. যুদ্ধাপরাধমুক্ত একটি নির্মল শান্তির পৃধিবী দাও যেখানে কোন বৈষম্য থাকবে না, থাকবেনা কোন বেদাভেদ । এমন পৃথিবী বিনিমানের প্রত্যাশায়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।