কি বলব
টানা ছয় ঘন্টা শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্-ই-আলমকে বেতন বৈষম্য নিরসন সহ ১০ দফা দাবি বা¯Íবায়নের লÿ্যে তার নিজ কÿে অবরুদ্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬ জন সুবিধা বঞ্চিত শিÿকগন। তাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিÿকগন।
জানা যায়, গত বছর আগষ্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিবিজনেস ম্যানেজম্যান্ট অনুষদে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ মিজানুল হক কাজলকে নিয়োগ দেয়া হয়। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এল.পি.সি(লাস্ট পে সার্টিফিকেট)’র ভিত্তিতে তার বেতন নির্ধারন করা হয়। উক্ত নির্ধারিত বেতন কাঠামো নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিÿকদেও মধ্যে ÿোভের সৃষ্টি হয়।
এর পরিপ্রেÿিতে তারা বিভিন্ন সময়ে বেতন সমতাকরনের দাবিতে প্রশাসনের নিকট স্মারকলিপি জমা দিলেও সেগুলোর বা¯Íবায়ন করা হয়নি। ফলসূতিতে গত রবিবার আন্দোলনরত শিÿকগন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে টানা ছয় ঘন্টা নিজ কÿে অবরোধ কওে রাখেন।
দিবাগত রাত দেড়টায় মহানগর ৫ আসনের সাংসদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আন্দোলনরত শিÿকদের কথা শুনেন। পরে উপাচার্যের সাথে একান্ত বৈঠক শেষে তিনি শিÿকদের দাবি আদায়ের ব্যাপারে আস্ব¯Í করলে আন্দোলনরত শিÿকগন অবরোধ তুলে নেন । শিÿকরা এমপি কামালের অনুরোধে উপাচার্যের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার দাবি জানিয়ে পরদিন(গতকাল) দুপুর ২ টা পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেন এবং রাত আড়াইটার দিকে তারা ঘটনাস্থল থেকে সরে যান।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেওয়া উপাচার্যের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদে গতকাল(সোমবার) বেলা আড়াইটার দিকে শিÿক সমিতি ক্যাম্পাসে র্যালী ও প্রেস কনফারেন্স করে। এসময় তারা উপাচার্যের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ করে তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন। বেলা দুইটা পর্যন্ত আন্দোলনরত শিÿকরা প্রশাসনের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার জন্য অপেÿা করে শেষ পর্যন্ত কোন সাড়া না পাওয়ায় পুনরায় উপাচার্যের অফিসের সামনে অবস্থান করে। এবং এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের তিন দফা দাবি পেশ করেন। তারা উপাচার্যের অদÿতা, প্রশাসনিক দূর্নীতি, সেশনজট সৃষ্টির মাধ্যমে ছাত্রদের শিÿা জীবন নষ্টসহ সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন মিডিয়াতে নিজের অপকর্ম ঢাকার জন্য সাধারণ শিÿকদের সন্ত্রাসী বলায় উপাচার্যের পদত্যাগ দাবী করেছেন।
শেকৃবির জেষ্ঠ্য শিÿকগনের মধ্যে হতে শেকৃবিতে উপাচার্য নিয়োগের জন্য চ্যান্সেলরের নিকট আবেদন করেছেন। এছাড়াও ৩০ নভেম্বরের মাঝে নতুন প্রশাসনের মাধ্যমে সিন্ডিকেট ডেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অচলাবস্থা কাটানোর জন্য সরকারের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন। অন্যথায় তারা আগামী ১লা ডিসেম্বর থেকে ক্লাশ পরীÿা বর্জনের হুমকি দিয়েছেন।
তারা বর্তমানে সেশনজট যে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে তার জন্য উপাচার্যকে দায়ী করেন।
এ পরিস্থিতে বেতন স্কেল নির্ধারনী একটি অফিস আদেশকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট জটিলতায় উপাচার্যের কারণ দর্শানোর নোটিশের প্রেÿিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
এবং তিনি এ পদত্যাগ আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে কার্যকর করার জন্য আবেদন করেছেন। উপাচার্য ড. শাহ্-ই-আলম জানান, শিÿকদের দাবি অযৌক্তিক, তারা অবৈধ উপায়ে, সন্ত্রাসী কায়দায় অবৈধ দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছে। তাদের এসব দাবি কোন অবস্থাতেই মেনে নেওয়া হবে না। কোন প্রকার চাপ, অন্যায়ের কাছে আমি মাথা নত করব না
আন্দোলনরত শিÿকদের অভিযোগ এল.পি.সি’র ভিত্তিতে বেতন নির্ধারনের সুপারিশ নিয়োগ কমিটি করেনি। তাই সিন্ডিকেটে দুর্নীতির মাধ্যমে তার বেতন বেশি নির্ধারন করা হয়েছে।
এমতাবস্থায় শিÿকরা তাদের বেতন বৈষম্য দূর করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।