১
একটাই জীবন মাত্র, হে নাবিক আমার,
এভাবে ম্যাগেলান বা ড্রেকের মত
আসমুদ্রহিমাচল ঘুরে ঘুরে আর কত?
এবার তরণী ভিড়াও।
দেখো : সকল বন্দর, প্রশস্ত খাড়ি
বা সরু প্রণালী ভরে গেছে
জীবনের কোলাহলে, সেথা আদ্বিজচন্ডাল
কত কিসিমের কত নৌকোর ভিড়।
আর তুমি, অন্তঃরীপে অন্তঃরীপে আজও
পাক খাও পথহারা আত্মা আর তরী নিয়ে।
ডিমের কুসুম-রঙের সন্ধ্যের তপন
ডুবে গেছে সংক্ষুব্ধ হিল্লোলে
নুড়ির মত টুপ করে।
আশিশ্ন যৌবন তোমার
হারিয়েছে পাকা কেশের ভিড়ে।
আজ সাথী শুধু চালশে দৃষ্টি আর
দিগ্বিদিক উত্তুরে হিম হাওয়া।
গগনের সবথেকে সমুজ্জল লুব্ধকও
ঝাপসা তোমার কাছে; দূরের আজানা
বাতিঘর কেবল খেলা করে ছেড়া পালে।
হাল নেই, বৈঠা নেই, নেই নাবিকের
দল, হে সারেং আমার, চারিধারে
চোরা হিমশৈলের ভয়।
তবু এভাবে ছায়াবৃত্তে ছায়ামূর্তির
মতন আর কত?
২
ভরে যায় জেটি, শেষ ঘাটও আজ,
খালাসিরা ঘরে যাবার দেখো সারে আয়োজন।
মৌমাছির ঝাঁকের মত
পথ ঢেকে গেছে দেখো কামলা-আমলা-বণিকের ভিড়ে।
এবার নোঙর ফেলো, ফিরে এসো এই সুপ্রাচীন জনপদে—
বটেশ্বরী-হরিকেল-পুন্ড্রে।
২২-১১-১১ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।