আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিএসইসি ও ডিএসই’র যাঁতাকলে পিষ্ট বিনিয়োগকারীরা

***** ইমান,চরিত্র,সততাই মূল কথা। ****** পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। সংস্থা ২টি একে অন্যের পরামর্শকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। সংস্থা ২টির সমঝোতার অভাব সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আরো ক্ষতিগ্রস্ত করছে বলে মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা। জানা যায়, ডিএসই কর্তৃপক্ষ বাজারের স্বার্থে কোনো পরামর্শ প্রদান করলে তা উপেক্ষা করে চলে সুপার সুপার মার্শাল পাওয়ারের অধিকারী বিএসইসি।

যার কারণে কোনো সুপারিশ করতে গেলে তা যখন উপেক্ষিত হয় তখন সহজেই বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই বাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে সংস্থা ২টির মধ্যে সমঝোতা জরুরি বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা। কোনো কোম্পানির আইপিও অনুমোদনের আগে তাদের প্রসপেক্টাসের উপর ভিত্তি করে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ বিএসইসিতে সুপারিশ করে কোম্পানিটি আইপিওতে আসার উপযোগী কীনা। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল ডিএসই সুপারিশ করলেও তা অবমূল্যায়ন করে বিএসইসি কর্তৃপক্ষ। যার কারণে সর্বশেষ এক্সপার্ট প্যানেল ভেঙ্গে দিতে বাধ্য হয় ডিএসই কর্তৃপক্ষ।

এতে করে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ তাদের প্রসপেক্টাসে কারসাজি করার বেশি সুযোগ পাবে আর এর প্রভাব বাজার পড়বে এটা স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা। সম্প্রতি নতুন কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর প্রথমদিনেই কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়। যা প্রকৃত দরের চেয়ে অনেক বেশি মনে করায় ডিএসইর পক্ষ থেকে লেনদেনের প্রথম ৫ কার্যদিবস মার্জিণ ঋণ বন্ধ রাখার সুপারিশ করা হয়। ডিএসই’র ওই প্রস্তাব বিএসইসি নাকোচ করে দেয় এবং ডিএসইকে শোকজ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কিন্তু যা হওয়ার তা হয়ে গেছে।

ডিএসই’র প্রস্তাব বাস্তবায়ন হোক বা না হোক বাজারে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ডিএসই যদি গোপনে বিএসইসি’র কাছে এ প্রস্তাব করত কিংবা বিএসইসি যদি সঙ্গে সঙ্গে সে ব্যাপারে স্পষ্টীকরণ করত তবে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ত না। কিন্তু সংস্থা দু’টির অর্ন্তদ্বন্দ্বের কারণে বাজার এবং বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এদিকে অরিয়ন ফার্মার আইপিও অনুমোদন নিয়ে ডিএসই কর্তৃপক্ষ বিরোধ করেছিল। তাদের দাবি ছিল, কোম্পানিটি আইপিওতে আসার যোগ্য নয়।

এ কোম্পানির অনুমোদন দেয়া নিয়ে ডিএসই কর্তৃপক্ষ সভা করলে বিএসইসি ডিএসইকে শোকজ করে। আর এ ক্ষোভ থেকে ডিএসই কর্তৃপক্ষ এ কোম্পানির শেয়ার দরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে চেষ্টা করছে বলেও গুঞ্জণ উঠেছে। বিএসইসি ও ডিএসই’র এই রেষারেষিতে লোকসান গুণতে হয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজার যেমন স্পর্শকাতর তেমনি অনেক বড় বিষয়। এখানে সমঝোতার ভিত্তিতে কাজ করাই শ্রেয়।

না হলে বাজার এবং বিনিয়োগকারী উভয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হতে বাধ্য। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।