আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশকে পরিকল্পিতভাবে মেধাশুন্য করা হচ্ছে, অনেকটা ১৪ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের বুদ্ধিজীবি হত্যার মতই!

বার বার বলি, ত্রিশলক্ষ শহীদের রক্তে রাঙানো এ দেশ কারো বাবা, মা, নানা, দাদার একক সম্পত্তি নয়। দেশটা সকলের। দেশের আইন কানুন সকল নাগরিকের জন্য সমান। মানুষ কতখানি নির্লজ্জ হলে সুবিধা অনুযায়ী দেশের সংবিধান নিজের স্বার্থে ব্যবহার করে! অথচ তাই করা হচ্ছে স্বাধীনতার পর থেকেই। প্রতিটি সরকার বিপদ দেখলেই সংবিধানের দোহাই দেয়, বিপদ কেটে গেলেই প্রতিনিয়ত সংবিধানকে বৃদ্ধাংগুল দেখায়।

প্রতিদিন সংবিধান অমান্য করে। অবশ্য তার খেসারতও দেয়, তখন আর সময় থাকে না। কিছুদিন আগে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বৃটেন সফরে গিয়ে বললেন, দেশের নির্বাচন হবে আপনাদের দেশের নির্বাচনের মত। প্রশ্নটা হলো, তাহলে গনতন্ত্রটাও তাদের দেশের মত হবে না কেন? দেশের এমন কোন সেক্টর নেই যেখানে সংবিধান ভংগ করা হয় নাই। সর্বশেষ উদাহরন হলো পিএসসি।

সেখানে মুক্তিযুদ্ধার কোটা নামে সাধারন মেধাবী ছাত্রদের বন্চিত করা হয়েছে। যেখানে অপমান করা হয়েছে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের। কারন তারা কাউকে বিশেষ সুবিধা দেবার জন্য দেশ স্বাধীন করেন নাই। কেন হয়েছে, উত্তর যমুনার জলের মত পরিস্কার ও টলটলে। যাতে বিসিএসে ভবিষ্যত অফিসাররা তাদের দলের বংশংবদ তপ্লিবাহক হয়।

বলা বাহুল্য দেশের মেধাবী সন্তানদের বন্চিত করে পুলিশ, আর্মি থেকে শুরু করে সবক্ষেত্রেই এটা করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য একটাই বীজ বপন। যাতে এবার না পারলেও ভবিষ্যতে ক্ষমতায় আসা এবং থাকার পাকাপোক্ত ব্যবস্হা করা যায়। এটা যে শুধু আওয়ামী সরকার করছে তা নয়, বিএনপি সরকারও একই কাজ করেছে। এগুলোকে আমি একটা জিনিষের সাথেই তুলনা করতে চাই সেটা হলো আলবদর রাজাকারদের সাথে।

১৪ই ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে দেশের মেধাবী সন্তান তথা বুদ্ধিজীবিদেরকে ধরে এনে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল পাকিস্তানি দালাল আলবদর রাজাকারেরা। যার স্বাক্ষী আজকেই দিয়েছেন শ্যামলী নাসরিন চৌধুরি, শহীদ বুদ্ধিজীবি আলীম চৌধুরীর স্ত্রী, তৎকালীন আলবদর বাহীনির কমান্ডার মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে। সবাই জানি এটা করা হয়েছিল দেশকে পরিকল্পিতভাবে মেধাশুন্য করার জন্য। আর আজ? অনেকটা একই ঘটনা, কিন্তু প্রসেসটা ভিন্ন। কাউকে শারীরিকভাবে হত্যা করে নয়, কিন্তু দেশের শ্রেষ্ঠ মেধাবী সন্তানদের পংগু করে দিয়ে, পথে বসিয়ে দিয়ে।

অর্থাৎ, ফকিন্নি মার্কা মার্ক পেয়ে যারা কেরানী হবারও যোগ্যতা রাখে না, তাদেরকে বানানো হচ্ছে বিসিএস অফিসার, আর মেধাবীরা হবে তাদেরই অফিসের কেরানী। কি অদ্ভুদ আধাঁরে ঢেকে যাচ্ছে আজ আমাদের দেশ! ভালোতো, ভালো না! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।