আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার সকাল ও নার্সিং রুমের ছোট ছোট শিশুরা !

বেঁচে থাকাই জীবন নয়, সত্যকে জানাতেই আছে জীবন! প্রতিদিন প্রায় এক থেকে দেড় ঘন্টা জার্নি করে অফিসে আসি! এটা একটা হাসপাতাল, আমি খুটিনাটি কাজ করি এখানে! এত দূর থেকে আসার কারনে সকালে বেশ টায়ার্ড লাগে, আমার রুমে খানিকটা বসে এক কাপ খফি খেয়ে যাই দিনের সকল কাজ শুরু করতে! মনের গুমোট ভাবটা তখনও ঠিক কেটে উঠে না! আমার রুম এবং কাজের জায়গায় যেতে আমাকে হাসপাতালের মধ্য দিয়ে হেটে যেতে হয়। যাবার সময় অনেক ডিপার্টমেন্টে অনেক রুগীকে দেখতে পাই, কেও মানসিক রোগী, কেও ক্যানসারের রুগী, কেও স্কিনের সমস্যায় ভুগছে! রোগীরা প্রায়ই খুব ব্যথাতুর চোখে তাকিয়ে থাকে সকলের দিকে! দেখে খুব কষ্ট লাগে! মনটা আরও গুমোট হয়ে যায়! কিন্তু যখনই পেডিয়াট্রক্স ডিপার্টমেন্টের সামনে যাই আমার মনটা খুব নেচে উঠে! ইচ্ছে করেই কিছুটা সময় দাড়িয়ে থাকি, দেখি নার্সিং রুমে বাচ্চারা যেভাবে খেলছে তা একেবারে বাচ্চাদের পক্ষেই সম্ভব! কোন কোন দিন একটা বাচ্চা হঠাৎ করে রুম থেকে বের হয়ে দেয় একটা দৌড়, বাবা-মাও ছুটতে থাকে ওর পেছন পেছন! ছোট ছোট পা, অথচ কি সুন্দর করে করে দৌড়ায়! দেখলেই মনটা ভাল হয়ে যায়! মাঝে মাঝে আমার দিকে আড় চোখে তাকায়, ভাবে এই লোকটা দেখতে এমন কেন! আমি একটু হাসি, ওরা একটু হাসে, আমি আরও জোরে হাসি ওরা আরও জোরে হাসে! সাথে হাসতে থাকে ওদের বাবা মা! দিন শুরু করার জন্য খুব ভাল একটা পন্থা! হাসতে হাসতে দুরে গেলেই মনটা খারাপ হয়ে যায়, হয়ত এই সুন্দর বাচ্চাটা কোন অজানা রোগে ভুগছে! আমি জানতে চাই না, শুধু ভাবতে চাই ওর সুন্দর হাসিটাকে, ওর দৌড়ে যাবার সময় আমার দিকে আড় চোখে তাকানোকে!

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.