আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আশিয়ান মালিকের হুমক- 'প্রেসক্লাবে গেলে গুলি করে মেরে ফেলব'

রাজধানীর দক্ষিণখানের বড়ুয়া গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ারা খাতুন অভিযোগ করেছেন আশিয়ান সিটির মালিক নজরুল ইসলাম তাদের বাপ-দাদার বসতবাড়ি দখল করে নিয়েছেন। ঘরের দরজা-জানালা খুলে নিয়ে গেছে তার 'পোষা গুণ্ডা বাহিনী'। বাংলানিউজ। আনোয়ারা খাতুন বলেন, গতকাল তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আশিয়ান সিটির দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে মানববন্ধনে অংশ নিতে যাওয়ার আগে নজরুল তাকে ফোন করে হুমকি দিয়ে বলেন, 'তুই প্রেসক্লাবে গেলে তোকে গুলি করে মারব'। আনোয়ারা ও নজরুল একই বংশের চাচাতো ভাইবোন।

বাপ-দাদার সম্পত্তিতে তাদের সমান অংশীদারিত্ব। কিন্তু জ্ঞাতিগোষ্ঠীর সবার জমি একাই ভোগদখল করছেন অন্যদের উচ্ছেদ করে। শুধু তাই নয় পুরো বড়ুয়া গ্রামই এখন তার দখলে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ নামমাত্র দামে মাত্র ৫ বিঘা জমি কিনে ৫০০ বিঘার ওপর সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছেন। এসব ঘটনার প্রতিবাদেই গতকাল মানববন্ধন করে আশকোনার বড়ুয়া গ্রামবাসী।

আনোয়ারা বলেন, পুরো আশকোনার জমি নজরুল ভরাট করে নিজের নামে করে দখল নিয়েছে। এ নিয়ে আমরা পরিবেশ অধিদফতরে অভিযোগ করলে তাদের পরিদর্শক এসে জমি ভরাটের কাজ বন্ধ করে দেয় ও ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করে। 'এতেই ক্ষেপে যায় নজরুল', বলেন আনোয়ারা বেগম। তিনি জানান, ওই ঘটনার পর থেকেই তাকে ও গ্রামবাসী বিভিন্ন জনকে প্রকাশ্যে, অপ্রকাশ্যে হুমকি দিতে থাকেন আশিয়ানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল ইসলাম ভূইয়া। আনোয়ারা বলেন, গতকাল সকালেও সে আমাকে ফোনে হুমকি দেয়।

গুলি করে মেরে ফেলার কথা বলে। নিজের বাপ-দাদার ভিটে রক্ষার জন্য প্রাণ হাতে নিয়ে মানববন্ধনে যাই। ছেলে-মেয়েকে নিজের হাতে খাবার খাইয়ে রেখে যাই। বলে যাই তোমাদের মা লাশ হয়েও ফিরতে পারে। কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন আনোয়ারা বেগম।

তিনি বলেন, মানববন্ধন থেকে ফিরে এসেও হুমকি পাচ্ছি। এখন মোবাইল ফোন বন্ধ করে রেখেছি। নজরুল ইসলামের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই দাবি করে আনোয়ারা বলেন, স্কুল কি জিনিস ও কোনো দিনই চেনে নাই। এখন সে নাকি মন্ত্রীদের পর্যন্ত হাত করে ফেলেছে। 'টাকার কাছে কি শিক্ষার কোনোই দাম নাই?' প্রশ্ন আনোয়ারার।

আনোয়ারা বলেন, গতকালের মানববন্ধন ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। তিনি নিজে এলাকাবাসীকে কিছুই জানাননি তাও চারটি বাস ভরে বড়ুয়া গ্রামের বাসিন্দারা প্রেসক্লাব গেছেন তাদের মানববন্ধনে যোগ দিতে। তারা এসে বলেছেন, আমরা এই আন্দোলনের সঙ্গে আছি, জানান আনোয়ারা। মানববন্ধনের পর আর কী উদ্যোগ নেবেন জানতে চাইলে আনোয়ারা বেগম বলেন, এরপর প্রয়োজনে আবার মানববন্ধন করব, সাংবাদিক সম্মেলন করব। প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাব, সুবিচার আদায় করে ছাড়ব।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।