আশিয়ান সিটি গ্রুপের ক্যাডারদের হামলায় এবার বেসরকারি টিভি চ্যানেল একুশে টেলিভিশনের সিনিয়র এক সাংবাদিক ও ক্যামেরাম্যানকে পিটিয়ে আহত করেছে। তারা হলেন সিনিয়র রিপোর্টার মঞ্জুরুল আলম পান্না ও ক্যামেরাম্যান অপু খন্দকার। গতকাল দুপুরের দিকে নারায়ণগঞ্জের আশিয়ান শীতলছায়া সিটির রিপোর্ট করতে গেলে তারা এ হামলার শিকার হন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে সরেজমিন ওই এলাকায় গিয়ে অবৈধ জমি দখলসহ এলাকার মানুষের অত্যাচারের চিত্র ধারণ করেন সাংবাদিকরা। খবর পেয়ে আশিয়ান সিটির ক্যাডাররা কয়েকটি ট্রলারযোগে ঘটনাস্থলে এসে সাংবাদিকদের মারধরসহ শাসান এবং ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ না দেখাতে এক লাখ টাকা ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করেন।
কিন্তু এতে রাজি না হওয়ায় মারধর করেন।
এ ব্যাপারে আহত অপু খন্দকার জানান, ড্যাব বিষয়ে নিউজ করতে তারা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ইছামতিতে যান। পরে জানতে পারেন এলাকাবাসীর কাছ থেকে জায়গা-জমি জোর করে নিয়ে অবৈধভাবে আশিয়ান শীতলছায়া সিটি নির্মাণ করা হচ্ছে। কেউ তাদের মর্জিমাফিক জমি দিতে না চাইলেই তার ওপর নেমে আসে নির্যাতনের খড়গ। আশিয়ান সিটির রয়েছে বিশাল অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনী।
তারা দিনরাত ২৪ ঘণ্টায়ই দখলকৃত জায়গা-জমি পাহারা দিয়ে থাকে। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী মুখ খুলতে চায় না।
অপু খন্দকার আরও জানান, তারা পুরো বিষয়টি ক্যামেরায় ধারণ করেন। এমন সময় খবর পেয়ে একটি ট্রলারযোগে ৪০ জন অস্ত্রধারী ক্যাডার তাদের মারধর করে দুজনকে তুলে নিয়ে যায়। ক্যাডাররা আশিয়ান শীতলছায়ার অফিসে তাদের নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে।
পরে তারা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে তাদের এক লাখ টাকা দিয়ে ছেড়ে দিতে চায়। টাকা নিতে রাজি না হলে তাদের একজন অস্ত্রধারী ক্যাডার দিয়ে স্পিডবোটে করে পেঁৗছে দেওয়া হয়। এসব তথ্যই তার ক্যামেরায় ধারণকৃত রয়েছে।
এদিকে দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, একুশে টিভিতে আশিয়ান সিটির সঙ্গে সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে যে তথ্য প্রচারিত হয়েছে, তা সঠিক নয়। সেনাবাহিনী আশিয়ান সিটির সঙ্গে কোনো ধরনের কার্যক্রমে সম্পৃক্ত নয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।