সত্য আর মিথ্যার মধ্যে নিরপেক্ষতা নয় ২ মাসের মধ্যে যুদ্ধপরাধীদের আপিল শুনানী শেষ করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধপরাধীদের বাচানোর একমাত্র পথ আন্দোলনের মাধ্যমে বা কু্ করে আওয়ামীলীগকে সরানো। এছাড়া আর কোন পথ আসলে আছে কি ? আওয়ামীলিগকে কখনো আন্দলোনের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে সরানো যায় নি। দলছুট নেতাদের ক্লাব বিএনপি আর যাই হোক কষ্ট করে আন্দোলন যে করে না, এটা এতো দিনে স্পস্ট হয়ে গেছে। তারা হরতাল করে কিন্তু তাদের নেতা কর্মীরা কখোনো মাঠে যায় না।
পয়সা দিয়ে গুণ্ডা ভাড়া করে, হরতালের আগের দিন রাতে বাস পোড়ানোর জন্যে আর হরতালের দিন সকালে বিভিন্ন পয়েন্টে ককটেল ফোটানোর জন্য। এনটিভি, দিগন্ত টিভি আর সম্প্রতি প্রথম আলো বড় করে সেইসব প্রচার করে। মানুষ ভয়ে গাড়ী বের করে না। কি সুন্দর আন্দোলন।
মিডিয়া কাভার করলে আপনিও ইচ্ছা করলে যেকোন দিন হরতাল ডাকতে পারেন, শুধু কিছু গুণ্ডা ভাড়া করতে হবে বাস পোড়ানোর জন্য! তবে মিডিয়া পক্ষে না থাকলে, বাস পোড়ানো নিয়ে ব্যপক টক শো আর প্রথম পাতার ফিচার, সুশীল সমাজের উপদেশ বর্ষন শুরু হয়ে যেতে পারে।
যাই হোক আসল কথায় ফেরত আসি। এই মুহুর্তে এটা সরল অংকের মতোই পরিস্কার , যে বিএনপি জামাত চাচ্ছে সামরিক শাষন জারি করে আওয়ামীলীগকে হটানোর মাধ্যমে ৭৫ এর মতোন আবারো যুদ্ধপরাধীদের বিচার বাতিল করতে। যেকারনে ৭৫ এর মতোই থানায় হামলার মতো ঘটনা ঘটছে। এছাড়া তাদের সামনে আর কোন পথ নাই, যদি না হাইকোর্ট তাদের পক্ষে রায় দেয়!
তো সরল অংকের মতোই পরিস্কার বিষয়টি খালেদা ফাস করে দিয়েছেন ! বেশী কথা বলার কি যে বিপদ। মিডিয়া তাকে এতো আগলে রাখে, তার দুনীর্তির বিষযে, বাস পোড়ানোর বিষযে, নিজামীদের বিচারের বিষযে, ফালুর বিষয়ে বা কোন বিষযে তাকে কখনো প্রশ্নবানে জর্জড়িত হতে দেখি নি , যেমনটা দেখা যায় আওয়ামী লিগের নেতাদের।
এমনকি আমি কখনো কোন সাংবাদিক সন্মেলনে কোন সাংবাদিককে তাকে প্রশ্ন করতে দেখি নি। অথচ সেই সাংবাদিক সন্মেলনই তারা কি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েই না প্রচার করেন। আমি চ্যলেন্জ করতে পারি সবাইকে, পৃথিবীর অন্য কোন দেশে (এখনকার সিরিয় ছাড়া !) বিরোধী দলের নেতা এতো গুরুত্ব পায় না যতোটা বিএনপি পায়। তো উনি জিল্লুর রহমানের মরদেহ দেখতে গেলেন, কিন্তু সাংবাদিকদের সাথে কোন কথা বললেন না, সব সময় কথা বলেন ফকরুল। মনে হয় খালেদার চাইতে কি ফকরুল বড় নেতা কিনা ! কিন্তু জনসভায় তাকে থামায় কিভাবে, তো বেফাস হয়ে গেল তাদের সরল অংকের হিসাব !
এখন আমাদের দেশবাসীর দেখার পালা কিভাবে তারা আবার দাঙ্গা হাঙ্গামা বাধানোর চেষ্টা করেন ।
আবার কি তারা মাঝ রাতে ঢাকার বাইরের মুষ্টিমেয় পুলিশ থাকে এমন কোন থানায় হামলা করবেন, পিটিয়ে পুলিম মারবেন না পুলিশের ওপর ককটেল মারতে থাকবেন, যতোক্ষন পর্যন্ত না পুলিশ গুলি ছুড়তে বাধ্য হয়। নাকি লাগাতার হরতাল দিয়ে আর আগের দিন গুণ্ডা দিয়ে বাস পুড়িয়ে মানুষকে অস্থির করে, সামরিক শাষনের প্রেক্ষাপট তৈরী করতে যাচ্ছেন ? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।