থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার আইনজীবী মওদুদ আহমদ বলেছেন, খালেদা জিয়া ন্যায়বিচারের স্বার্থে সুবিচার পাওয়ার জন্য লিভ টু আপিলের শুনানি আদালতের কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। যেসব বিচারপতি তাঁর স্বামী প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে বেআইনি ঘোষণা করেছেন, তাঁরা বাড়ির আপিল শুনানিতে অংশ নিলে খালেদা জিয়া সুবিচার পাবেন না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
আজ বুধবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির উত্তর হলে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে মওদুদ আহমদ এসব কথা বলেন।
মওদুদ আহমদ বলেন, টি এইচ খান এবং রফিক-উল হক লিভ টু আপিলটি শুনানির কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়ার আবেদন জানান।
মওদু বলেন, ‘গত ২৮ নভেম্বর সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি করা হয়। ২৯ নভেম্বর সকালে বিষয়টি নিবন্ধিত হয়। ওই দিন আবেদনটি উপস্থাপন করতে পারেননি। এটা উপস্থাপন করতে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে মনে করছি। ’
লিখিত বক্তব্যে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহ্যনীতি ও নৈতিকতার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বর্তমান আপিল বিভাগের বিচারপতিদের উচিত ছিল নিজে থেকেই এ মামলার শুনানি না করা।
২৯ নভেম্বর টি এইচ খান এবং রফিক-উল হক খালেদা জিয়ার সঙ্গে পরামর্শ করার জন্য শেষ পর্যন্ত আধা ঘণ্টা সময় চেয়েছেন। সেটা প্রধান বিচারপতি নাকচ করে দেওয়াটি ছিল বিস্ময়কর। লিভ টু আপিল শুনানির ক্ষেত্রে এত তাড়াহুড়োর কী ছিল, তা আমাদের কাছে এখনো বোধগম্য নয়। বিনা শুনানিতে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ লিভ টু আপিল খারিজ করে দেওয়া নজিরবিহীন ঘটনা। ’
২৯ নভেম্বর ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা করে করা আবেদনের বিষয়টি সাংবাদিকদের কেন জানানো হয়নি?—এমন প্রশ্নের জবাবে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘ওই দিন আমরা প্রস্তুত ছিলাম না।
’
আদালতে আবেদনটি উপস্থাপন না করে ওই বিষয়ে বক্তব্য দেওয়া যায় কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘নিশ্চয়ই পারি। রেকর্ডে আছে। আদালত অনুমতি দেননি। ’
লিভ টু আপিল করার সময় এ আবেদনটি করতে পারতেন, কেন করেননি? এমন প্রশ্নের জবাবে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আমরা আপিল বিভাগে আবেদন ফাইল করেছি। কোনো বিচারপতির কাছে তো আবেদন করিনি।
আপিল বিভাগের বর্তমান বিচারপতিরা আগামী দিনে না-ও থাকতে পারেন। ’
মওদুদ আহমেদের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলাম বলেন, হাইকোর্টে টি এইচ খান ২০ দিন বক্তব্য দিয়েছেন। মওদুদ আহমদ একদিন বক্তব্য দেন। টি এইচ খান কোনো অভিযোগ করেননি। মওদুদ আহমদের বক্তব্য উদ্দেশ্যমূলক অভিহিত করে মাহবুবে আলম বলেন, ‘শুধু সেকশনে আবেদন ফাইল করলেই হয় না।
আগের দিন সেকশনে ফাইল করতে হয়। তারপর মামলা নথিভুক্ত হবে। এরপর তা আদালতে উপস্থাপন করে শুনানি করতে হয়। খারিজ হওয়ার পর এমন অভিযোগ হাস্যকর। তাঁদের আদালতের প্রতি আস্থা না থাকলে ১০ নভেম্বরই বলতে পারতেন।
’
সূত্র: Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।