.......... শিক্ষার্থীদের চরম ন্যায্য এই দাবিতে পুলিশি হামলা কোনমতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারেনা। এক পুলিশ কর্মকর্তা বললেন, শিক্ষার্থীরাই নাকি আগে হামলা করেছে। চরম মিথ্যাচার। মিথ্যাচার মনে হচ্ছে গাছে ধরে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে এরকম বাধা।
এরাতো রাজনৈতিক আন্দোলন করছেনা। এরা যদি সরকার পতনের জন্য রাজপথে শামিল হতো, সেক্ষেত্রে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর আচরণের একটা ব্যাখ্যা দাড় করানো যেত।
যাই হোক শিক্ষার্থীরা ন্যায্য অধিকারের দাবিতেই আন্দোলন করছে। তারা কখনোই আগ্রাসী হয়ে কোন হামলার ঘটনা ঘটায় নি।
তাদের এই দাবির সাথে অনেক শিক্ষক একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।
ধন্যবাদ ও সালাম জানাই তাদেরকে। এই মুহুর্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে আরেফীন স্যারের স্পষ্ট বক্তব্য প্রত্যাশা করছিলাম। অথচ উনি বললেন যারা ওনার অফিস এবং আশপাশ ভাংচুর করেছে, তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র না, বহিরাগত ইত্যাদি ইত্যাদি। কেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ভাংচুর করলে, সেটাকি ওনার গায়ে লাগবে এজন্য উনি এটা বললেন। আর অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ভাংচুর করলে উনি সেটা অনায়াসে এড়িয়ে যেতে পারবেন।
উনিতো এখানে সাম্প্রদায়িক আচরণ করলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে সকল ছাত্রই তার কাছে সমান স্নেহ পাবার দাবি রাখে, সেটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হোক কিংবা অন্য কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়। উনি যদিও বলেছেন, বহিরাগত। তবে উনি বহিরাগত ছাত্র বুঝিয়েছেন কিনা সেটা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতেই পারে। তবুও বলব, শিক্ষার্থীদের এই প্রাণের দাবির ব্যাপারে ওনার কাছ থেকে সুস্পষ্ট বক্তব্য প্রত্যাশা করি।
বিসিএস ক্যাডার যারা হয় তাদের উল্লেখযোগ্য অংশই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা, সুতরাং এ ব্যাপারের দায় এড়ানোর কোন সুযোগ নেই। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।