বাংলাদেশ আমরা দেশপ্রেমিক জাতি। ঠিক আছে। দেশকে ভালবাসবো, দেশের কাজে এগিয়ে আসবো। কিন্তু যা-ই কববো তাতে যেন আমাদের সততা থাকে, সততা বিসর্জন দিয়ে নয়। ইদানিং সারা দেশের বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমেই দেখছি 'সুন্দরবনকে ভোট দেয়ার বিরাট প্রচারনা'।
যদিও কিছু কিছু পত্রিকা এটিকে একটি জালিয়াত চক্রের কাজ বলে মন্তব্য করেছেন। যদি সপ্তাশ্চর্য নির্বাচনে আমরা ১৬ কোটি হুজুগে বাঙালিরা ১টি করে এসএমএস ও করি তবে ২.০০ টাকা হারে মোবাইল কোম্পানিগুলো পাবে ৩২ কোটি টাকা (যা বিদেশে চলে যাবে) এবং ভ্যাট বাবদ সরকারি কোষাগারে জমা হবে ৩০ পয়সা হারে ৪ কোটি ৮০ হাজার টাকা (যা দূর্নীতিবাজ রাজনৈতিক নেতাদের পকেটে যাবে)। আর যদি ১৬ কোটি সচেতন!! জনগণ ১টির বেশি (যত খুশি তত) ভোট প্রদান করেন তবে তো মোবাইল কোম্পানিগুলোর পোয়াবারো। আমরা মোবাইলে ভোট দিয়ে দেশের গৌরব বাড়াতে কষ্টার্জিত টাকা ব্যয় করি ঠিকই কিন্তু তার ফায়দা নেয় অন্য কেউ। এটিই হচ্ছে গণতন্ত্র।
গণতন্ত্রের মন্ত্র বুঝতে বাঙালির আরো যে কত বছর লাগবে, আল্লাহ্ই ভাল জানেন। তবে বেশির ভাগ মুসলিম বসবাসরত এদেশটিতে এ ধরণের আরো অনেক জুয়া বা লটারি (যেমন- ক্রীড়া উন্নয়ন, হার্ট ফাউন্ডেশন, চক্ষু হাসপাতাল, ক্যান্সার হাসপাতাল আরো কতো কি) চলছে। যেসব জুয়া না চালিয়ে সরকার অন্য পলিসি অবলম্বন করেও দেশের এসমস্ত ক্ষেত্রে সাহায্য সহযোগিতা করতে পারে। কই বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করতে তো লটারি করে টাকা উত্তোলনের দরকার পড়লো না। টাকা কোত্থেকে এলো।
এসব টাকা আমাদেরই। আমাদের রক্তের কামাই। আমরা সেন্টিমেন্টে পড়ে দেশপ্রেমিক সাজতে যাই।
আসলে দেশের বুদ্ধিজীবী এবং দেশকে নিয়ে সত্যিকারে যাঁরা ভাবেন, তাদের মতামত নেয়া উচিত। আর সরকার বা যেকেউ যেন দেশকে নিয়ে, জনগণকে নিয়ে যা-তা করতে না পারে সেদিকে এদেশের সাধারণ জনগণকে সজাগ দৃষ্টি দিতে অনুরোধ করছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।