আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

২১ শতাব্দীতে দেশে বাস্তুহারার সংখ্যা হবে সাড়ে ৭ কোটি

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ২১ শতাব্দীর শেষ নাগাদ বাংলাদেশে বাস্তুহারা মানুষের সংখ্যা দাঁড়াবে সাড়ে ৭ কোটি। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ২০১০ সালে বিশ্বে বাস্তুহারা মানুষের সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ২ লাখ। একই সময়ে বাংলাদেশে বাস্তুহারা মানুষের সংখ্যা ছিল ৫ লাখ ৬৯ হাজার। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ইক্যুইটি অ্যান্ড জাস্টিস ওয়ার্কিং গ্রুপের উদ্যোগে আয়োজিত ‘জলবায়ু বাস্তচ্যুত একটি রাজনৈতিক ও উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। মূল প্রবন্ধে আরও বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে একই সময়ে তাপমাত্রা ৪ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যাবে।

ফলে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়বে ৩ থেকে ৫ মিটার। ফলে ভারতীয় উপমহাদেশে বাস্তুহারার সংখ্যা দাঁড়াবে ১৩ কোটিতে। সেমিনারে বক্তারা সরকারকে বাস্তুহারাদের পুনর্বাসন এবং তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জলবায়ু বিষয়ে বিশ্ব ফোরামে বাংলাদেশ নেতৃত্ব দিচ্ছে। কথা বলছে নিজ দেশসহ ক্ষতিগ্রস্থ সব দেশগুলোর জন্য।

তিনি আরও বলেন, সরকার পরিবেশ মন্ত্রণালয়সহ আরও ১২টি মন্ত্রণালয়কে সমন্বয় করে এক সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। ডারবান সম্মেলনের পর এ বিষয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। এছাড়া আগামী ১৩ ও ১৪ নভেম্বরের ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ভালনারেবল ফোরামের সম্মেলনে বাংলাদেশ এসব সমস্যা জোরালোভাবে উত্থাপন করবে। বক্তারা বলেন, রেফুজি ফান্ড আসবে। তবে এই লাভের গুড় যাতে পিঁপড়ে কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠান কাড়াকাড়ি করে নিয়ে যেতে না পারে এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে নেটওয়ার্ক অন ক্লাইমেট চেইঞ্জ, বাংলাদেশের (এনসিসিবি) কো-অরডিনেটর মিজানুর রহমান এবং পরিবেশ কর্মী হাসান মেহেদী পৃথক দুটি প্রতিবেদন পেশ করেন। প্রতিবেদনে মিজানুর রহমান বলেন, ২০১০ সালেই বিশ্বে ৪ কোটি ২ লাখ (৪২ মিলিয়ন) লোক বাস্তুহারা হয়েছেন। যেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত কারণে বাস্তুহারা হয়েছে ৩ কোটি ৮ লাখ ( ৩৮ মিলিয়ন)। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ৫ লাখ ৬৯ হাজার। ইক্যুইটিবিডির নেতৃত্বে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ক্যাম্পেইন ফর সাসটেইনেবল রুরাল ল্যান্ড (সিএসআরএল), নেটওয়ার্ক অন ক্লাইমেট চেইঞ্জ, বাংলাদেশ (এনসিসি,বি), সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান এবং ভয়েস।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।