আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমি ও আমার ওয়াইফ রিমি আপু~মধুময় জীবনের গল্প

আমি তোমার পথ চেয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকবো, দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে আমার পায়ে শিকড় গজাবে, আমার শাখা-প্রশাখা গজাবে, আমি বৃক্ষমানব হয়ে যাবো তবুও আমি অধৈর্য্য হবো না... ... ... বন্ধু বান্ধবের চড়ম বাঁধা পরিবারের সদস্যদের ব্যাপক আপত্তি সিনিয়র মেয়ে বিয়ে করার সংকল্প থেকে আমাকে এক চুলও বিচ্যুত করতে পারে নাই। অবশেষে বিয়ে করে ফেললাম রিমি আপুকে। রিমি আপু আমার এক ব্যাচ সিনিয়র আর বয়সে ১ বছরের। এখন উনি আমার বউ! আমি কর্মরত আছি একটি প্রথম সারির কনসাল্টেন্সি ফার্মে জুনিয়ন ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে। আর রিমি আছে একটি মাল্টিনেশন কোম্পানীতে কোয়ালিটি কন্ট্রোল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে।

দুই জনের আয় দিয়ে ভালভাবে চলে যায় জীবনের চাকা। থাকি বনানীতে, চলাফেরা অফিসের গাড়িতেই দু'জনই। বাহ্ কি আরাম! সারাদিনের ক্লান্তি শেষে দু'জনেই একসাথেই বাসায় ফিরি। আমার আগে শেষ হলে ওর অফিসে যাই ওকে নিয়ে আসতে আর ওর আগে শেষ হলে আমার অফিসে আসে। কি যে রোমান্টিক ব্যাপার।

মাঝে মাঝে পথিমধ্যে গাড়ি থামিয়ে ফুচকার দোকানে সময় কাটাই কিছুক্ষণ। বাসায় কোন কাজের মেয়ে/লোক নাই। সব কাজই ভাগাভাগি করে নেই। মিউচুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিং অনেক ভাল। তবে আমি বেশিরভাগ সময় তৃতীয় হাত অজুহাতের বদৌলতে পাড় পেয়ে যাই! রান্না-বান্নার সময় হেল্প করি।

একদিন অফিসের কাজ বেশি থাকায় বাসায় ফিরতে দেরি হয়। সেদিন রিমিকে বাসায় চলে যেতে বলি। রাত্রি ১২ টার দিকে বাসায় ফিরি সেদিন। সেদিন অফিসে একটা ইনডোর পার্টি ছিল। রিমি জিজ্ঞাসা করলো- -এত রাত হওয়ার কি কারণ? -অঅফিইসের কাআজ ছিলো........তাআই লেইট।

-তুমি আবারও ড্রিংকস করেছো! -কলিইগদের সাআথে এএই একটু পার্টিসিপেট....এই আরকি। -যাও এখন ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পর, সকালে আবার অফিসে দৌড়াতে হবে। অনেকটা মাতাল অবস্থায় ঘুমিয়ে সেই সকালের সূর্য্যের আলোর মৃদু গরম আবেশে ঘুম ভাঙলো। জেগে দেখি রিমি রেডি হয়ে পাশে বসে অফিসে যাওয়ার প্রতিক্ষায়! বারবার ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছে। ঘড়ি দেখিয়ে বললো ৯ টা বাজে! তড়িঘড়ি করে এক লাফ দিয়ে বিছানা থেকে উঠে পড়লাম।

রিডে হলাম মুহুর্তেই। চিন্তা করলাম আজ অফিসে যাব না। যেই চিন্তা সেই কাজ! রিমিকে বলে দিলাম চল আমরা আজ দু'জনেই অফিস মিস দেই। চল ঘুরে আমি ফ্যান্টাসি কিংডমে কিছু সময়। ফোনে অফিসের বসকে বললাম যে, -"স্যার আমি আজ অফিসে আসতে পারবো না।

অতিরিক্ত ড্রিংস করার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছি। আর স্যার কাইণ্ডলি একটা গাড়ি পাঠিয়ে দিবেন হাসপাতালে যেতে হবে। " -ঠিক আছে ইয়াং ম্যান। হুর.....রে কেল্লা ফতে! গাড়ি পেয়ে গেলাম। রিমিকে নিয়ে ওয়াটার কিংডমের দিকে রওনা দিলাম।

পৌছেও গেলাম! কিন্তু পানিতে দু'জনে হেভি রোমান্টিক মুডে............আহ্ জীবন কত্ত সুন্দর! কিন্তু অভাগার কপালে সুখ সয় না। মায়ের কিল-ঘুষিতে ঘুমটাই ভেঙ্গে গেল, বিদায় নিল একটা রঙ্গীন স্বপ্ন! [কাল্পনিক] ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।