যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
বিশ্বাস, ভালোবাসা যখন তলানীতে গিয়ে পৌছে তখন সাধারণত সম্পর্কগুলো এক্স হয়ে যায়। এমন একজন এক্স এর সাথে কোন যোগাযোগ থাকে না, তার গল্প শুনতে ভাল লাগে না, সচেতনভাবে তার সব স্মৃতি পরিহার করে চলার একটা চর্চা হতে থাকে। কত ভালাবাসাবাসি, উত্তেজনার রোজনামচা, এখন একদম অনুভূতিহীন, বড় আশ্চর্য লাগে। তার স্বামীসহ আর আমি বউসহ পাশাপাশি হাঁিট। আমাদের উভয়ের পার্টনাররা কিছু অনুভব করতে পারে না।
অনেকদিন পরে দেখা হওয়াতে তাকে অবেচতনভাবে নিজের বলে ভাবার খায়েশও জাগে।
একসময় আমরা এক্স দুজন একান্তে। কিছু বলার থাকে না, শরীর অবশ্য পরিচিত শরীরের টানে লোভাতুর হয়, কোন শত্রুতার কথা মনে থাকে না, যতক্ষন না পর্যন্ত জটিল প্রসংগ ওঠে। হাতে হাত ওঠে, একসময় সুযোগ বুঝে বুকের মাঝে ঝাপটা-ঝাপটি, তখন আর অবৈধ মনে হয় না। হঠাৎ এক্স জিজ্ঞেস করে, ভাল আছো? মাঝে মাঝে তো দেখা করতে পারো, পুরানো শরীরটা নতুন মনে হতে পারে! আমার শরীর বেয়ে শিরশিরে স্রোত নেমে যায় নিচের দিকে।
অনেকদিন পরে দেখা হলো এক্স এর সাথে। এক্স হবার পরে প্রথম। সেই অজস্র প্রগলভতা আর নেই, সংসারী, শান্ত আমরা দুজনই। কমন বন্ধুর পার্টিতে হঠাৎ দেখা হয়ে গেল। চোখে চোখে অনেক কথা হয়।
অন্যের স্ত্রী হলেও মনে হয়, সে যেন বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে আছে আমার দিকেই। আমিও তো তথৈবচ। তাকে চোরা চোখে দেখছি। শরীরের পরিবর্তনগুলো দেখছি, ফ্লাস ব্যাকে দেখার চেষ্টা করছি কোথায় কোথায় তিল ছিল। একসময় দুজনেই অদ্ভুত যোগাযোগে একটা নিরিবিলি জায়গা খুঁজে নেই।
বিশ্বাস হতে কষ্ট হয়, আমরা এখন বিচ্ছিন্ন, স্পষ্ট করে ঠিক মনেও পড়ে না, কি প্রধান গরমিলগুলো ছিল, কি সমস্যার কারণে আমরা ঘটা করে আলাদা হয়ে গেলাম! শুধু মনে হয়, বড়ই তুচ্ছ ছিল সেসব কারণ। আজকে যার যার নতুন সংসারে সেসব তুচ্ছ ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে তো দেখছি! তবে স্বান্ত্বনা হচ্ছে অভিজ্ঞতা আছে বলে এখন এ তুচ্ছতার ঊধের্্ব উঠতে পারছি বোধহয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।