মিরপুর বাসিন্দাদের যারা প্রতিদিন সকালে নিজ নিজ কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন তাদের প্রত্যেকই যাথেস্ট বিরক্তি নিয়ে দিন শুরু করেন বলে আমার মনে হয়। কারন একটাই, বাসে ওঠা একটা যুদ্ধের মত মনে হয়। যদিও আমি গত সপ্তাহ কয়েক যাবত বাইক নিয়েছি বলে রক্ষা।
সকালে বাসা থেকে বেড় হয়ে দেখি একপার্শ্বের রাস্তার সব গাড়ি জায়গাতেই দাড়ানো, আর এক পার্শ্ব পুরো পরিষ্কার, খালি। মনে হলো কোন সমস্যা হয়েছে একজন পথচারির কাছে জানতে চাইলাম কি হয়েছে, তিনি বললেন যে আজ সকালে মিরপুর শেওড়াপাড়া, রোকেয়া স্মরনিতে বাস এক্সিডেন্টে এ একজন গার্মেন্টস শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
তাই রাস্তার এই অবস্থা, দোষি গাড়ি সহ অন্যান্য অনেক গুলো গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে আর এখন রাস্তা বন্ধ। লোকটি আমাকে সাবধান করে দিয়ে বললেন ‘ভাই সামনে যাইয়েন না- বিপদ আছে। ’ আমি তার কথা শুনে পরে গেলাম মহা টেনশনে, কারন আজ অফিসে লেট করলে একদিনের সেলারি নাই হয়ে যাবে। বাইক নিয়ে ঢুকে গেলাম শেওড়াপাড়ার পশ্চিম পাশ্বের গলিতে, সেখানে আরও বড় মুশকিল- বিশাল জ্যাম, সব প্রাইভেট, রিক্সা আর বাইক সবাই যে যার জায়গা মত দাড়িয়ে, বহু কষ্টে সেখান থেকে বেড় হলাম তালতলা বাসস্ট্যান্ড দিয়ে, বেড় হয়ে দেখি শত শত লোক দাড়িয়ে আছে, রাস্তায় একটা পাবলিক ট্রান্সপ্রোটও নাই। আমার তো অফিস লেট হয়নাই, বাইচা গেছি কিন্তু সেই লোক গুলোর জন্য জন্যও কষ্ট লাগলো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।