তোকে দেখিনা, কতো হাজার বছর হয়ে গেলো...
অনেক দিন পর বৃষ্টির ছন্দ শুনতে পাচ্ছি। সেই ছোটবেলা থেকেই বৃষ্টির সাথে আমার সখ্যতা...
কয়েক দিন আগে হঠাৎ করেই দেশের বাইরে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিলো। বাড়ীর সবাই রাজিও হয়েছিলো। তাদের সাথে আমিও। কিন্তু মনটা আমার সায় দিচ্ছিলোনা একটুও।
ভাবছিলাম- কবে ফিরে আসতে পারবো আবার? সেখানে কি বৃষ্টি হয়? হলে- কখন? প্রতিদিন, নাকি আমাদের মতো- গ্রীষ্মে বর্ষায়, কখনো কখনো আবার শীতেও?
এমন হাজারটা প্রশ্ন আমাকে মানসিকভাবে একেবারে দূর্বল করে তুলেছিলো। বুঝতে পেরেছিলাম- এই এখনই আমার পক্ষে দেশের বাইরে গিয়ে থাকাটা সম্ভব হবেনা। কিন্তু কিছু করার ছিলোনা- বাড়ীতে তখন আমাকে বিদায় জানানোর প্রস্তুতি চলছে...
আমি মনে মনে আল্লাহর কাছে বলছিলাম-
আল্লাহ, একটা দিন তুমি বৃষ্টি দাওনা! আমি তো চলেই যাচ্ছি। আবার কবে আসবো জানিনা। প্রিয় বৃষ্টিকে একটা বার পাঠাও, আমি দেখে যাই...
আল্লাহ আমার ডাকে সাড়া দেননি।
কেনই বা দেবেন! তিনি তো জানতেনই- আমার বাইরে যাওয়া হবেনা! বৃষ্টি আমি ঠিকই দেখবো। বারবার দেখবো- আমার প্রিয় বারান্দার গ্রীলের শিক ধরে ধরে!!
ঠিকই আজ আমি এখন বৃষ্টি দেখছি... দেখতে থাকবো অনন্তকাল। বৃষ্টি যে আমার আজন্ম প্রিয় কেউ।
মা বলেছেন- আমার জন্মের দিনও মুষলধারায় বৃষ্টি হয়েছিলো। এ জন্যই হয়তো বৃষ্টির ছন্দ আমার কাছে এতো পরিচিত লাগে, এতো আপন লাগে...
দেশের বাইরে যদি যেতেই হতো- কোথায় পেতাম এই স্বর্গীয় ছন্দের মূর্ছনা?! কোথায় পেতাম এই ভেজা ভেজা অনূভুতি! কোথায় পেতাম এরকম আকুলতা নিয়ে লেখার আবেগ!! জানি- পেতাম না কোথাও...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।