রাজনৈতিক দল,পুলিশ এবং বিচার বিভাগের হাত থেকে দেশকে রক্ষার একমাত্র উপায় হতে পারে সম্পদের মালিকানা সীমাবদ্ধ আইন। রাজনৈতিক দলগুলির গঠনতন্ত্রে অর্ন্তভূক্ত করতে হবে যারা রাজনীতিকে পেশা হিসেবে নিতে চান তারা কেউই ৩০ লক্ষ টাকার বেশী মালিক হবেন না। যারা সংসদ নির্বাচনে প্রাথী হবেন তারা ৩০ লক্ষ টাকার বেশী মালিক হবেন না । রাজনীতির মতো মানব সেবাকে যারা পেশা হিসেবে নিতে চান তাদের অবশ্যই ব্যাক্তিগত সম্পদের মালিকানার সীমাবদ্ধতা থাকতে হবে। একজন সংসদ প্রার্থী যদি ৩০লক্ষ টাকার বেশী মালিক না হন তাহলে নির্বাচনে নিশ্চয়ই কোটি টাকা খরচ করতে পারবেন না, একজন সংসদ প্রার্থী যদি ৩০লক্ষ টাকার বেশী মালিক না হন তাহলে রাষ্ট্রীয় সম্পদ আইন করে সাদা বানিয়ে নিজেদের ব্যাক্তিগত সম্পদের পরিমান বৃদ্ধি ও সুইচ ব্যাংকে জমা বৃদ্ধি করবেন না।
পুলিশ বিচারক সরকারী সকল কর্মকর্তা কেউই বেতনের অতিরিক্ত খরচ করতে পারবেন না, বেতনের অতিরিক্ত টাকার মালিক হতে পারবেননা। নির্বাচনী ইশতাহারে উল্লেখ করতে হবে আমরা যে দলই ক্ষমতায় যাই সেনাবাহিনী নৌবাহিনীর তত্বাবধানে ০-১৮ বছর বয়স পর্যন্ত সকল শিশুদের ফ্রি রেশন কার্ড দেওয়া হবে যে রেশন কার্ডের মাধ্যমে জন্ম থেকে ১৮ বছর বয়স অর্থাৎ উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত সকল শিশু সম খাবার,সম কাপড়,সমঘর,সম লেখাপড়া,সম চিকিৎসা খরচ পাবে এবং ৬০ উর্দ্ধো সকল বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের ফ্রি রেশন কার্ড দেওয়া হবে যে রেশন কার্ডের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় তত্বাবধানে স্বয়ং রাষ্ট্র নিজে সকল বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের সম খাবার,সম কাপড়,সমঘর,সম যতœ ,সম চিকিৎসা পরিচালনা করবে। যারা বেশী টাকার মালিক হতে চান তারা ফ্রেশ ব্যবসা করবেন,রাজনীতি নয়,রাজনীতিকে ব্যবহার করেও নয়। রাজনৈতিক দল,পুলিশ এবং বিচার বিভাগের হাত থেকে কিভাবে দেশকে রক্ষা যায় ! সব দোষ টি আই বির । রাজনৈতিক দল,পুলিশ বিভাগ,বিচার বিভাগ সব সতী সাদ্ধি শুদ্ধ ধোয়া তুলসীপাতা,ভালোকথা ।
রাজনীতিতে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা কিছু ভাতা পেয়ে থকেন তা দিয়ে প্রাইভেট ব্যাংকের মালিক হওয়া যায় না,তা দিয়ে সুইচ ব্যাংকে জমা রাখা যায়না,দামী গাড়ী বিলাস বহুল জীবন যাপন হয়না তা কি নেতা কর্মীরা জানেন ! একজন পুলিশের যা বেতন তা দিয়ে কিছুদিন চাকুরী করেই বড় শহরে নিজের বাড়ী গাড়ী করা যায়না তা কি পুলিশ কর্তারা জানেন ! ধন্যবাদ টি আই বিকে সৎ ও সাহসী তথ্য জনগণের কাছে প্রকাশ করার জন্য। রাজনৈতিক দলগুলি জেগে থেকে ঘুমানোর ভাব করছে। ভোটের আগেই পর্যায়ক্রমে খমতায় থাকা দলগুলির উচিত জনগনের সামনে সত্য তুলে ধরা। জনগনকে বলা আমরা যারা পর্যায়ক্রমে দেশ চালিয়েছি আমরা ধনীক শ্রেনীর প্রতিনিধি,আমরা নিজেদের ও অন্য ধনীদের ধন সম্পদ রক্খা ও বৃদ্ধি করতে কাজ করেছি,করছি,ভবিষ্যতেও করবো । আমরা রাজনৈতিক দলগুলিই দুর্নীতির শীর্ষস্থানে আছি ।
গরীবের ভালো করার খমতা আমাদের নেই । সকল গরীবেরা কোনভাবেই যেন একজোট হতে না পারে রাজনৈতিক দলগুলিই তাই এ দল ও দলের মাধ্যমে বিভক্তি আর বিভেদ জিয়িয়ে রেখেছে। পাতানো কলহ করছে। দলগুলি ধনীক শ্রেনীর প্রতিনিধি। মানুষ মানবাধিকার সভ্যতা মানে শুধু ধনীদের অভিজাত জীবন যাপন,আর গরীবের নিষ্ঠুরতম কষ্টকর অনিশ্চয়তায় জীবন নয়।
রাজনৈতিক দলগুলির নিজেদের মধ্যেই গনতান্ত্রিক চর্চ্চা নেই। রাজনীতি রোজগেরে পেশা। এই রাজনৈতিক দলগুলিই এ দল ও দলের নিন্দা করে মুলত জনগনকে ধোকা বোকা বানিয়ে নিজেদের,ধনীদের ধন সম্পদ রক্খা ও বৃদ্ধি করতে কাজ করছে। কালো টাকার পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে,সুইচ ব্যাংকে জমা বৃদ্ধি পেয়েছে, দরিদ্র মানুষেরা এখনও অবর্ণণীয় কষ্টকর অনিশ্চয়তায় বস্তি,ফুটফাত,গ্রামের জীর্ণ শীর্ণ ঘরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করছে। ন্যায় অন্যায় এর মূল্যবোধ বিবেচনা করলে গরীব কম খেয়ে ভাংগা ঘরে শুয়ে ধৈর্য্যের পরীক্ষা দেবে আর ধনীরা বেশী খাবে সব্বোর্চ ভোগ করবে তাই ন্যায় মূল্যবোধ হিসেবে স্বীকৃত।
আল্লাহ প্রদত্ত সকল সম্পদ সকল মানুষ সমান সমান খাবে,সমান সমান ভোগ করবে তা অন্যায় মুল্যবোধ হিসেবে স্বীকৃত শুধু নয়,যারা একথা বলে তারা ধর্মপালন করলেও তাদেরকে নাস্তিক বলার মুল্যবোধ গড়ে তুলেছেন ধার্মিক ধনীরা। সভ্যতা বিকশিত হওয়ার সাথে সাথে এই মুল্যবোধকে আরোও বিকশিত,শক্ত পাকাপোক্ত করেছেন। ছন্নছাড়া শয়তান মানবাধিকার লংঘনকারী আমেরিকা এবং ভারত পৃথিবীব্যাপী সভ্যতাকে সম্পদ আড়াল আর ভোগ সংস্কৃতিতে পরিণত করছে। ব্যবহার করছে ধর্ম এবং যৌনতা। স্বাধীন দেশকে স্বাধীন কল্যানকর রাষ্ট্রে পরিণত করার সুযোগ জনগণের কাছে।
সেই সুযোগ বিনষ্ঠ করছে আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলি যারা পর্যায়ক্রমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিলো এরা মুলত আমেরিকা ও ভারতের দালাল। ধর্ম এবং নগ্নতাকে বাজারজাত করছেন,দুর্নীতির শীর্ষস্থানে অবস্থান করছেন। ভোট হতে হবে বর্তমান সংস্কৃতির বাইরে অর্থাৎ নতুন সংস্কৃতিতে,অর্থাৎ দুর্নীতির শীর্ষস্থানে অবস্থানকারী রাজিৈনতক দলগুলোকে অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়ে তওবা পড়ে ভোটে অংশ নিতে হবে আহবান এ দেশের ধার্মিক গরীবদের। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।